কৃষিমন্ত্রক

দেশ জুড়ে লকডাউন চলাকালীন কৃষিকাজ সঠিক এবং সহজ ভাবে চালাতে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী,ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন


কৃষি মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর, প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাতে কন্ট্রোলরুম খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কৃষিসামগ্রী ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহনে যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় তার ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে

Posted On: 07 APR 2020 8:12PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৭ এপ্রিল, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ,গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর আজ এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে কৃষিকাজ সহজ করার পদক্ষেপগুলি এই বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়। তিনি বলেন,সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ অনুযায়ী একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। কৃষক,কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী সহ এই ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত ক্ষেত্রগুলি যাতে সহজভাবে কাজ করতে পারে বা কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রী তোমর বলেন, কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত পরিষেবায় বেশ কিছু ছাড় ঘোষনা করা হয়েছে।এর জন্য তিনি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খুলে, ছাড়ের সুবিধা সবাই পাচ্ছেন কিনা  তা দেখার নির্দেশ দেন।


কোভিড-19 অতিমারীর প্রকোপ রুখতে ,দেশ জুড়ে ২১ দিনের যে লকডাউন চলছে,তাতে দেশের কৃষকরা প্রাথমিক ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে, শ্রী তোমর, কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষকদের জন্য তাৎক্ষণিক কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করেন। শ্রী তোমারের সভাপতিত্বে, কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতি মন্ত্রী শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা ও শ্রী কৈলাশ চৌধুরি একযোগে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রকের প্রবীণ আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালিত হচ্ছে কিনা তা পর্যালোচনা করেন।


শ্রী তোমর বলেন,কৃষি এবং এর সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রগুলিতে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে এটা যেমন ঠিকতেমন ভাবে এটাও আধিকারিকদের নজর রাখতে হবে,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মনীতি মানা হচ্ছে কিনা। কৃষি মন্ত্রী বলেন,কৃষকদের ফসল গোলাজাত করতে যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় তার ওপর নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রের কাছাকাছি যাতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য, কৃষকরা বিক্রি করতে পারেন তাও দেখতে হবে। তবে প্রয়োজনে যদি কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের দরকার হয়,সে ক্ষেত্রে রাজ্য বা আন্ত:রাজ্য কোনো ক্ষেত্রেই এই যাতায়াত যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়,তা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিজাত পণ্য পরিবহনকারী বাহনগুলিকে বিশেষ ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানান বীজ রোপণের কাজও খুব শীঘ্রই শুরু হবে। বীজ এবং সারের অভাব নেই বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন খাদ্যশস্য এবং কৃষি পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়,তা নিশ্চিত করতে হবে।


কৃষি পণ্য সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গুলিকে লকডাউন বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষিপণ্য বাজার কমিটি পরিচালিত কৃষি মান্ডি বা রাজ্য সরকার নির্ধারিত কমিটি, কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করা কৃষক ও কৃষি কর্মী, কৃষি সরঞ্জাম সরবারহ কারী সংস্থা, সার উৎপাদন ও সার, জীবানুনাষক ও বীজ মোড়কের সংস্থা, বীজ রোপণ ও গোলাজাত করার যন্ত্র প্রমুখ।কৃষি ও উদ্যানপালন সংক্রান্ত সরবরাহকারীদেরও এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। কৃষি পণ্য মসৃণ ভাবে পরিবহনের জন্য মহা সড়ক গুলিতে ট্রাক মেরামতির দোকান, তেলের পাম্প, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় এমন যন্ত্র ও তা সারাবার যন্ত্রাংশের দোকান গুলিকেও এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। একই ভাবে চা শিল্প এবং চা রোপণ ৫০% শ্রমিক দিয়ে করা যেতে পারে ।


জাতীয় কৃষি বাজারে(ই-এন এ এম) কৃষি পণ্য বিক্রয়ের জন্য নতুন বৈশিষ্ট যোগ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষক দের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়ে বিক্রয়ের জন্য কৃষি মান্ডীতে নিজেকে উপস্থিত থাকতে হবে না। কোভিড-19 সংক্রমণ কালে ভীড় কম করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋনের কিস্তি দেওয়ার সময় সীমা ৩১শে মে ২০২০ অবধি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা ৪% সুদে এবং কোনোরকম জরিমানা ছাড়াই বর্ধিত সময়কালে ঋন পরিশোধ করতে পারবেন।

 

 


CG/PPM



(Release ID: 1612349) Visitor Counter : 215