প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

বিহারের পূর্ণিয়ায় একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 15 SEP 2025 7:26PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 

ভারত মাতা কি- জয় !
ভারত মাতা কি- জয় !

মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার, মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা !

আপনাদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা। পূর্ণিয়া হল পুরাণ দেবী ও ভক্ত প্রহ্লাদের ভূমি এবং মহর্ষি মেহি বাবার কর্মস্থল। এই মাটি জন্ম দিয়েছে ফণীশ্বর নাথ রেণু ও সতীনাথ ভাদুড়ির মতো ঔপন্যাসিকের। এ হল বিনোভা ভাবের মতো কর্মযোগীর কর্মভূমি। এই পবিত্র ভূমিকে আমি বার বার প্রণাম জানাই। 

বক্তব্য শুরু করার আগে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। কলকাতায় আমার কর্মসূচি কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ায় এখানে পৌঁছতে আমার দেরি হয়েছে। তা সত্ত্বেও আপনারা এতো বিপুল সংখ্যায় আমাকে আশীর্বাদ করতে এখানে অপেক্ষা করছেন, আপনাদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমি আপনাদের আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আবারও দেরিতে আসার জন্য আপনাদের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ক্ষমা চাইছি। 

বন্ধুরা,

আজ বিহারের জন্য প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস হয়েছে। রেল, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত এই প্রকল্পগুলি সীমাঞ্চলের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে। আজ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ৪০,০০০-এরও বেশি মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছেন। এই ৪০,০০০ পরিবারের কাছে এ এক নতুন সূচনা। ধনতেরাস, দেওয়ালী ও ছট পুজোর ঠিক আগে পাকা বাড়ি পাওয়া এবং নিজের বাড়িতে প্রবেশ করা সত্যিই এক আশীর্বাদ। আমি এই পরিবারগুলিকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুরা,

আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আমার গৃহহীন ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করার জন্য। একদিন তারা প্রত্যেকে পাকা বাড়ি পাবেন এবং এটা হল মোদীর গ্যারান্টি। গত ১১ বছরে আমাদের সরকার গরিব মানুষের জন্য ৪ কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি তৈরি করে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে। আরও ৩ কোটি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। যতদিন না প্রত্যেক গরিব মানুষ পাকা বাড়ি পান, ততদিন মোদী বিশ্রাম নেবে না। পিছিয়ে পড়াদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং গরিবদের সেবা করাই হল মোদীর মিশন। 

বন্ধুরা,

আজ আমরা স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার দিবস উদযাপন করছি। বিকশিত ভারত ও বিকশিত বিহার গঠনে ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এই উপলক্ষ্যে আমি দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যেও ইঞ্জিনিয়ারদের কঠোর পরিশ্রম ও দক্ষতার ছাপ রয়েছে। ৫ মাসেরও কম রেকর্ড সময়ে পূর্ণিয়া বিমান বন্দরের টার্মিনাল ভবন নির্মিত হয়েছে। আজ এই টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন হল এবং এখান থেকে প্রথম বাণিজ্যিক উড়ানের চলাচল শুরু হল। আমাদের অসমারিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী নাইডুও এখানে রয়েছেন। তাঁর জন্য আপনারা করতালি দিন কারণ, এখান থেকে বিমান পরিষেবা শুরু করার নেপথ্যে তিনিই রয়েছেন। এই নতুন বিমান বন্দরের দৌলতে পূর্ণিয়া এখন দেশের বিমান পরিবহণ মানচিত্রে স্থান করে নিল। এখন থেকে দেশের সমস্ত বড় শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে পূর্ণিয়া ও সীমাঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ থাকবে। 

বন্ধুরা,

এনডিএ সরকার এই সমগ্র অঞ্চলকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেল পরিষেবার মাধ্যমেও সংযুক্ত করছে। আজও আমি বন্দে ভারত, অমৃত ভারত এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলের সূচনা করেছি। আরারিয়া ও গালগালিয়ার মধ্যে নতুন রেল লাইনের উদ্বোধন হয়েছে, শিলান্যাস হয়েছে বিক্রমশীলা থেকে কাটারিয়া পর্যন্ত রেল লাইনের। 

বন্ধুরা,

কয়েকদিন আগেই ভারত সরকার এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বক্সার-ভাগলপুর হাইস্পিড করিডরে মোকামা-মুঙ্গের শাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুঙ্গের-জামালপুর ও ভাগলপুরের মতো শিল্পকেন্দ্রগুলি ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। সরকার ভাগলপুর-দুমকা-রামপুরহাট শাখায় ডাবল লাইনিং-এরও অনুমোদন দিয়েছে। 

বন্ধুরা,

দেশের উন্নয়নের জন্য বিহারের উন্নয়ন অপরিহার্য। আর বিহারের উন্নয়নের জন্য পূর্ণিয়া ও সীমাঞ্চলের উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক। আরজেডি ও কংগ্রেস সরকারের আমলে এই অঞ্চলই সবথেকে বেশি উপেক্ষিত ছিল। কিন্তু এখন এনডিএ সরকারের আমলে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এই অঞ্চল এখন উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। 

