প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মুম্বাইতে মেরিটাইম লিডার্স সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 29 OCT 2025 6:57PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

 

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল, শ্রী শান্তনু ঠাকুর, শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, শ্রী অজিত পাওয়ার, জাহাজ চলাচল এবং অন্য শিল্প ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত নেতৃবৃন্দ, অন্য অভ্যাগতবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ !

বন্ধুগণ,

আমি আজ সবাইকে বৈশ্বিক সামুদ্রিক নেতৃত্ব সম্মেলনে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ২০১৬ সালে মুম্বাইয়ে এই সম্মেলনের সূচনা হয়। আজ আমাদের সকলের কাছে আনন্দের বিষয় যে এই সম্মেলন আজ এক বিশ্বজনীন আকার পেয়েছে। আজ এই অনুষ্ঠানে ৮৫টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণ এক বিরাট বার্তা পৌঁচ্ছে দিচ্ছে। জাহাজ ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলির সিইও থেকে শুরু করে স্টার্টআপ, নীতি নির্ধারক ও বিনিয়োগকারীরা সকলেই এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গী এই সম্মেলনকে সমৃদ্ধ করবে এবং নতুন শক্তি যোগাবে। 


বন্ধুগণ,

জাহাজ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা হল এখন। জাহাজ ক্ষেত্রে লক্ষ কোটি টাকার সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার থেকে সমুদ্র ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতার প্রতি বৈশ্বিক বিশ্বাস প্রতিফলিত হচ্ছে। এই সম্মেলনে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অভিন্ন দায়বদ্ধতার এক প্রতীক। 

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীর এই সন্ধিক্ষণে ভারতের সমুদ্র ক্ষেত্রে অগ্রগতি দ্রুত গতিতে এবং নব শক্তিতে এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে ২০২৫ এই বছরটি ভারতের সমুদ্র ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর। এই বছরের বেশ কিছু উপলব্ধির কথা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। ভারতের প্রথম গভীর সমুদ্র আন্তঃরাষ্ট্রীয় ট্রান্সশিপমেন্ট হাব এখন চালু হয়েছে। কিছুক্ষণ পূর্বেই বিশ্বের সব থেকে বড় কন্টেনার ভেসেল এখানে পৌঁছেছে। এগুলি ভারতীয়দের কাছে এক গর্বের মুহূর্ত। ২০২৪-২৫ সালে ভারতের প্রধান বন্দরগুলি এ পর্যন্ত সর্বাধিক পণ্য ওঠানো-নামানোর নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এটাই কেবল নয়, এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় বন্দরে মেগাওয়াট স্তরে ভেষজ পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানী সুবিধার সুযোগের সূচনা হয়েছে। আমাদের কান্ডলা বন্দর এই কৃতিত্বের শরিক হয়েছে। আরও একটি বড় কাজ হয়েছে, জেএনপিটি-তে। এখানে ভারত-মুম্বাই কন্টেনার টার্মিনাল দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু হয়েছে। এরফলে এই টার্মিনালে পণ্য ওঠানো-নামানোর ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে এবং তা ভারতের সব থেকে বড় কন্টেনার বন্দরে পরিণত হয়েছে। ভারতের বন্দর পরিকাঠামোয় সব থেকে বেশি বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি আজ সিঙ্গাপুরে আমার বন্ধুদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

এ বছর ভারতের সমুদ্র ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারে বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১০০ বছরেরও পুরনো ঔপনিবেশিক জাহাজ চলাচল আইনকে বদলে একবিংশ শতাব্দীর সময়োপযোগী আধুনিক এবং ভবিষ্যৎমুখী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নতুন আইন রাজ্য সমুদ্র পর্ষদগুলির ক্ষমতায়ন ঘটাচ্ছে। সুরক্ষা এবং সুস্থায়িত্বের ক্ষেত্রে তা নতুন শক্তি প্রদান করছে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনের প্রসার ঘটাচ্ছে।  

বন্ধুগণ,

মার্চেন্ট শিপিং আইনে আমরা ভারতীয় আইনকে আন্তর্জাতিক চুক্তি ভিত্তিতে বিশ্বের সঙ্গে ঐক্যসূত্র গড়ে তুলেছি। এতে সুরক্ষার ক্ষেত্রও অনেক প্রসারিত হয়েছে, ব্যবসায় স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের ক্ষেত্র অনেক বেশি প্রসারিত হচ্ছে, সরকারি হস্তক্ষেপ অনেক কমেছে। আমার বিশ্বাস, এরফলে আপনাদের এবং আমাদের বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বন্ধুগণ,

