প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
গুজরাটের দেদিয়াপাড়ায় ‘জনজাতিয় গৌরব দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
प्रविष्टि तिथि:
15 NOV 2025 7:24PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
জয় জোহর! গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত জি, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, গুজরাট বিজেপির সভাপতি জগদীশ বিশ্বকর্মা জি, গুজরাট সরকারের মন্ত্রী নরেশভাই প্যাটেল এবং জয়রামভাই গামিত জি, সংসদে আমার পুরনো সহকর্মী মনসুখভাই ভাসাভা জি, মঞ্চে উপস্থিত ভগবান বিরসা মুন্ডার পরিবারের সকল সদস্য, দেশের প্রতিটি কোণ থেকে এই কর্মসূচির অংশ হয়ে ওঠা আমার জনজাতি ভাই ও বোনেরা, অন্যান্য সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ, কারণ এই সময়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় কর্মসূচি চলছে। জনজাতিয় গৌরব দিবস উপলক্ষে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
সাধারণত, যখন আমি আপনাদের কাছে আসি, তখন আমার গুজরাটি ভাষায় কথা বলা উচিত, কিন্তু যেহেতু সারা দেশের মানুষ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তাই এখন আপনাদের আশীর্বাদ এবং অনুমতি নিয়ে আমাকে হিন্দিতে কথা বলতে হবে।
মা নর্মদার এই পবিত্র ভূমি আজ আবারও একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। ঠিক ৩১শে অক্টোবর, আমরা এখানে সর্দার প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছি। ‘ভারত পর্ব’ আমাদের ঐক্য এবং বৈচিত্র্য উদযাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, এবং আজ, ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, আমরা ভারত পর্বের সমাপ্তি প্রত্যক্ষ করছি। এই পবিত্র অনুষ্ঠানে, আমি ভগবান বিরসা মুন্ডার প্রতি প্রণাম জানাই। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় গোবিন্দ গুরু কর্তৃক প্রজ্জ্বলিত স্বাধীনতার শিখা দ্বারা গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং সমগ্র জনজাতি অঞ্চল অনুপ্রাণিত হয়েছিল। আমি এই মঞ্চ থেকে গোবিন্দ গুরুকেও প্রণাম জানাই। কিছুক্ষণ আগে, আমিও দেবমোগরা মাতার দর্শন করার সৌভাগ্য পেয়েছি। আমি আবার তাঁর চরণে প্রণাম জানাই। মানুষ কাশী বিশ্বনাথ করিডোর, উজ্জয়িন মহাকাল করিডোর, অযোধ্যা রাম মন্দির, কেদারনাথ ধাম নিয়ে কথা বলে। গত দশকে এরকম অনেক ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থান গড়ে উঠেছে। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে ২০০৩ সালে, যখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেয়েদের শিক্ষার জন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রালিয়া পাটনে আসি, তখন আমি মায়ের পায়ে প্রণাম করেছিলাম। আর অবস্থা এমন ছিল যে সেই সময় কেবল একটি ছোট কুঁড়েঘরের মতো জায়গা ছিল। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে আমার জীবনে যত বড় উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, তা শুরু হয়েছিল দেবমোগরা মাতার স্থানের উন্নয়নের মাধ্যমে। আর আজ যখন আমি এই স্থানটি পরিদর্শন করেছি, তখন আমি খুব খুশি হয়েছি যে লক্ষ লক্ষ মানুষ, বিশেষ করে আমাদের জনজাতি ভাইবোনেরা, এখন মায়ের প্রতি অপরিসীম ভক্তি নিয়ে সেখানে আসেন।
বন্ধুগণ,
দেদিয়াপাড়া এবং সাগবারা এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে কবীরজির শিক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত। এবং আমি সন্ত কবীরের ভূমি, বেনারসের একজন সংসদ সদস্য। তাই, সন্ত কবীর স্বাভাবিকভাবেই আমার জীবনে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেন। আমি এই মঞ্চ থেকেও তাঁকে প্রণাম জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ দেশের উন্নয়ন এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ সম্পর্কিত অনেক প্রকল্প উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী-জনমন’ এবং অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় এখানে এক লক্ষ পরিবারকে স্থায়ী বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক একলব্য মডেল স্কুল এবং আশ্রম স্কুল উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বিরসা মুন্ডা উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রী গোবিন্দ গুরু চেয়ারও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট এবং পরিবহন সম্পর্কিত আরও অনেক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ, সেবামূলক উদ্যোগ এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আমি আপনাদের সকলকে, বিশেষ করে গুজরাট এবং সারা দেশের আমার আদিবাসী পরিবারগুলিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