বন্ধুরা,

বিহারকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তোলার কাজ চলছে। ভাগলপুরের পিরপাইন্টিতে ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে। 

বন্ধুরা,

বিহারের ডবল ইঞ্জিন সরকার কৃষক ও পশুপালকদের আয় বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ কোশি-মেচি আন্তঃরাজ্য নদী সংযোগ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের শিলান্যাস করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় পূর্ব কোশির প্রধান খালের সম্প্রসারণ ঘটানো হবে, লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা হবে এবং বন্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে। 

বন্ধুরা,

বিহারের চাষিদের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল মাখানা চাষ। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলি মাখানা চাষ ও চাষিদের অবহেলা করে এসেছে। আমি খুব জোরের সঙ্গে বলতে পারি আজ যারা এখানে ঘোরাফেরা করছেন, তারা আমাদের সরকার আসার আগে মাখানার নামও শোনেননি। আমাদের সরকারই মাখানাকে তার প্রাপ্য গুরুত্ব দিয়েছে। 

বন্ধুরা,

আমি বিহারের মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে একটি জাতীয় মাখানা পর্ষদ গড়ে তোলা হবে। গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার এই পর্ষদ গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। মাখানা চাষিরা যাতে তাঁদের ফসলের ন্যায্য দাম পান এবং এই ক্ষেত্রে যাতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ হয়, পর্ষদ তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। আমাদের সরকার মাখানা ক্ষেত্রের উন্নয়নে প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। 

বন্ধুরা,

বিহারের এই উন্নয়ন, বিহারের এই অগ্রগতি কিছু লোক মেনে নিতে পারেন না। যারা দশকের পর দশক ধরে বিহারকে শোষণ করেছে, যারা এই মাটির সঙ্গে বেইমানি করেছে তারা ভাবতেই পারে না যে বিহারও নতুন নতুন মাইলফলক স্পর্শ করতে পারে। আপনারা দেখতে পাবেন যে, আজ বিহারে প্রতিটি ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে। রাজগীরে আজ হকি এশিয়া কাপ হচ্ছে, আন্টা ও সীমারিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক সেতু নির্মাণের কাজ চলছে, বিহারে তৈরি রেল ইঞ্জিন আজ সুদূর আফ্রিকায় রপ্তানি করা হচ্ছে। কংগ্রেস আর আরজেডি এটা হজম করতে পারছে না। যখনই বিহার এগিয়ে চলে, তখনই এরা বিহারকে অপমান করতে শুরু করে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, আরজেডি-র সহযোগী কংগ্রেস সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিহারকে বিড়ির সঙ্গে তুলনা করেছে। এরা বিহারকে এতটাই ঘৃণা করে ! একের পর এক কেলেঙ্গারি ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে এরা বিহারের সম্মানকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল। আর আজ বিহারের অগ্রগতি দেখে কংগ্রেস এবং আরজেডি আরও একবার রাজ্যের বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। 

ভাই ও বোনেরা,

এই যাদের মানসিকতা, তারা কোনোদিনও বিহারের কোনও উপকার করতে পারবে না। যারা নিজেদের পকেট ভরাতে ব্যস্ত থেকেছে, কেন তারা গরিব মানুষের বাড়ির কথা একবারও ভাববে না? কংগ্রেসেরই একজন প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন যে, সরকার ১০০ পয়সা পাঠালে, ৮৫ পয়সাই মাঝখানের লোকেরা লুঠ করে নিয়ে চলে যায়। আপনারা আমাকে বলুন, কংগ্রেস-আরজেডি সরকারের আমলে কখনও কি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছেছে? তারা কেবল লন্ঠন জ্বালিয়ে টাকা খুঁজেছে আর ওই ৮৫ পয়সা গিলে ফেলেছে। সেই করোনা অতিমারি থেকে প্রতিটি গরিব পরিবার ফ্রি-তে রেশন পাচ্ছেন। কংগ্রেস-আরজেডি সরকার কি কখনও আপনাদের বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে? আজ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবাদে প্রতিটি গরিব পরিবার বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। ওরা কি কখনও আপনাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, কখনও আপনাদের জন্য হাসপাতাল গড়েছে? আমি আবার আপনাদের জিগ্যেস করছি, ওরা কি কখনও আপনাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে? ওরা আপনাদের নিয়ে ভেবেছে কখনও? 