কোস্টাল শিপিং আইনকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বাণিজ্য অনেক সহজ হয়। সরবরাহ শৃঙ্খলকে অনেক বেশি সুরক্ষিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতের দীর্ঘতম উপকূল রেখা ধরে ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন সুনিশ্চিত হবে। এর ফলে এক দেশ, এক বন্দর প্রক্রিয়া, বন্দরকে ঘিরে নানা পদ্ধতির আধুনিকীকরণ এবং ডকুমেন্টশনের কাজ অনেক কমবে। 

বন্ধুগণ,

জাহাজ চলাচল ক্ষেত্রে এই সংস্কার গত এক দশক ধরে আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক দিক বলা যেতে পারে। যদি আমরা গত ১১ বছরের দিকে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখবো ভারতে সমুদ্র ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে তা এক কথায় ঐতিহাসিক। মেরিটাইম ইন্ডিয়া ভিশনের ফলে ১৫০টিরও বেশি নতুন উদ্যোগের সূচনা হয়েছে। এতে প্রধান বন্দরগুলির দক্ষতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রয়োজনীয় সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, ক্রুজ পর্যটনে নতুন গতি সঞ্চার করেছে, অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য চলাচল ৭০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, অপারেশনাল ওয়াটার ওয়েজের সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে ৩২ হয়েছে, আমাদের বন্দরগুলির নিট বার্ষিক উদ্বৃত্ত গত এক দশকে ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বন্ধুগণ,

আমাদের গর্বের বিষয় যে আজ ভারতের বন্দরগুলি উন্নয়নশীল বিশ্বে সব থেকে দক্ষ বন্দর হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বের বন্দরগুলির থেকেও কার্যক্ষমতার দিক থেকে সেগুলি অনেক ভালো কাজ করছে। আমি আপনাদেরকে আরও বেশ কিছু সংখ্যা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আজ ভারতে গড় কন্টেনার ডুয়েল টাইম ৩ দিনের থেকেও বেশি কমে এসেছে যা কয়েকটি উন্নত দেশের থেকেও তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। গড় ভেসেল প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ করার সময় ৯৬ ঘণ্টা থেকে কমে ৪৮ ঘণ্টায় এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ভারতীয় বন্দরগুলি বৈশ্বিক শিপিং লাইন্সের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের লজিস্টিক্স পারফরমেন্স সূচকে দেখা যাচ্ছে, ভারতে বেশ কিছু ভালো সংস্কার সাধন হয়েছে। 

এবং বন্ধুগণ,

জাহাজ চলাচল ক্ষেত্রে নাবিকের সংখ্যার দিক থেকে ভারত নিজস্ব সাফল্য লাভ করেছে। ভারতে নাবিকের সংখ্যা বিগত এক দশকে ১ লক্ষ ২৫ থেকে বেড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি হয়েছে। এখন আপনি বিশ্বের যে কোনও সমুদ্রতটে পৌঁছলে কোনও না কোনও জাহাজ দেখবেন যেখানে ভারতীয় নাবিক রয়েছে। নাবিকের সংখ্যা নিরিখে ভারত এখন বিশ্বে প্রথম ৩টি দেশের একটি। 

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীর প্রথম ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই শতাব্দীতে আগামী ২৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা জোর দিচ্ছি নীল অর্থনীতিতে, সুস্থায়ী উপকূল উন্নয়নে। এছাড়াও আমরা পরিবেশ বান্ধব লজিস্টিক্স, বন্দর সংযোগ এবং উপকূল ভিত্তিক শিল্প ক্লাস্টারের প্রতি বিশেষ জোর দিচ্ছি। 

বন্ধুগণ,

জাহাজ নির্মাণ আজ ভারতের সামনে উচ্চতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। একটা সময় ছিল, যখন জাহাজ নির্মাণে ভারত এক বিরাট ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত হত। যে সময়ের কথা বলছি, অজন্তা গুহা তার বেশি আগের নয়। সে সময়ের দিকে তাকালে আপনারা দেখবেন তিনটি মাস্তুলের জাহাজের চিত্র। আপনারা কল্পনা করে দেখুন ষোড়শ শতাব্দীর একটি চিত্র যেখানে তিনটি মাস্তুলের জাহাজের নকশা দেখতে পাওয়া যায়। আর এই নকশা অন্য দেশ ১০০ বছর পর শুরু করেছে। ১০০ বছরের ব্যবধান, ভেবে দেখুন। 