২০২১ সালে, আমরা ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীকে জনজাতিয় গৌরব দিবস (আদিবাসী গৌরব দিবস) হিসেবে উদযাপন শুরু করি। হাজার হাজার বছর ধরে আদিবাসী গর্ব ভারতের চেতনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখনই জাতির সম্মান, মর্যাদা বা স্ব-শাসন ঝুঁকির মুখে পড়েছিল, তখনই আমাদের আদিবাসী সমাজ সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আদিবাসী সম্প্রদায়ের অসংখ্য বীর-নায়িকা, তিলকা মাঝি, রানী গাইদিনলিউ, সিধো-কানহু, ভৈরব মুর্মু, বুধু ভগত এবং আল্লুরি সীতারাম রাজুর মতো অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতার মশাল এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। একইভাবে, মধ্যপ্রদেশের তান্তিয়া ভিল, ছত্তিশগড়ের বীর নারায়ণ সিং, ঝাড়খণ্ডের তেলঙ্গা খারিয়া, আসামের রূপচাঁদ কোনয়ার এবং ওড়িশার লক্ষ্মণ নায়েক সহ অনেক সাহসী যোদ্ধা স্বাধীনতার জন্য অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন, অক্লান্ত লড়াই করেছেন এবং ব্রিটিশদের কখনও শান্তিতে বসে থাকতে দেননি। দেশের নানা প্রান্তের বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় অসংখ্য বিপ্লব পরিচালনা করেছে এবং স্বাধীনতার জন্য তাঁদের রক্তপাত করেছে।
বন্ধুগণ,
,গুজরাটেও, আদিবাসী সমাজ এমন অনেক সাহসী দেশপ্রেমিক তৈরি করেছে। ভগত আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী গোবিন্দ গুরু; পঞ্চমহলে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাজা রূপসিংহ নায়ক; একি আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী মতিলাল তেজাওয়াত। আর যদি আপনি পাল চিত্রিয়ায় যান, তাহলে সেখানে শহীদ হওয়া শত শত আদিবাসীর স্মৃতিস্তম্ভ দেখতে পাবেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো একটি ঘটনা ঘটেছিল সাবরকন্থার পাল চিত্রিয়ায়। তারপর আছেন আমাদের দশরীবেন চৌধুরী, যিনি গান্ধীজির নীতিগুলিকে আদিবাসী সমাজে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অধ্যায় আদিবাসীদের গর্ব এবং আদিবাসী বীরত্বে পরিপূর্ণ।
ভাই ও বোনেরা,
স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসী সমাজের অবদান আমরা ভুলতে পারি না। স্বাধীনতার পর, এই স্বীকৃতি তাঁদের দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু স্বাধীনতার কৃতিত্ব কেবল কয়েকটি পরিবারকে দেওয়ার ইচ্ছার কারণে, আমার আদিবাসী ভাই ও বোনদের ত্যাগ, তপস্যা এবং নিষ্ঠা উপেক্ষা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে দেশের কেউই ভগবান বিরসা মুন্ডাকে সত্যিকার অর্থে স্মরণ করত না, কেবল কাছের গ্রামগুলিই তাঁর কথা বলত। আমরা এক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছি। কারণ, আমরা চেয়েছিলাম আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানুক যে আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনেরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করে আমাদের কত বড় উপহার দিয়েছেন। এবং এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিতে, আমরা দেশজুড়ে অনেক আদিবাসী জাদুঘর তৈরি করছি। এখানে গুজরাটে, রাজপিপলায় ২৫ একর জমিতে একটি বিশাল আদিবাসী জাদুঘর তৈরি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে, আমি ছত্তিশগড় গিয়েছিলাম, যেখানে আমি শহীদ বীর নারায়ণ সিং আদিবাসী জাদুঘর উদ্বোধন করেছি। একইভাবে, রাঁচিতে, যে কারাগারে ভগবান বিরসা মুন্ডাকে বন্দী করা হয়েছিল, সেই জেলটি এখন তাঁর এবং সেই যুগের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি নিবেদিত একটি দুর্দান্ত জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ, শ্রী গোবিন্দ গুরু চেয়ার একটি উপজাতি ভাষা প্রচার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে, ভিল, গামিত, ভাসাভা, গড়াসিয়া, কোকনি, সাঁওতাল, রাথওয়া, নায়ক, ডাবলা, চৌধুরী, কোকনা, কুম্বি, ওয়ারলি, দোদিয়া এবং আরও অনেক জনজাতি সম্প্রদায়ের উপভাষাগুলি নিয়ে গবেষণা অ নিবিড় অধ্যয়ন করা হবে। তাঁদের গল্প এবং গান সংরক্ষণ করা হবে। জনজাতি সমাজ হাজার হাজার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞানের এক বিশাল ভান্ডার ধারণ করে। বিজ্ঞান তাঁদের জীবনযাত্রায় নিহিত, দর্শণ তাঁদের গল্পে লুকিয়ে আছে আর তাঁদের ভাষা পরিবেশের গভীর উপলব্ধি ধারণ করে। শ্রী গোবিন্দ গুরু চেয়ার নতুন প্রজন্মকে এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
জনজাতিয় গৌরব দিবস আমাদের কোটি কোটি জনজাতি ভাইবোনদের প্রতি করা অন্যায়ের কথাও মনে করিয়ে দেয়। ছয় দশক ধরে দেশ শাসনকারী কংগ্রেস, জনজাতি সম্প্রদায়গুলিকে নিজেদের জন্য রেখেছিল। জনজাতি অঞ্চলগুলি অপুষ্টি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার অভাব, শিক্ষার অভাব এবং কোনও সংযোগ ছাড়াই ভুগছিল। এই ত্রুটিগুলি জনজাতি অঞ্চলের পরিচয় হয়ে ওঠে। এবং কংগ্রেস সরকারগুলি কেবল অলস বসে ছিল।
কিন্তু বন্ধুগণ,
জনজাতি কল্যাণ সর্বদা বিজেপির কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে। আমরা সর্বদা জনজাতি সম্প্রদায়ের উপর যে অবিচার হয়েছে তার অবসান ঘটাতে এবং তাদের উন্নয়নের সুবিধা প্রদানের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে এসেছি।আমাদের দেশ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও আদিবাসী সমাজ প্রাচীনকাল থেকেই ভগবান রামের সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁদের ইতিহাস অনেক পুরনো। তবুও যাঁরা ছয় দশক ধরে শাসন করেছেন, তাঁরা এত বৃহৎ আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেননি।
বন্ধুগণ,
অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন এবং বিজেপি সরকার গঠন করে, তখন দেশে প্রথমবারের মতো জনজাতি বিষয়ক একটি পৃথক মন্ত্রক তৈরি করা হয়। এর আগে এমন কোনও মন্ত্রক ছিল না। কিন্তু অটলজির সরকারের পতনের পর, যখন কংগ্রেস আবার দশ বছর শাসন করার সুযোগ পায়, তখন তাঁরা এই মন্ত্রককে অবহেলা করে এবং সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে। আপনি কল্পনা করতে পারেন যে ২০১৩ সালে কংগ্রেস জনজাতি কল্যাণের জন্য মাত্র কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। মাত্র কয়েক হাজার কোটি টাকা! একটি জেলায়, কাজ সম্পন্ন করার জন্য এক হাজার কোটি টাকাও যথেষ্ট নয়। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর, আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করেছি, জনজাতি স্বার্থের যত্ন নিয়েছি এবং জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের বাজেট সম্প্রসারিত করেছি। আজ, আমরা এই বাজেট বহুগুণ বাড়িয়ে জনজাতি অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বা যোগাযোগ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
বন্ধুগণ,
একটা সময় ছিল যখন গুজরাটের জনজাতি অঞ্চলের পরিস্থিতি ভালো ছিল না। অবস্থা এমন ছিল যে সমগ্র জনজাতি অঞ্চলে একটিও বিজ্ঞান বিভাগের স্কুল ছিল না, এমনকি আম্বাজি থেকে উমরগাম পর্যন্ত একটিও বিজ্ঞান বিভাগের স্কুল ছিল না। দেদিয়াপাড়া এবং সাগবাড়ার মতো এলাকায়, ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত না। আমার মনে আছে, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন আমি দেদিয়াপাড়া থেকেই কন্যা কেলাভানি মহোৎসব শুরু করেছিলাম। সেই সময় অনেক শিশু আমার সঙ্গে দেখা করত এবং তাঁদের বড় স্বপ্ন ছিল। কেউ কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানী হতে চাইত। আমি তাদের বোঝাতাম যে শিক্ষাই একমাত্র পথ। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে তাঁদের স্বপ্নের পথে যত বাধাই আসুক না কেন, আমরা তা দূর করব।
বন্ধুগণ,
