প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের পর যৌথ বিবৃতি

प्रविष्टि तिथि: 05 DEC 2025 5:31PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে, রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি, মহামান্য শ্রী ভ্লাদিমির পুতিন, ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ৪-০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে ভারত সফর করেন।

উভয় নেতা ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এই বছর ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণাপত্রের ২৫তম বার্ষিকী।  ২০০০ সালের অক্টোবরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের সময়  এই ঘোষণাপত্র জারি হয়েছিল।

উভয় নেতা এই দীর্ঘস্থায়ী এবং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সম্পর্কের বিশেষ প্রকৃতির উপর জোর দেন। পারস্পরিক বিশ্বাস, একে অপরের মূল জাতীয় স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৌশলগত অভিন্নতার মধ্যে এই সম্পর্ক নিহিত আছে। তারা জোর দিয়ে বলেন এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি নোঙর হিসাবে কাজ করছে। 

দুই নেতা  রাজনৈতিক ও কৌশলগত, সামরিক ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পারমাণবিক, মহাকাশ, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং মানবিক সহায়তা সহ সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে বিস্তৃত বহুমুখী পারস্পরিক উপকারী ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও  জোরদার করার পাশাপাশি উভয় পক্ষই সক্রিয়ভাবে সহযোগিতার নতুন পথ অন্বেষণ করছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান জটিল, চ্যালেঞ্জিং এবং অনিশ্চিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির পটভূমিতে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়ে গেছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রুশ রাষ্ট্রপতি। উভয় পক্ষই একটি সমসাময়িক, ভারসাম্যপূর্ণ, পারস্পরিক উপকারী, টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সমগ্র পরিসরে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উন্নয়ন একটি যৌথ বিদেশ নীতির অগ্রাধিকার। নেতারা কৌশলগত অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছেন। 

নেতারা ইয়েকাটেরিনবার্গ এবং কাজানে ভারতের দুটি কনস্যুলেট জেনারেল চালুর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আরও জোরদার করংগেবিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। 

গত শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে সকল স্তরে যোগাযোগের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উভয় নেতু সন্তোষ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে কাজানে ষোড়শ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন এবং তিয়ানজিনে ২৫তম এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি তাদের মধ্যে বৈঠক। এছাড়া  ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং রাশিয়ার প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সভাপতিত্বে ভারত-রাশিয়া আন্তঃসরকারি কমিশন (আইআরআইজিসি-টিইসি) বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা (আইআরআইজিসি-টিইসি) ২৬তম অধিবেশন এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের যৌথ সভাপতিত্বে আইআরআইজিসি-এর সামরিক ও সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা (আইআরআইজিসি-এম অ্যান্ড এমটিসি) ২২তম অধিবেশন; ভারতের পক্ষ থেকে লোকসভার অধ্যক্ষ, বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, রেলপথ, তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া, বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী এবং নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের সফর; রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ডুমার চেয়ারম্যান, প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রীর সফর; এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে কৌশলগত সংলাপ, বিদেশ দপ্তরের পরামর্শ, জাতিসংঘের বিষয়গুলিতে পরামর্শ, সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর বৈঠক ইত্যাদি।

বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব

নেতারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ভারসাম্যপূর্ণ ও টেকসইভাবে সম্প্রসারণের জন্য তাদের যৌথ উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।  এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ায় ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি, শিল্প সহযোগিতা জোরদার করা, নতুন প্রযুক্তিগত ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করা। 

উভয় নেতা ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারতের কৌশলগত ক্ষেত্রগুলির উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি - রাশিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা (প্রোগ্রাম ২০৩০) গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রুশ রাষ্ট্রপতি পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ভারত এবং ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক ইউনিয়নের মধ্যে পণ্যের উপর একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির যৌথ কাজের গতি আসায়  প্রশংসা করেন। তারা উভয় পক্ষকে বিনিয়োগের প্রচার এবং সুরক্ষার জন্য পারস্পরিক লাভজনক চুক্তির ক্ষেত্রে  আলোচনায় প্রচেষ্টা জোরদার করার নির্দেশও দিয়েছেন।

নেতারা ভারত-রাশিয়া আন্তঃসরকারি বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কমিশন (আইআরআইজিসি-টিইসি) এর ২৫তম এবং ২৬তম অধিবেশন এবং নতুনদিল্লিতে (নভেম্বর ২০২৪) এবং মস্কোতে (আগস্ট ২০২৫)  ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য মঞ্চের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মূলে একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে উভয় পক্ষ। তারা জোর দিয়ে বলেন যে শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাণিজ্য বাধা মোকাবেলা, সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধা দূর করা, সংযোগ বৃদ্ধি করা, মসৃণ অর্থপ্রদান ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বীমা এবং পুনঃবীমা সংক্রান্ত বিষয়গুলির জন্য পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করা এবং ২০৩০সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সংশোধিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। 

রাশিয়া এবং ভারত দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের নিরবচ্ছিন্ন রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক নিষ্পত্তির যৌথ ব্যবস্থা বিকাশ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। 

ভারতে দীর্ঘমেয়াদী সারের সরবরাহ নিশ্চিত করার পদক্ষেপগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া এবং এই ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।

দক্ষ কর্মীদের আদান-প্রদান সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে উভয়পক্ষ।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মঞ্চ (জুন ২০২৫) এবং পূর্ব অর্থনৈতিক মঞ্চ (সেপ্টেম্বর ২০২৫) -এ ভারতীয় প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানানো হয়। উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সহযোগিতার প্রচারের জন্য এই অর্থনৈতিক মঞ্চগুলির পাশাপাশি আয়োজিত ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক আলোচনা  অবদানের কথা উল্লেখ করেছে।

নেতারা জ্বালানি উৎস, মূল্যবান পাথর এবং ধাতু সহ খনিজ সম্পদের উৎপাদনশীল এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের নির্ভরযোগ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। 

জ্বালানি অংশীদারিত্ব

উভয় পক্ষ বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে জ্বালানি ক্ষেত্রে তাদের বিস্তৃত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে এবং এক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। তেল ও তৈলজাত পণ্য, তেল পরিশোধন ও পেট্রোকেমিক্যাল প্রযুক্তি, তেলক্ষেত্র পরিষেবা এবং আপস্ট্রিম প্রযুক্তি ও এ সংক্রান্ত  পরিকাঠামো, এলএনজি এবং এলপিজি সম্পর্কিত পরিকাঠামো, তাদের দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রকল্প, ভূগর্ভস্থ কয়লা গ্যাসীকরণ (ইউসিজি) প্রযুক্তি, পারমাণবিক প্রকল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারতীয় ও রাশিয়ান কোম্পানিগুলির মধ্যে বর্তমান এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার কথা উভয় পক্ষই উল্লেখ করে। তারা এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের গুরুত্বও উল্লেখ করেছে এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উদ্বেগের সমাধান করতে সম্মত হয়েছে।

পরিবহন এবং সংযোগ।

উভয় পক্ষ স্থিতিশীল ও দক্ষ পরিবহন করিডোর নির্মাণে সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে ।যোগাযোগ উন্নত করার জন্য লজিস্টিক সংযোগ সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর (আইএনএসটিসি), চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্টক (পূর্ব সামুদ্রিক) করিডোর এবং উত্তর সমুদ্র রুটকে সমর্থন করার জন্য পরিকাঠামোগত ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

রাশিয়া এবং ভারতের রেলওয়ের মধ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন উভয় নেতা। 

রাশিয়ার সুদূর প্রাচ্য এবং সুমেরু অঞ্চলে সহযোগিতা

উভয় পক্ষ রাশিয়ান ফেডারেশনের সুদূর প্রাচ্য এবং সুমেরু অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে। ২০২৪-২০২৯ সময়কালের জন্য রাশিয়ার সুদূর প্রাচ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে ভারত-রাশিয়া সহযোগিতা কর্মসূচি ভারত এবং রাশিয়ার সুদূর পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে, বিশেষ করে কৃষি, জ্বালানি, খনি, জনশক্তি, হীরা, ওষুধ, সামুদ্রিক পরিবহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো প্রদান করে।

উভয় পক্ষই সুমেরু সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ আয়োজনের গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং উত্তর সমুদ্র পথে বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় অগ্রগতিকে স্বাগত জানায়। রাশিয়া ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মুরমানস্কে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সুমেরু মঞ্চে  ভারতীয় প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে। ভারতের  তরফে সুমেরু পরিষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য  প্রস্তুতি ব্যক্ত করা হয়।

অসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা, মহাকাশে সহযোগিতা

উভয় পক্ষই পারমাণবিক শক্তিতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে তাদের ইচ্ছার কথা জানায়।  ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ১০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার ভারত সরকারের পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব উভয় পক্ষই উল্লেখ করেছে।

পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ইউনিট নির্মাণ সহ কেকেএনপিপি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতিকে উভয় পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে। দুই দেশ সরঞ্জাম ও জ্বালানি সরবরাহের সময়সীমা মেনে চলার বিষয়ে একমত হয়েছে। পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের জন্য ভারতে দ্বিতীয় স্থান সম্পর্কে আরও আলোচনার গুরুত্ব উভয় পক্ষই উল্লেখ করেছে।

ভারত ও রাশিয়া পারস্পরিক সম্মতিক্রমে ও শর্তাবলী সাপেক্ষে রাশিয়ার নকশা, গবেষণা এবং পারস্পরিক সহযোগিতামূলক প্রকল্পগুলির জন্য প্রযুক্তিগত এবং বাণিজ্যিক আলোচনা ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে।

মহাকাশে সহযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করে, উভয় পক্ষই মানব মহাকাশযান কর্মসূচি, উপগ্রহ নেভিগেশন এবং গ্রহ অনুসন্ধান সহ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে মহাকাশের ব্যবহারে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং রাশিয়ান জাতীয় মহাকাশ কর্পোরেশন "রসকসমস"-এর মধ্যে বর্ধিত অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা রকেট ইঞ্জিন উন্নয়ন, উৎপাদন এবং ব্যবহারে পারস্পরিক সহযোগিতার অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে।

সামরিক এবং সামরিক কারিগরি সহযোগিতা

সামরিক এবং সামরিক-কারিগরি সহযোগিতা ঐতিহ্যগতভাবে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি স্তম্ভ। 

৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে নতুনদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আইআরআইজিসি-এমএন্ডএমটিসির ২২তম অধিবেশনের ফলাফলকে নেতারা স্বাগত জানান। ভারতের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সাড়া দিয়ে, অংশীদারিত্ব বর্তমানে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, সহ-উন্নয়ন এবং উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও ব্যবস্থার সহ-উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়েছে। 

উভয়নেতা নিয়মিত সামরিক যোগাযোগের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন । ২০২৫ সালের জুনে কিংডাওতে এসসিও সদস্য-রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়। উভয় পক্ষ সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ সামরিক অনুশীলন ইন্দ্রার প্রশংসা করে এবং যৌথ সামরিক সহযোগিতা কর্মসূচির গতি বজায় রাখার এবং সামরিক প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদান সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

উভয় পক্ষ মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসুচির আওতায় রাশিয়ায় উৎপাদিত অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ, উপাদান, সমষ্টি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে যৌইয়ভাবে উৎপাদনে উৎসাহিত করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা পূরণের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পরবর্তীতে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশগুলিতে তা রপ্তানি করা হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহযোগিতা

উভয় পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ এবং উদীয়মান প্রযুক্তির প্রয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার-থেকে-সরকার, শিক্ষাবিদ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে।

উদীয়মান প্রযুক্তি এবং উন্নত উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির কৌশলগত গুরুত্ব স্বীকার করে, উভয় পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং বিরল মৃত্তিকার অনুসন্ধান, প্রক্রিয়াকরণ এবং পুনর্ব্যবহার প্রযুক্তিতে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে যৌথ গবেষণার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে, উভয় পক্ষ "বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন সহযোগিতার জন্য রোডম্যাপ" এর অধীনে সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির সহ-উন্নয়ন সহ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই দেশের স্টার্ট-আপ এবং এমএসএমই-দের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সরকারী ও বেসরকারী ক্ষেত্রের মধ্যে সহযোগিতা সহজতর করতে সম্মত হয়েছে। তারা তথ্য সুরক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর সুরক্ষা এবং আইন প্রয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে তাদের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। উভয় পক্ষ জ্ঞান বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্টার্ট-আপগুলির জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি ডিজাইন এবং বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে। 

বিজ্ঞান এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বর্তমান সমৃদ্ধ  সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে, উভয় পক্ষ শিক্ষাগত এবং বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পারস্পরিক আগ্রহ প্রকাশ 

সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, পর্যটন এবং মানুষে মানুষে বিনিময়

উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে সাংস্কৃতিক  সম্পর্ক এবং মানুষে মানুষে বিনিময় ভারত-রাশিয়া বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তারা উভয় দেশে আয়োজিত প্রধান আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক মঞ্চ, বইমেলা, উৎসব এবং শিল্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং ভারতীয় ও রাশিয়ান সংস্কৃতির পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনের লক্ষ্যে তাদের দেশে সাংস্কৃতিক বিনিময় উৎসব আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে।

উভয় পক্ষই চলচ্চিত্র শিল্পে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ধারণাকে সমর্থন করেছে । এর মধ্যে রয়েছে যৌথ চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং ভারত ও রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পারস্পরিক অংশগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত করা।