বন্ধুগণ,

ভারতে তৈরি জাহাজ বিশ্ব বাণিজ্যে অগ্রগণ্য জায়গা পেত। জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। ভারত এখন জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন সীমাকে স্পর্শ করতে গঠনমূলক উদ্যোগ শুরু করেছে। এখন ভারত বড় জাহাজকে পরিকাঠামোগত সম্পদ হিসেবে দেখে যা নীতিগত ক্ষেত্রে সমস্ত জাহাজ নির্মাতাদের সামনে এক নতুন সুযোগের সঞ্চার করেছে। এতে আপনাদের অর্থ লগ্নিতে নতুন বিকল্প সূত্র মিলবে, সুদের হার কমবে এবং ঋণের সুযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে।  

এবং বন্ধুগণ,

এই সংস্কারে আরও গতি সঞ্চার করতে সরকার প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এতে অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, দীর্ঘকালীন অর্থলগ্নির প্রসার ঘটবে, গ্রিন ফিল্ড এবং গ্রাউন্ড ফিল্ড শিপ ইয়ার্ডের প্রসার হবে, উন্নতমানের সামুদ্রিক দক্ষতা তৈরি হবে, এবং যুব সম্প্রদায়ের জন্য লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। আর এতে আপনাদের বিনিয়োগের নতুন রাস্তাও খুলে যাবে। 

বন্ধুগণ,

এই ভূমি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভূমি। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ কেবল সমুদ্র সুরক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি আরব সাগরের বাণিজ্য পথে ভারতীয়দের সক্ষম করে তোলার পথ দেখিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেছিলেন, সমুদ্র কেবল সীমানা নয়, সম্ভাবনার দিগন্তকে উন্মুক্ত করে। আজ ভারত এই দৃষ্টিভঙ্গীর পথেই এগিয়ে চলেছে। 

বন্ধুগণ,

ভারত আজ বৈশ্বিক স্তরে সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিস্থাপকতাকে শক্তিশালী করতে চাইছে। আমরা আজ বিশ্বস্তরের বৃহদায়তন বন্দর নির্মাণের কাজে যুক্ত। মহারাষ্ট্রের বধবনে ৭৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন বন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা আমাদের প্রধান বন্দরগুলির দক্ষতাকে ৪ গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা কন্টেনার ভিত্তিক পণ্য চলাচল ক্ষেত্রে ভারতের অংশকে বাড়াতে চাইছি। এইসব লক্ষ্য আমরা অর্জন করেছি। আপনারা সকলেই আমাদের অমূল্য অংশীদার। আমরা আপনাদের চিন্তা, উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনারাও জানেন, ভারতের বন্দর এবং জাহাজ চলাচলে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড এই দৃষ্টিভঙ্গী পথে অনেক অনুদানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা রাজ্যগুলিকেও উৎসাহ দিচ্ছি যে তারাও বিনিয়োগ আকর্ষন করুক। এটা অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্যও, যারা ভারতের জাহাজ ক্ষেত্রে কাজ করছেন। সকলে ভেবে দেখুন এই সময় হচ্ছে লগ্নির সব থেকে উপযুক্ত সময়। 

বন্ধুগণ,

ভারতের আরও একটি বিশেষত্ব হল, এখানকার প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং নির্ভরযোগ্যতা। When The Global Seas Are Rough, The World Looks For A Steady Lighthouse. ভারতই হল সেরকমই এক লাইটহাউস যা তার ভূমিকাকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করছে। বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিঘ্ন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থানান্তরের মাঝেও ভারত কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন, শান্তি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের এক প্রতীক। আমাদের সামুদ্রিক এবং বাণিজ্যিক অনুদান এক্ষেত্রে এক বড় প্রাপ্তি। এর  বড় উদাহরণ হল ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর। এই বাণিজ্যপথের পুনরায় ব্যাখ্যায় বলা যায়, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি এবং স্মার্ট লজিস্টিক্স এতে উৎসাহ পাবে। 

বন্ধুগণ,

আজ আমাদের লক্ষ্য হল, অন্তর্ভুক্তিমূলক সামুদ্রিক বিকাশ। এটা তখনই সম্ভব যখন ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলি এবং সর্বাধিক অনগ্রসর দেশগুলিকে প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং পরিকাঠামোর মাধ্যমে সক্ষম করে তোলা সম্ভব হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সামুদ্রিক সুরক্ষার দিকে তাকিয়ে আমাদের সকলের একযোগে সেই লক্ষ্য পূরণের পথে এগোতে হবে। 

বন্ধুগণ,

আসুন, আমরা সবাই সুস্থায়ী ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্যে একসাথে শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাই। এই শিখর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আরও একবার আপনাদেরকে অভিনন্দন এবং সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

ধন্যবাদ। 

 


SC/AB/NS….


(Release ID: 2184181) Visitor Counter : 2