পরিবর্তন আনার জন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করেছি। ফলস্বরূপ, আজ গুজরাটের জনজাতি অঞ্চলে ১০,০০০ এরও বেশি স্কুল রয়েছে যেখানে আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে একটিও বিজ্ঞান বিভাগের স্কুল ছিল না। গত দুই দশক ধরে, আদিবাসী এলাকায় বাণিজ্য ও কলা কলেজের পাশাপাশি দুই ডজন বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজেপি সরকার জনজাতি শিশুদের জন্য শত শত হোস্টেল তৈরি করেছে। গুজরাটে, আমরা দুটি জনজাতি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছি। এই প্রচেষ্টার ফলেই এখানে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। আজ, ২০ বছর আগে যাঁদের স্বপ্ন আমার মনে সাড়া জাগিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কিছু শিশু বড় হয়ে ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং কিছু গবেষণা ক্ষেত্রে কাজ করছে।
বন্ধুগণ,
আমরা জনজাতি শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। গত ৫-৬ বছরেই, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে জনজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়ে ১৮,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছে। এই বিদ্যালয়গুলিতে মেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, এই বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হওয়া জনজাতি শিশুদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
জনজাতি যুবসমাজ যখন সুযোগ পায়, তখন তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের শক্তি থাকে। তারা তাদের ঐতিহ্য ও ঐতিহ্য থেকে সাহস, কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভা উত্তরাধিকার সূত্রে পায়। আজ, ক্রীড়া জগতের উদাহরণ সকলের সামনে। জনজাতি পুত্র-কন্যারা বিশ্বজুড়ে জাতীয় পতাকার গৌরব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে! সম্প্রতি পর্যন্ত, আমরা সকলেই মেরি কম, থোনাকাল গোপী, দূতী চাঁদ এবং ভাইচুং ভুটিয়ার মতো নাম জানতাম। এখন, প্রতিটি বড় প্রতিযোগিতায় জনজাতি অঞ্চল থেকে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে। সম্প্রতি, ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল মহিলা বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করেছে। এবং আমাদের জনজাতি সমাজের একটি কন্যাও সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের সরকার জনজাতি অঞ্চলে নতুন প্রতিভা শনাক্তকরণ এবং তাদের প্রচারের জন্য ক্রমাগত কাজ করছে। জনজাতি অঞ্চলে ক্রীড়া সুবিধাও সম্প্রসারিত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে। এর একটি খুব বড় উদাহরণ হল আমাদের নর্মদা জেলা। আগে, এটি আলাদা ছিল না, কারণ এটি ভারুচ জেলার অংশ ছিল এবং আংশিকভাবে সুরাট জেলার অংশ ছিল। এবং এই পুরো অঞ্চলটি একসময় পিছিয়ে পড়া বলে বিবেচিত হত। আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি, আমরা এই জেলাকে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা করে তুলেছি, এবং আজ এটি উন্নয়নের অনেক মানদণ্ডে অনেক এগিয়েছে। এর ফলে এখানে বসবাসকারী জনজাতি সম্প্রদায়ের ব্যাপক উপকার হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যে আমরা সরাসরি জনজাতি -প্রধান রাজ্য এবং বঞ্চিত সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে অনেক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প চালু করি। আপনাদের হয়তো মনে আছে ২০১৮ সালে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হয়েছিল। আমরা ঝাড়খণ্ডের রাঁচির আদিবাসী অঞ্চল থেকে এই প্রকল্পটি চালু করেছিলাম। এবং আজ, দেশের কোটি কোটি আদিবাসী ভাই-বোনেরা এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন। সরকার আদিবাসী-প্রধান ছত্তিশগড় থেকে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির উদ্যোগও শুরু করেছে। এর ফলে বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের ব্যাপক উপকার হয়েছে।
বন্ধুগণ,
জনজাতি সম্প্রদায়গুলির মধ্যে, আমাদের সরকার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। স্বাধীনতার কয়েক দশক পরেও যেখানে বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, রাস্তা বা হাসপাতাল ছিল না, সেখানে আমরা এই অঞ্চলগুলির উন্নয়নের জন্য ঝাড়খণ্ডের খুন্তি থেকে প্রধানমন্ত্রী-জনমান যোজনা চালু করেছি। আমি ভগবান বিরসা মুন্ডার গ্রামে গিয়েছিলাম। সেই পবিত্র মাটি আমার কপালে লাগিয়ে, আমি জনজাতি সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য অঙ্গীকার নিয়েছি। আমি সেই অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যে ভগবান বিরসা মুন্ডার বাড়িতে গিয়েছি এবং আজও, আমি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখি। প্রধানমন্ত্রী-জনমান প্রকল্পের আওতায় ২৪,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