উভয় পক্ষ রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে পর্যটন বিনিময়ের ধারাবাহিক বৃদ্ধির প্রশংসা করেছে এবং উভয় দেশের দ্বারা ই-ভিসা প্রবর্তন সহ ভিসা আনুষ্ঠানিকতা সরলীকরণকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা ভবিষ্যতে ভিসা ব্যবস্থা আরও সরলীকরণের কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।

উভয় পক্ষ ভারত ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞ, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং ইনস্টিটিউটের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিনিময় এবং যোগাযোগের প্রশংসা করেছে। বছরের পর বছর ধরে, এই আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার কৌশলগত এবং নীতি নির্ধারণী মহল এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা বিশেষ ।

শিক্ষার ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী সহযোগিতার স্বীকৃতি দিয়ে, উভয় পক্ষই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষাগত সংযোগ প্রচারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে।

রাশিয়া পারমাণবিক সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে ভারতের সদস্যপদ লাভের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছে। উভয় পক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। উভয় পক্ষই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের বিস্তার রোধের প্রকৃতি এবং নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক বিবেচনার মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করার ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অভিপ্রায়ের উপর জোর দিয়েছে।

পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন, আসিয়ান আঞ্চলিক মঞ্চ, আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক সহ আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা আরও গভীর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক মঞ্চের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন উভয়নেতা।
 
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিন ব্যাকটেরিওলজিক্যাল (জৈবিক) এবং বিষাক্ত অস্ত্রের উন্নয়ন, উৎপাদন এবং মজুত নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের ধ্বংস (বি টি ডব্লিউ সি) সংক্রান্ত কনভেনশনের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে মেনে চলা এবং ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। 

উভয় নেতাই মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের জন্য একটি আইনত: বাধ্যতামূলক দলিল নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীতার ওপর গুরুত্ব দেন।এর মধ্যে রয়েছে  মহাকাশে অস্ত্র স্থাপন এবং মহাকাশে, মহাকাশ থেকে বা মহাকাশের বিরুদ্ধে, হুমকি বা শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা। 

নেতারা, জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির, বিশেষ করে পরিযায়ী পাখি প্রজাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তিতে প্রতিফলিত নীতিগুলির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই সিদ্ধান্ত  আমাদের দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে।

উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্স ( আই বি সি এ ) তে যোগদানের জন্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে কাঠামোগত চুক্তি গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে। ভারত আন্তর্জাতিক সৌর জোট এবং দুর্যোগ প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোট (সি ডি আর আই) -এ রাশিয়ার দ্রুত যোগদানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

উভয় পক্ষ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথ পদ্ধতির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে, উন্নয়নশীল দেশ এবং পরিবর্তনশীল অর্থনীতির জন্য জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তির অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করতে এবং অর্থনৈতিক শাসনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির, বিশেষ করে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলির যুক্তিসঙ্গত সংস্কার নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে।
উভয়পক্ষই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রচেষ্টা সম্প্রসারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের কাঠামো কনভেনশন, ইউএনএফসিসিসি এবং প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারকের কাঠামোর মধ্যে, ২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নতুনদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন সম্পর্কিত যৌথ রাশিয়া-ভারত কর্মী গোষ্ঠীর প্রথম বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে উভয় পক্ষ। প্যারিস চুক্তির ৬ নং ধারার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, নিম্ন-কার্বন প্রযুক্তি বিকাশ এবং টেকসই আর্থিক উপকরণ ব্যবহারের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ আরও জোরদার করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল বিষয়গুলি নিয়ে জি-২০, ব্রিকস,  এসসিও-এর মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেঁকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত ব্রিকস যোগাযোগ গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বিত কাজের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলকে স্বাগত জানানো হয়েছে। 

ভারত-রাশিয়া বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্থিতিস্থাপকতা এবং তাদের বিদেশ নীতির অগ্রাধিকারের অভিসারী এবং পরিপূরক পদ্ধতির প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে ভারত এবং রাশিয়া বৃহৎ শক্তি হিসেবে বহুমেরু বিশ্বের পাশাপাশি বহুমেরু এশিয়ায় বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন নতুনদিল্লিতে তাঁর এবং তাঁর প্রতিনিধিদলের প্রতি  আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং ২৪তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ২০২৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

 

SC/PM/NS…


(रिलीज़ आईडी: 2199792) आगंतुक पटल : 7
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: हिन्दी , Manipuri , Gujarati , Kannada , Malayalam , English , Urdu , Telugu