প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

রাজস্থানের বনসওয়াড়ায় উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 25 SEP 2025 6:11PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ 

 

মা ত্রিপুরা সুন্দরী কি জয়, বেণেশ্বর ধাম কি জয়, মানগড় ধাম কি জয়, জয়গুরু! রাম রাম! মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী হরিবাউ বাগাড়ে জী, মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা জী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী বসুন্ধরা রাজে জী, আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী প্রহ্লাদ যোশী জী, শ্রী গজেন্দ্র সিং  শেখাওয়াত জি এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব জী, রাজস্থান সরকারের মন্ত্রিগণ, বিশিষ্টজনেরা, ভাই ও বোনেরা!

নবরাত্রির চতুর্থ দিনে মা ত্রিপুরা সুন্দরীর ভূমি এই বনসওয়াড়ায় আসার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। নবরাত্রিতে শক্তির নয়টি রূপ’কে আমরা পুজো করে থাকি। আজ এখানেও শক্তি সংক্রান্ত অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে এক বড় অনুষ্ঠান হচ্ছে। আজ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র মিলিয়ে ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। বনসওয়াড়ায় পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে এক সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও সূচনা করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও দেশের ১৮ হাজার গ্রামে এখনও বিদ্যুতের ছিল না। গ্রামগুলিতে দিনে চার-পাঁচ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকত না। ২০১৪ সাল থেকে এই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। আমরা দেশের ২.৫ কোটি বাড়িতে বিনা খরচে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। একুশ শতকে যে কোনও দেশের দ্রুত অগ্রগতি ঘটাতে হলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন অবশ্যই বাড়াতে হবে। এই ক্ষেত্রে পরিবেশ-বান্ধব শক্তির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে আজ অনেকগুলি রাজ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হ’ল। 

ভাই ও বোনেরা,

আজ রাজস্থানের মানুষের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে – জল, বিদ্যুৎ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রকল্প। সেইসঙ্গে, বন্দে ভারত-সহ তিনটি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে। আজ রাজস্থানের ১৫ হাজার তরুণ সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। গরিব, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসীদের কল্যাণে আমরা কাজ করে চলেছি। কংগ্রেস সরকার বরাবরই আদিবাসী সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করে এসেছে। অটল জী-র সরকার ক্ষমতায় আসার পর পৃথক আদিবাসী মন্ত্রক গঠন করা হয়। আদিবাসী ভাই ও বোনেরা হাজার হাজার বছর ধরে অরণ্য সম্পদ ব্যবহার করে আসছেন। সেই কারণে, আমরা বন ধন যোজনা চালু করেছি। 

বন্ধুগণ,

নবরাত্রির প্রথম দিনে আমরা জিএসটি সংস্কার করেছি। আজ গোটা দেশ জিএসটি ‘সঞ্চয়’ উৎসব পালন করছে। অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক কমেছে। সাবান, শ্যাম্পু, দাঁতের মাজন থেকে জুতো, জামাকাপড় – সবকিছুরই দাম অনেকটাই কমেছে। কংগ্রেস জমানায় ৬০ হাজার টাকার বাইকের উপর ১৯ হাজার টাকার কর আদায় করা হ’ত। ২০১৭’তে আমরা জিএসটি চালু করি এবং সেই কর ২,০০০-২,৫০০ হাজার টাকায় নেমে আসে। 

ভাই ও বোনেরা, 

আমাদের আরও একটি লক্ষ্য রয়েছে, সেটি হ’ল – আত্মনির্ভর ভারত। আমাদের এখন স্বনির্ভর হয়ে ওঠা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। স্বদেশী মন্ত্রের মাধ্যমেই এটি সম্ভব। আমি রাজস্থান সহ গোটা দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে, বিশেষত দোকান মালিক এবং ব্যবসায়ীদের কাছে এই আবেদন জানাচ্ছি যে, আমরা যা কিছু বিক্রি করব, তা স্বদেশী হওয়া উচিত। নাগরিকদের কাছে আমার আবেদন হ’ল – আমরা যা কিছু কিনব, তা স্বদেশী হওয়া উচিত। আমার স্বদেশীর সংজ্ঞা অত্যন্ত সহজ, তা হ’ল – কোম্পানি যে কোনও দেশের হতে পারে, ব্র্যান্ড যে কোনও দেশের হতে পারে, কিন্তু পণ্য অবশ্যই ভারতে তৈরি হতে হবে। অতএব, আসুন, আমরা স্বদেশীকে আমাদের গর্ব করে তুলি। আমরা যখন স্বদেশী সামগ্রী কিনি, তখন সেই টাকা আমার দেশের একজন কারিগর, কর্মী, একজন ব্যবসায়ীর কাছে যায়। সেই টাকা দেশেই থেকে যায় এবং উন্নয়নের কাজে তা খরচ করা হয়। সেই টাকায় আমরা নতুন নতুন মহাসড়ক, নতুন রাস্তা, বিদ্যালয় এবং গরিব মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করি। 

বন্ধুগণ,

এই উৎসবের মরশুমে আমি শুধুমাত্র স্বদেশী পণ্য কেনার জন্য আপনাদের সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আমি সবাইকে আবার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আজ উন্নয়নমূলক একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে এবং তাতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ! আমার সঙ্গে বলুন - ভারতমাতা কি জয়! ভারতমাতা কি জয়! ভারতমাতা কি জয়!
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।


*****

SSS/MP/SB


(Release ID: 2175293) Visitor Counter : 4