‘ধরতি আবা জনজাতিয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায় লিখছে। দেশজুড়ে ৬০,০০০ এরও বেশি গ্রাম এখন পর্যন্ত এই অভিযানে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে হাজার হাজার গ্রাম প্রথমবারের মতো নলের মাধ্যমে পানীয় জল পেয়েছে। এবং শত শত গ্রামে টেলি-মেডিসিন সুবিধা শুরু হয়েছে। এই অভিযানের আওতায় গ্রামসভাগুলিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয়েছে। গ্রামের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, কৃষি এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য সম্প্রদায়ভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এই অভিযানটি দেখায় যে যখন আমরা কিছু অর্জনের সংকল্প করি, তখন সবচেয়ে অসম্ভব লক্ষ্যগুলিও সম্ভব হয়ে ওঠে।
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনের প্রতিটি দিক মাথায় রেখে কাজ করছে। আমরা এমএসপি-র জন্য যোগ্য ক্ষুদ্র বনজ পণ্যের সংখ্যা ২০ থেকে প্রায় ১০০-তে বৃদ্ধি করেছি এবং এমএসপি-র হারও বাড়িয়েছি। আমাদের সরকার শ্রীঅন্ন-র উপকারিতা নিয়ে জোরালোভাবে প্রচার করছে, যা জনজাতি অঞ্চলে কৃষিকাজে নিয়োজিত আমাদের জনজাতি ভাইবোনেদের উপকার করছে। গুজরাটে, আমরা আপনাদের জন্য বনবন্ধু কল্যাণ যোজনা শুরু করেছি। এটি আপনাদের নতুন অর্থনৈতিক শক্তি দিয়েছে। আমার মনে আছে যখন আমি এই যোজনা শুরু করেছিলাম, তখন বিভিন্ন জনজাতি অঞ্চলের মানুষ আমাকে ধন্যবাদ জানাতে এবং মাসের পর মাস ধরে আশীর্বাদ জানাতে আসতেন। এটি ছিল একটি রূপান্তরমূলক যোজনা। আমি খুশি যে ভূপেন্দ্রভাই বনবন্ধু কল্যাণ যোজনাকে সম্প্রসারিত করছেন, এবং এখন এটি জনজাতিয় কল্যাণ যোজনার মতো নতুন এবং বর্ধিত কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সিকেল সেল রোগ একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, জনজাতি অঞ্চলে ডিসপেনসারি, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিকেল সেল রোগের বিরুদ্ধে জাতীয় পর্যায়ের অভিযানও চলছে। এই উদ্যোগের আওতায়, ইতিমধ্যেই সারা দেশে ৬ কোটি আদিবাসী ভাই-বোনদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতায়, স্থানীয় ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। আগে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক শিশু কেবল ভাষার বাধার কারণে পিছিয়ে ছিল। এখন, তাদের নিজস্ব স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনা করে, তারা নিজেরাই উন্নতি করছে এবং জাতির উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখছে। বন্ধুরা, গুজরাটে আমাদের আদিবাসী সমাজেরও শিল্পের অসাধারণ সম্পদ রয়েছে। তাদের চিত্রকর্ম এবং শিল্পকর্মগুলি নিজেরাই অনন্য। এখানে একটি মেয়ে একটি চিত্রকর্ম নিয়ে বসে আছে। মনে হচ্ছে সে এটি আমার জন্য এনেছে। এসপিজি কর্মীরা, দয়া করে এটি ওই কন্যার কাছ থেকে নিন। আমি এতে কিছু ওয়ার্লি চিত্রকর্ম দেখতে পাচ্ছি। ধন্যবাদ, মামনি,যদি তোমার ঠিকানা এটির সঙ্গে পাওয়া যায়, তাহলে আমি তোমাকে একটি চিঠি লিখব।তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। এখানে শৈল্পিক অভিব্যক্তি স্বাভাবিক। আমাদের পরেশভাই রাথওয়ার মতো শিল্পীরা এই শিল্পের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি খুশি যে, আমাদের সরকার পরেশভাই রাথওয়াকে পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।
বন্ধুগণ,