বন্ধুরা,

কংগ্রেস এবং আরজেডি শুধু বিহারের সম্মানের ক্ষেত্রেই নয়, অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও বিপজ্জনক। আজ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য গোটা পূর্বভারত এবং সীমাঞ্চল এক বিরাট জনবিন্যাসগত সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। বিহার, বাংলা, অসম এবং বহু রাজ্যের বাসিন্দারা তাঁদের মেয়ে-বোনেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেইজন্যই আমি লালকেল্লা থেকে জনবিন্যাসগত মিশন চালু করার কথা ঘোষণা করেছি। কিন্তু এদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থপরতা দেখুন। কংগ্রেস, আরজেডি এবং তাদের সমস্ত সাঙ্গোপাঙ্গোরা এই অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে। তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। বিদেশ থেকে যারা বেআইনীভাবে ভারতে ঢুকেছে, তাদের হয়ে এরা নির্লজ্জের মতো শ্লোগান দিচ্ছে, তাদের জন্য মিছিল বের করছে। এরা আসলে বিহার ও দেশের সম্পদ এবং নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়। কিন্তু আজ এই পূর্ণিয়ার মাটি থেকে আমি একটা কথা খুব স্পষ্টভাবে বলছি। আরজেডি এবং কংগ্রেসের লোকেরা কান খুলে শুনে নিন। প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে এনডিএ দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। যারা অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন, আমি সেইসব নেতাদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, আপনারা যত চেষ্টাই করুন না কেন, ভারতের মাটিতে এদেশের আইনই বলবৎ থাকবে, অনুপ্রবেশকারীদের জারিজুরি খাটবে না। এটা মোদীর গ্যারান্টি। অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সারা দেশ এর ইতিবাচক ফল দেখতে পাবে। কংগ্রেস ও আরজেডি-র যে নেতারা অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, বিহার এবং দেশের মানুষ তাঁদের মুখের মতো জবাব দেবেন। 

বন্ধুরা,

বিহারে গত দু দশক ধরে কংগ্রেস এবং আরজেডি ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। নিঃসন্দেহে এর সবথেকে বড় কৃতিত্ব বিহারের মা-বোনেদের। আজ আমি বিশেষ করে বিহারে মা-বোনেদের প্রণাম জানাই। আরজেডি শাসনে এই মা-বোনেরাই হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে এই মহিলারাই ‘লাখপতি দিদি’ ও ‘ড্রোন দিদি’ হয়ে উঠছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহিলারা এক ব্যাপক বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিশেষত নীতীশজির নেতৃত্বে ‘জীবিকা দিদি’ আন্দোলনের সাফল্য নজিরবিহীন। বিহার সারা দেশের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। 

বন্ধুরা,

আজও আমাদের বোনেদের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। ৫০০ কোটি টাকা! এই অর্থ ক্লাস্টার স্তরের ফেডারেশনগুলিতে পৌঁছবে, যারা গ্রামের পর গ্রামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ক্ষমতায়ন ঘটাবে। মহিলাদের নিজেদের সম্ভাবনার প্রসারের সুযোগ দেবে এই উদ্যোগ। 
 
বন্ধুরা,

আরজেডি আর কংগ্রেসের কাছে তাদের নিজেদের পরিবারই সবকিছু ছিল। তারা কখনও আপনাদের পরিবার নিয়ে ভাববে না। কিন্তু মোদীর কাছে আপনারাই হলেন মোদীর পরিবার। সেইজন্যই তো মোদী বলে, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। আর ওরা কী বলে? নিজের পরিবারের বিকাশ, নিজের পরিবারের উন্নয়ন। 

তাই ভাই ও বোনেরা,

মোদী আপনাদের খরচা নিয়েও চিন্তা করে, আপনাদের সঞ্চয় নিয়েও ভাবে। আগামীদিনে উৎসবের মরশুম আসছে। এবার দেওয়ালী ও ছটের আগে আমাদের সরকার গরিব ও মধ্যবিত্তদের বিশাল উপহার দিচ্ছে। আজ হল ১৫ সেপ্টেম্বর। আর মাত্র ১ সপ্তাহ পরে ২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিনে দেশ জুড়ে জিএসটি এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। প্রতিদিন যেসব দ্রব্যসামগ্রী আপনাদের প্রয়োজন হয়, তার ওপর জিএসটি ব্যাপকভাবে কমছে। আমি বিশেষ করে এখানে উপস্থিত আমার মা ও বোনেদের বলতে চাই যে, জিএসটি কমার ফলে আপনাদের রান্নার খরচ অনেক কমে যাবে। দাঁতের মাজন থেকে শুরু করে সাবান, শ্যাম্পু, ঘি, খাদ্যদ্রব্য সবকিছু সস্তা হবে। উৎসবের মরশুমে আপনারা অনেক কম টাকায় বাচ্চাদের জন্য জামা-কাপড় কিনতে পারবেন। আসলে যে সরকার গরিবের জন্য ভাবে, তারা সেই কাজই করে, যাতে গরিবের কল্যাণ হয়। 

বন্ধুরা,

স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পূর্ণিয়ার সন্তানেরা ব্রিটিশদের ভারতের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আজ আমরা আরও একবার অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে শত্রুদের আমাদের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছি। পূর্ণিয়ার সাহসী সন্তানদেরও এতে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা হোক বা উন্নয়ন, বিহার সব সময়ই তাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের এইভাবেই বিহারের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি আজকের এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য বিহারে আমার ভাই ও বোনেদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। নীতীশজির নেতৃত্বকে জানাই অভিবাদন। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এবার সর্বশক্তি নিয়ে আমার সঙ্গে বলুন, 

ভারত মাতা কি- জয় ! ভারত মাতা কি- জয় ! ভারত মাতা কি- জয় !


অনেক অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন। 

 


SC/SD/NS…


(Release ID: 2167121) Visitor Counter : 2