অর্থমন্ত্রক

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জিএসটি করদাতাদের সাহায্য করতে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর এবং উৎপাদন শুল্ক পর্ষদ অঙ্গীকারবদ্ধ

Posted On: 17 APR 2020 9:12PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ এপ্রিল, ২০২০

 


কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জিএসটি করদাতাদের সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য করতে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর এবং উৎপাদন শুল্ক পর্ষদ অঙ্গীকারবদ্ধ।


পর্ষদ গত ৩০শে মার্চ থেকে ৫ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকায়  ১২ হাজার ৯৩০টি রিফান্ড সংক্রান্ত আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। কেবল গত সপ্তাহে পর্ষদ ৭ হাজার ৮৭৩টি রিফান্ডের দাবী সম্বলিত ৩ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে।


পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিএসটি রিটার্ন দাখিলকারীদের সাহায্য করতে পর্ষদ একটি বাণিজ্য-বান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য হাতে না থাকলে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত দাবি-দাওয়াগুলি কোনোভাবেই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে না। এক শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রাসঙ্গিক যাবতীয় তথ্য রিফান্ড সংক্রান্ত আবেদন দাখিলের জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে।তাই, ভুল তথ্য বা তথ্যের ঘাটতি রিফান্ড দাখিলের সময়ে সহজেই ধরা পড়ে যায়।


জিএসটি পরিষদের ৩৯তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই পর্ষদ আয়কর রিফান্ডের ক্ষেত্রে জিএসটি করদাতাদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।


পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত আবেদনগুলি খতিয়ে দেখার সময় যাতে ব্যবসায়ীদের কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, তা দূর করতে জিএসটি পরিষদ রিফান্ড দাখিলের অঙ্গ হিসাবে ক্লাসিফিকেশন কোড সংক্রান্ত বিবরণী উল্লেখ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, জিএসটি পরিষদের এই প্রস্তাব ৩১শে মার্চের পর দাখিল করা আবেদনগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এ ধরনের আবেদনপত্র দাখিলের  তারিখ  ২০শে মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। জিএসটি আইনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিষেবা বা মূলধনী সম্পদের ওপর ক্রেডিট সংক্রান্ত রিফান্ড দেওয়া হয় না। উদাহরণ-স্বরূপ বলা যেতে পারে, মূলধনী সম্পদের ক্ষেত্রে আয়কর রিফান্ড রপ্তানি ও অন্যান্য জিরো রেটেড সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

 

 


CG/BD/SB



(Release ID: 1615710) Visitor Counter : 191