যে কোনো সমাজের অগ্রগতির জন্য গণতন্ত্রে যথাযথ অংশগ্রহণ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেইজন্যই আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেরা যাতে দেশের উচ্চ পদে পৌঁছাতে পারেন এবং দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। দেখুন, আজ দেশের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী মহিলা। একইভাবে, বিজেপি এবং এনডিএ সর্বদা আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিভাবান সদস্যদের শীর্ষ পদে উন্নীত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আজ, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের আদিবাসী ভাই শ্রী বিষ্ণু দেও সাই, রাজ্যকে রূপান্তরিত করছেন। শ্রী মোহন চরণ মাঝি ভগবান জগন্নাথের আশীর্বাদে ওড়িশার উন্নয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অরুণাচল প্রদেশে, আমাদের আদিবাসী ভাই পেমা খান্ডু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাগাল্যান্ডে, আমাদের আদিবাসী ভাই নেইফিউ রিওও দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বেশ কয়েকটি রাজ্যে আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেছি। অনেক রাজ্য বিধানসভায়, আমাদের দল আদিবাসী স্পিকার নিয়োগ করেছে। আমাদের গুজরাটের মাঙ্গুভাই প্যাটেল মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারে, সর্বানন্দ সোনোয়াল একটি আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং পুরো জাহাজ পরিবহন মন্ত্রক পরিচালনা করছেন। তিনি একসময় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বন্ধুরা,
এই নেতারা জাতির জন্য যে সেবা করেছেন, দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান অতুলনীয় এবং অভূতপূর্ব।
বন্ধুরা,
আজ আমাদের দেশে "সবকা সাথ, সবকা বিকাশ" (সকলের সঙ্গে, সকলের জন্য উন্নয়ন) মন্ত্রের শক্তি রয়েছে। এই মন্ত্রটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোটি কোটি মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। এই মন্ত্রটি আমাদের জাতির ঐক্যকে শক্তিশালী করেছে। এবং এই মন্ত্রটি দশকের পর দশক ধরে অবহেলিত জনজাতি সম্প্রদায়গুলিকে মূলধারার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এটি কেবল তাদের সংযুক্ত করেনি, বরং তাদের সামগ্রিকভাবে সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সক্ষম করেছে। অতএব, ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীর পবিত্র উপলক্ষে, আমাদের "সবকা সাথ, সবকা বিকাশ" মন্ত্রকে শক্তিশালী করার সংকল্প নিতে হবে। উন্নয়নে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে, কেউ যেন বাদ না পড়ে। এটাই একমাত্র ধরতি আবার চরণে প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাব এবং 'বিকশিত ভারত' (উন্নত ভারত) এর স্বপ্ন পূরণ করব। এই সংকল্প নিয়ে, আবারও আপনাদের সকলকে জনজাতি গর্ব দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবং আমি সকল নাগরিককে বলতে চাই যে জনজাতিয়া গৌরব দিবস আমাদের মাটির সুবাস বহন করে। এই উৎসব আমাদের জনজাতি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য বহন করে যারা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেছে। এটি তাঁদের শক্তি, সাহস এবং আগামী যুগের জন্য তাঁদের আকাঙ্ক্ষা বহন করে। অতএব, আমাদের অবশ্যই ১৫ নভেম্বর, ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীকে সর্বদা দেশের প্রতিটি কোণে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জনজাতিয়া গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপন করতে হবে। আমাদের অবশ্যই নতুন শক্তি নিয়ে, নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে এবং নতুন উচ্চতা অর্জনের পাশাপাশি ভারতের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে, আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ভারত মাতা কি জয়!
ভারত মাতা কি জয়!
ভারত মাতা কি জয়!
আমরা সকলেই জানি যে বন্দে মাতরম ১৫০ বছর পূর্ণ করেছে। এটি ভারতের মহান অনুপ্রেরণা, এর দীর্ঘ যাত্রা, এর দীর্ঘ সংগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটি উপায়ে, বন্দে মাতরম একটি মন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা এর ১৫০ বছর উদযাপন করছি। আমার সাথে বলুন-
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
বন্দে মাতরম!
আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ.
SC/SB/DM…
(रिलीज़ आईडी: 2190493)
आगंतुक पटल : 9
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Telugu
,
Kannada