স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
সিবিআই আয়োজিত “পলাতকদের প্রত্যর্পণ : সমস্যা ও রণকৌশল” শীর্ষক সম্মেলনে ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ
Posted On:
16 OCT 2025 4:06PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
আজ নতুন দিল্লিতে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আয়োজিত “পলাতকদের প্রত্যর্পণ : সমস্যা ও রণকৌশল” শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, বিদেশ সচিব, আইবি-র অধিকর্তা, সিবিআই অধিকর্তা-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমাদের দেশ বিশ্ব মঞ্চে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রত্যেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মধ্যে দুর্নীতি, অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আছেই, বাইরে থেকে যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের প্রতিও জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে। এই ধরনের সব অপরাধীকে ভারতীয় আইনের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব এবং এর জন্য গড়ে তুলতে হবে একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা। ইন্টারপোলের আইন এবং তিনটি নতুন অপরাধ আইন মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে যাতে ভারতীয় আদালতে পলাতক অপরাধীকে হাজির করানো যায়। আজকের সম্মেলন সেই পথ দেখাতে পারে।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, অপরাধী যত ধূর্তই হোক না কেন, আইনের আওতায় তাকে আনতে হবে আরও দ্রুততার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শুধুমাত্র সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে তা নয়, আইনের শাসনকেও মজবুত করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দেন আন্তর্জাতিক অভিযান, শক্তিশালী সমন্বয় এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কূটনীতির ওপর। তিনি বলেন, এই সম্মেলনের থিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পলাতক অপরাধীদের সম্পর্ক আছে দেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলা এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে। দীর্ঘদিন পরে এই বিষয়ে একটি নির্ধারিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। সময় এসে গেছে এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়ার যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার সামনে প্রত্যেক পলাতক অপরাধীকে হাজির করা যায়।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, ভারতের প্রত্যর্পণ ব্যবস্থায় দুটি প্রধান উপাদান আছে, সেটি হল, উদ্দেশ্য এবং প্রক্রিয়া। এই ব্যবস্থায় পাঁচটি উদ্দেশ্য থাকা উচিত। সীমান্ত পেরিয়ে বিচারের আওতা বাড়ানো, চিহ্নিতকরণের অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা, আইন ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সুরক্ষার পাশাপাশি অন্য দেশকে আমাদের উদ্বেগের সঙ্গে যুক্ত করা এবং আইনের শাসনের জন্য আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, সিবিআই-এর সহযোগিতায় প্রত্যেক রাজ্যে পলাতকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তিনি এর জন্য সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নানা ধরনের সংস্কার হয়েছে। ২০১৮-য় ফিউজিটিভ ইকোনমিক অফেন্ডার্স আইন তৈরি হয়েছে। যার বলে সরকার পলাতকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। গত চার বছরে সরকার এই আইনে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে। তিনি জানান, মানি লন্ডারিং আইন আরও কঠোর করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে সিবিআই একটি স্পেশাল গ্লোবাল অপারেশন সেন্টার খুলেছে পলাতকদের ধরার জন্য। বিভিন্ন দেশের পুলিশের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ঘটাতে সমন্বয়ের কাজ করছে তারা। শ্রী শাহ জানান, এবছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৯০-এর বেশি রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়েছে, যা সিবিআই-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অপারেশ ত্রিশূলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে বলে তিনি জানান।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, মোদী সরকার ১৬০ বছরের পুরানো ঔপনিবেশিক আইনের জায়গায় তিনটি নতুন অপরাধমূলক আইন এনেছে, যা একবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে বড় সংস্কার। তিনি বলেন, ২০২৭-এর পর যে কোন মামলা তিন বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে সুপ্রিম কোর্ট-সহ সব আদালতে। তিনি জানান, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারায় আসামীর অবর্তমানেও মামলা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইবি এবং সিবিআই-কে কাজ করতে হবে মাল্টি এজেন্সি সেন্টারের মাধ্যমে। প্রত্যেকটি রাজ্যের পুলিশবাহিনীর অন্তর্গত ফোকাস গ্রুপকে শক্তিশালী করতে। প্রত্যেক রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে দ্রুত তৈরি করতে হবে এক্সপার্ট স্পেশাল সেল, যাতে প্রত্যর্পণ মামলায় কার্যকরী প্রস্তুতি সুনিশ্চিত হয়।
শ্রী অমিত শাহ বলেন, ট্রায়াল ইন অ্যাবসেন্শিয়ার সংস্থানগুলিকে পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। পলাতকদের জন্য প্রত্যেক রাজ্যে বিশেষ কারাগার তৈরি করতে হবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়া এবং সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, চলতি ব্লু কর্নার নোটিশকে রেড কর্নার নোটিশে পরিবর্তন করার জন্য বিশেষ অভিযান চালাতে হবে এবং প্রত্যেক রাজ্যে এর জন্য একটি সেল গঠন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মাল্টি এজেন্সি সেন্টারের অধীনে সিবিআই এবং আইবি-কে যুগ্ম ভাবে একটি স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে গোটা প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু রূপায়ণ সুনিশ্চিত করতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারত পুরোপুরি সুরক্ষিত হবে না, যতক্ষণ না বিদেশে বসবাসকারী অপরাধীরা যারা ভারতের অর্থনীতি, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার ক্ষতি করেছে, তারা ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে ভয় পেতে না শুরু করছে।
*******
SSS/AP/AS
(Release ID: 2180181)
Visitor Counter : 5
Read this release in:
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Kannada