স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড–১৯ এর সর্বশেষ তথ্য

Posted On: 17 APR 2020 5:59PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ১৭ এপ্রিল, ২০২০
 

 



দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উচ্চপর্যায়ে এগুলি নিয়ে প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।


কোভিড–১৯ এর মোকাবিলায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর দ্বাদশ বৈঠক আজ নতুন দিল্লির নির্মাণ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, ড. হর্ষ বর্ধন-এর পৌরহিত্যে এই বৈঠকে বর্ধিত লকডাউনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রিগোষ্ঠী কোভিড–১৯ এর চিকিৎসার জন্য টীকা, ঔষুধ, হাসপাতালের সরঞ্জাম তৈরিতে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলির উদ্যোগের বিষয়ে পর্যালোচনা করেন। 


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর, জৈব্য প্রযুক্তি দপ্তর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ (সিএসআইআর), ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ, আনবিক শক্তি দপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, পরিস্থিতির মোকাবিলায় যৌথভাবে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, নমুনা পরীক্ষা করার নতুন একটি যন্ত্র তৈরি করা। যার মাধ্যমে ৩০ মিনিটের মধ্যেই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে। ৩০ টি পরীক্ষাগারে নমুন পরীক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আরো বেশি সংখ্যক মানুষের নমুনায় এই ভাইরাস আছে কি না, তা খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নমুনা পরীক্ষা করার কিট তৈরিতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


এই রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন টীকা নিয়ে যে গবেষণার কাজ চলছে, বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 


যত দ্রুত সম্ভব টীকা আবিষ্কার করার লক্ষ্যে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সংহতি বজায় রেখে বিভিন্ন থেরাপির বিষয়ে মূল্যায়ন চলছে। আয়ুষ মন্ত্রকের বিভিন্ন পরীক্ষা – নিরীক্ষার পাশাপাশি সিএসআইআর-ও দেশজুড়ে বিভিন্ন গবেষণাগারে নানা ঔষুধের পরীক্ষা – নিরীক্ষা চালাচ্ছে। 


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, কোভিড – ১৯ এর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন রাজ্য এবং জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। বর্তমানে কেন্দ্র এবং রাজ্যস্তরে শুধুমাত্র কোভিড–১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৯১৯টি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬৭২টি এধরণের হাসপাতালে ১,০৭,৮৩০টি আইসোলেশন বেড এবং ১৪,৭৪২টি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২৪৭টি কোভিডস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬৫,৯১৬টি আইসোলেশন বেড এবং ৭০৬৪টি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


লকডাউন শুরু করার আগে দেশে ৩ দিনের মধ্যে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছিলো। লকডাউন জারি করার পর ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। কেরালা, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ, চন্ডীগড়, পুডুচেরি, বিহার, ওডিশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, অসম এবং ত্রিপুরায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার জাতীয় স্তরের থেকে কম। 


গতকাল থেকে আজ শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত নতুন কোভিড–১৯ এ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১০০৭ এবং মারা গেছেন ২৩ জন। অর্থাৎ দেশে মোট কোভিড–১৯ এ সংক্রমিতের সংখ্যা, ১৩,৩৮৭ জন। এদের মধ্যে ১৭৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।



কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতেhttps://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন।


কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে technicalquery.covid19[at]gov[dot]in অথবা  ncov2019[at]gov[dot]in - এই দুটি  ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭ -৮০৪৬  অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf



 



CG/CB


(Release ID: 1615563) Visitor Counter : 239