প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের ফরিষদীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য
प्रविष्टि तिथि:
04 JUL 2024 6:04PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পাঠ করে শোনান বিদেশমন্ত্রী ডঃ জয়শঙ্কর, যিনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, ভূ-অর্থনৈতিক শক্তি এবং ভূ-প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে বিশ্ব বর্তমানে গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এগুলির সকলেরই সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। আমরা যখন সামনের দিকে তাকাই, তখন তাৎক্ষণিক এবং পদ্ধতিগত উভয় ধরণের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগই উদ্ভূত হচ্ছে। আমরা যখন এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করছি, তখনও আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে যে বিশ্ব অবিচলভাবে বাস্তব বহুমেরুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, এসসিও কেবল আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে এর প্রকৃত মূল্য নির্ভর করবে আমরা সকলেই নিজেদের মধ্যে কতটা সহযোগিতা করি তার উপর। এসসিওর মধ্যে ইতিমধ্যেই আমরা সেই আলোচনা করেছি। একই কথা বর্ধিত পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
চ্যালেঞ্জের কথা বলতে গেলে, সন্ত্রাসবাদ আমাদের অনেকের কাছেই সর্বাগ্রে স্থান পাবে। সত্য হলো, অস্থিতিশীলতার হাতিয়ার হিসেবে দেশগুলি এখনও এটি ব্যবহার করে চলেছে। সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে যে যে কোনও রূপ বা প্রকাশের সন্ত্রাসবাদকে ন্যায্যতা দেওয়া বা প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়াকে অবশ্যই তীব্র নিন্দা করতে হবে। সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের জন্য একটি সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থের বিনিয়োগ এবং নিয়োগকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এসসিও-এর প্রতিশ্রুতি থেকে কখনই পিছপা হওয়া উচিত নয়। এই ক্ষেত্রে আমাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিচারিতা থাকতে পারে না।
ভূ-অর্থনীতির ক্ষেত্রে, আজকের প্রয়োজন হল একাধিক, নির্ভরযোগ্য এবং স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি করা। এটি কোভিড অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। 'মেক ইন ইন্ডিয়া' বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিনগুলিকে যুক্ত করতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে গণতন্ত্রীকরণে সহায়তা করতে পারে। ভারত ক্ষমতাবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুক্ত, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সঙ্গে।
আমাদের সময়ে প্রযুক্তি কেবল বিরাট প্রতিশ্রুতিই বহন করে না, বরং উন্নয়ন ও নিরাপত্তা উভয় ক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমানভাবে একটি পরিবর্তনশীলতা বজায় রেখেছে। ডিজিটাল যুগে আরও আস্থা ও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার নিরাপত্তা তাঁদের নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উত্থাপন করে। একই সাথে, ভারত দেখিয়েছে যে ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো এবং ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এত বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমাদের এসসিও সভাপতিত্বের সময় উভয় বিষয়েই আলোচনা হয়েছিল। তাঁরা এসসিও সদস্য এবং অংশীদারদের জড়িত করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সুযোগও প্রসারিত করে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও, সক্রিয়ভাবে এবং সহযোগিতামূলকভাবে অগ্রগতির পথগুলি অন্বেষণ করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক বিতর্ক নতুন সংযোগ সংযোগ তৈরির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্বকে আরও ভালভাবে পরিবেশন করবে। যদি এটিকে গতিশীল করতে হয়, তবে এর জন্য অনেকের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এটি অবশ্যই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে বৈষম্যহীন বাণিজ্য ও পরিবহন অধিকারের ভিত্তিতে নির্মিত হতে হবে। এসসিও বর্ধিত পরিবারের জন্য, আমরা সম্প্রতি ভারত ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে চাবাহার বন্দরে যে অগ্রগতি হয়েছে তা তুলে ধরছি। এটি কেবল স্থলবেষ্টিত মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রগুলির জন্যই নয়, ভারত ও ইউরেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের ঝুঁকিও কমিয়ে আনবে।
এই অঞ্চল নিয়ে কথা বলার সময়, আমাকে আফগানিস্তান সম্পর্কেও বলতে দিন। আমাদের জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে যা আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প, মানবিক সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং খেলাধুলা। ভারত আফগান জনগণের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংবেদনশীল।
এসসিও বর্ধিত পরিবার বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি শেয়ার করে নেয়। এটি কেবল তখনই সম্ভব যখন এই প্রচেষ্টাগুলি রাস্ট্রসংঘ এবং এর নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আমরা আশা করি যে অদূর ভবিষ্যতে, আমরা ভবিষ্যতের পথে একটি শক্তিশালী ঐকমত্য তৈরি করতে পারব।
এসসিও-এর অর্থনৈতিক এজেন্ডা বৃদ্ধিতে ভারত উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। আমাদের কাছে এসসিও স্টার্টআপ ফোরাম এবং স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনের উপর বিশেষ ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতে ১০০টি ইউনিকর্ন-সহ ১,৩০,০০০ স্টার্টআপ রয়েছে, আমাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্যও কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।
চিকিৎসা এবং সুস্থতা পর্যটনের ক্ষেত্রে, আপনি হয়তো জানেন যে ‘হু’ বাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুজরাটে একটি গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন স্থাপন করেছে। এসসিও -তে, ভারত ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের উপর একটি নতুন এসসিও ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগ নিয়েছে।
শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি ভারতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মূল স্তম্ভ। আমরা সি-৫ অংশীদারদের সাথে, অথবা 'নেবারহুড ফার্স্ট' বা বর্ধিত প্রতিবেশীদের সাথে, সেগুলিকে আরও গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যত বেশি সংখ্যক দেশ এসসিও-র সঙ্গে পর্যবেক্ষক বা সংলাপ অংশীদার হিসেবে যুক্ত হতে চাইছে, আমাদের অবশ্যই আরও ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন এবং আমাদের ঐক্যমত্যকে আরও গভীর করার চেষ্টা করতে হবে। ইংরেজিকে তৃতীয় সরকারি ভাষার মর্যাদা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা কাজাখস্তানকে একটি সফল শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানাই। বিশ্ববন্ধু বা বিশ্বের বন্ধু হিসেবে, ভারত সর্বদা তার সকল অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করার চেষ্টা করবে। আমরা এসসিও-র আসন্ন চীনা সভাপতিত্বের সাফল্যের জন্যও আমাদের শুভেচ্ছা জানাই।
*****
SSS/SB/DM
(रिलीज़ आईडी: 2177726)
आगंतुक पटल : 11
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Tamil
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Hindi_MP
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam