প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
বারাণসীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
प्रविष्टि तिथि:
23 SEP 2023 4:54PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
হর হর মহাদেব!
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যের মন্ত্রীগণ, ক্রীড়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং কাশীর আমার পরিবারের সদস্যরা।
আরও একবার আমার বারাণসীতে আসার সৌভাগ্য হ’ল। এখানে আসার আনন্দ কথায় প্রকাশ করা কঠিন। আমরা আজ এখানে সমবেত হয়েছি। এটা অত্যন্ত পবিত্র জায়গা।
আমার পরিবারের প্রিয় সদস্যগণ,
কাশীতে আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করা হয়েছে। এই স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ৩০ হাজার দর্শক এখানে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন। এই স্টেডিয়াম হওয়ার কথা শুনে, কাশীর জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত। ক্রিকেটের মাধ্যমে আজ বিশ্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন নতুন দেশ ক্রিকেটের আঙিনায় আসছে। স্বাভাবিকভাবেই, আগামী দিনে খেলার সংখ্যা আরও বাড়বে। এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সেই চাহিদা পূরণ করবে।
আমার পরিবারের সদস্যগণ,
ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নতি হলে এবং এই জাতীয় একটি স্টেডিয়াম গড়ে উঠলে স্থানীয় অর্থনীতির উপর তার সদর্থক প্রভাব পড়ে। সমাজের নানা পেশার মানুষ এতে উপকৃত হন। সেইসঙ্গে, ক্রীড়ার নতুন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়। এমনকি, ক্রীড়া শিক্ষারও অনেক প্রসার ঘটে। সর্বোপরি, ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত চিকিৎসা ক্ষেত্র এবং শিল্পেরও প্রসার ঘটে। আগে ছেলেমেয়েরা সারাদিন খেলাধূলায় ব্যস্ত থাকলে, বাবা-মা বোকাবকি করতেন। খেলাধূলা করে ভবিষ্যতে কিছু হবে – এই ধারণা পোষণ করতেন সকলে। এখন সেই মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে। ছেলেমেয়ে এমনকি বাবা-মা’রাও এখন খেলাধূলা সম্পর্কে সচেতন। কারণ, এর একটা ভবিষ্যৎ গড়ে উঠেছে এবং দেশের মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটেছে।
বন্ধুগণ,
মাস দুয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের সহদল নামে একটি জনজাতি এলাকা আমি সফর করেছিলাম। সেখানে কয়েকজন তরুণের সঙ্গে আমার কথা হয়। স্থানীয় মানুষরা আমাকে জানান, সেই এলাকাটি একটি ছোট ব্রাজিলের সংস্করণ। কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ঘরে ঘরে এখানে ফুটবল খেলোয়াড় রয়েছেন। ক্রীড়াকে ঘিরে এই জাতীয় মানসিকতা আমি রীতি মতো আশ্বস্ত বোধ করছি। কারণ, দেশের ভবিষ্যৎ এর উপর নির্ভরশীল। এখানে সংসদ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খবর সম্বন্ধে আমি ওয়াকিবহাল। আমার বিশ্বাস যে, এখানকার ছেলেমেয়েরা একদিন বিশ্ব ক্রীড়ায় খ্যাতি অর্জন করবে। এই কারণেই বারাণসীতে যুবসম্প্রদায়ের দিকে তাকিয়ে উচ্চ গুণমানসম্পন্ন ক্রীড়া সুবিধা ব্যবস্থা করা হয়েছে। একথা মাথায় রেখেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা সিগরা স্টেডিয়ামে ব্যয় করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে, গড়ে তোলা হচ্ছে এই নতুন স্টেডিয়াম। সিগরা স্টেডিয়ামে ৫০-টি নানা জাতীয় ক্রীড়া ব্যবস্থার সুযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে।
আমার পরিবারের সদস্যগণ,
ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারত আজ ক্রমাগত সাফল্য অর্জন করছে। দেশের মানসিকতারও আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। ক্রীড়াকে ঘিরে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ব্যবস্থা করেছি আমরা। কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ এ বছর তিনগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে বাজেট বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় – সমস্ত জায়গাতেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সংখ্যা বেড়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এতে আমাদের কন্যাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের অলিম্পিক পোডিয়াম প্রকল্প বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। তরুণ খেলোয়াড়দের গুণগতমানের খাদ্য, সুস্বাস্থ্যের স্বার্থে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং গুণগত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমস্ - এরও আয়োজন করা হয়। এতে আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক পদক লাভ করে। এশিয়ান গেমস্ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এতে অংশ নেওয়া ভারতের সব ক্রীড়াবিদকে আমি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক গুণমানসম্পন্ন করে তুলতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর সুফলও মিলছে। বিশ্ব স্তরে প্রতিযোগিতায় ভারত ক্রমাগত আরও বেশি সাফল্য অর্জন করছে। দেশের মধ্যে নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সফল ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক স্তরে যাওয়ার সুযোগও করে দিচ্ছে সরকার। তাঁদের জন্য উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
প্রত্যেক গ্রামে উন্নতমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্রাম ও ছোট শহরের ছেলেমেয়েরা ক্রীড়ার উন্নত সুবিধা পাচ্ছে। অতীতে আমরা দেখেছি, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই – এর মতো বড় শহরগুলিতে স্টেডিয়ামের সুযোগ ছিল। আজ দেশের নানা প্রান্তে সেই স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে প্রত্যন্ত এলাকায় খেলোয়াড়রাও উন্নত মানের প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচির অধীন এই পরিকাঠামো গড়ে তোলায় মেয়েদেরকে প্রশিক্ষণের জন্য দূরে যেতে হচ্ছে না।
বন্ধুগণ,
আমাদের নতুন শিক্ষা নীতিতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ক্রীড়াকেও একই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার মণিপুরে দেশের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। উত্তর প্রদেশেও ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নতি করতে প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। গোরখপুর স্পোর্টস কলেজের পরিকাঠামো প্রসার থেকে শুরু করে মীরাটে মেজর ধ্যানচাঁদ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ক্রীড়া পরিকাঠামোর প্রসার ঘটছে।
বন্ধুগণ,
দেশের উন্নতির স্বার্থে ক্রীড়া পরিকাঠামোর প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ, ক্রীড়া দেশের মর্যাদার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা দেখেছি যে, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের কল্যাণে বিশ্বের নানা শহরের নাম অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতেও আমরা বিভিন্ন জায়গায় নানা কেন্দ্র গড়ে তুলছি, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। এদিকে তাকিয়েই বারাণসীতে আজ এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করা হ’ল। এটা ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। কেবল ইঁট পাথরে এই স্টেডিয়াম নির্মিত হ’ল, তা নয়, ভারতের ভবিষ্যতেও এ এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে উঠবে। এই যাবতীয় উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। কাশীর আশীর্বাদ আমার উপর রয়েছে। তবে, জনসাধারণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনও কাজ হতে পারে না। আপনাদের আশীর্বাদেই কাশীতে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় লেখা হবে। আরও একবার কাশীর জনসাধারণকে তথা সমগ্র পূর্বাঞ্চলের মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
হর হর মহাদেব!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে)
********
SSS/AB/SB
(रिलीज़ आईडी: 2180612)
आगंतुक पटल : 20
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam