স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে গুজরাটের গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত পঞ্চম অখিল ভারতীয় রাজভাষা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
Posted On:
14 SEP 2025 4:55PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত পঞ্চম অখিল ভারতীয় রাজভাষা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার সহ বিশিষ্টজনেরা ।
শ্রী শাহ বলেন, হিন্দি প্রতিটি ভারতীয় ভাষার বন্ধু। এই ভাষার সঙ্গে অন্যান্য ভারতীয় ভাষার কোনও সংঘাত নেই। এক্ষেত্রে সবথেকে বড় উদাহরণ হল গুজরাট। গুজরাটে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং কে এম মুন্সি-র মতো বিশিষ্টজনেরা হিন্দিকে গ্রহণ করেছেন এবং এই ভাষার উন্নতিতে কাজ করেছেন। গুজরাটে হিন্দি এবং গুজরাটি দুটি ভাষার সহাবস্থানে উভয় ভাষাই শক্তিশালী হয়েছে। গুজরাটের শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দি অন্যতম অংশীদার। আর তাই গুজরাটের ছেলেমেয়েরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন। এখানকার অনেক দূরদর্শী নেতা বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা শিখে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেন এবং প্রতিটি রাজ্যে হিন্দি ভাষার প্রসারে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। ফলস্বরূপ গুজরাট থেকে যে কোনও ব্যক্তি দেশের যে কোনও প্রান্তে গিয়ে তাঁর কাজ করতে পারেন, সকলের কাছেই তাঁরা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন।
শ্রী শাহ বলেন, গত ৫ বছর ধরে অখিল ভারতীয় রাজভাষা সম্মেলন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে হিন্দি ভাষার আলাপচারিতার এক শক্তিশালী সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, হিন্দির ব্যবহারকে শুধুমাত্র মতবিনিময় এবং প্রশাসনের ভাষা হিসেবে আবদ্ধ রাখলে চলবে না, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বিচার ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলার কাজেও এই ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এই অনুষ্ঠানে ‘সারথী’ অনুবাদ ব্যবস্থাপনার সূচিত হয়। এর মাধ্যমে হিন্দিতে লিখিত বিভিন্ন বিষয়বস্তু সবকটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় ভাষায় সহজেই অনুবাদ করা যাবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গুজরাটি ভাষার অভিধান রচনায় মহাত্মা গান্ধী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে এটিই প্রমাণিত হয়, কোনও সমাজ, তার নিজের ভাষাকে অবহেলা করে এগিয়ে যেতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি কৃত্রিম মেধার সাহায্যে ব্যবহৃত চশমার কথা উল্লেখ করেন। এই চশমা দৃষ্টি বঞ্চিতদের জন্য সহায়ক হবে।
হিন্দি শব্দসিন্ধু অভিধানের সম্প্রসারণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই অভিধানে ৫১,০০০ শব্দ ছিল। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ লক্ষে পৌঁছেছে। ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অভিধান হিসেবে এটি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।
শ্রী শাহ বলেন, সংস্কৃত আমাদের জ্ঞানভাণ্ডার উপহার দিয়েছে। হিন্দি সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষাগুলি সেই জ্ঞানকে সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। কোনও এক সময় বলা হয়েছিল হিন্দি অতীতের ভাষা হিসেবে পরিচিতি পাবে। কিন্তু আজ হিন্দি সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষাগুলি ভবিষ্যতের ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কেনোও দেশের জনসাধারণ যখন তাঁদের মাতৃভাষায় কথা বলেন, তখন সেই দেশ গর্ববোধ করে। তিনি অভিভাবকদের সন্তানদের সঙ্গে মাতৃভাষায় কথা বলার, সেই ভাষার যাতে তাঁদের ছেলেমেয়েরা বলতে, পড়তে ও লিখতে পারে- সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
SC/CB/NS
(Release ID: 2166740)