প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
গুয়াহাটি, আসাম-এ অনুষ্ঠিত "ঝুমইর বিনন্দিনী" কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
24 FEB 2025 8:43PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
ভারতমাতা কি – জয়!
ভারতমাতা কি – জয়!
আসামের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্যজি, উদ্যমী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাজি, কেন্দ্রীয় সরকারে আমার সহকর্মী ড. এস. জয়শঙ্কর ও শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা'জি, উপস্থিত মন্ত্রীবৃন্দ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ, শিল্পী বন্ধু এবং আমার প্রিয় আসামের ভাই-বোনেরা,
আপনাদের প্রত্যেককে আমার আন্তরিক প্রণাম ও শুভেচ্ছা। আপনারা সকলে কেমন আছেন, ভাই ও বোনেরা?
আজ এখানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অপরিসীম আনন্দিত।
ভাই ও বোনেরা,
আজ আসামে এক অসাধারণ আবহ তৈরি হয়েছে—উদ্দীপনা, আনন্দ ও উৎসাহে ভরপুর। সমগ্র স্টেডিয়াম যেন উল্লাসে মুখরিত। ঝুমইর নৃত্যশিল্পীদের প্রস্তুতি সর্বত্র দৃশ্যমান। এই আয়োজনের আভিজাত্যে চা-বাগানের গন্ধ ও সৌন্দর্য মিশে আছে। আর চা-এর সুবাস ও রং কে-ই বা আমার মতো একজন চা-ওয়ালার থেকে বেশি ভালো বুঝতে পারে! তাই যেমন আপনাদের ঝুমইর ও চা-বাগানের সংস্কৃতির সঙ্গে এক অটুট বন্ধন, আমারও তেমনি এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
বন্ধুগণ,
এত বিপুল সংখ্যক শিল্পীর একসঙ্গে ঝুমইর নৃত্য পরিবেশন এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করবে। ২০২৩ সালে আমি যখন আসামে এসেছিলাম, তখন ১১ হাজারেরও বেশি শিল্পী একসঙ্গে বিহু নাচ পরিবেশন করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। সেই দৃশ্য আজও চোখে ভাসে। আজ আমি অধীর আগ্রহে আরেকটি অনন্য পরিবেশনার প্রতীক্ষা করছি। এই মহোৎসবের আয়োজন করার জন্য আসাম সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাজিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আজকের দিনটি আসামের চা ও আদিবাসী সমাজের জন্য গর্বের দিন। আমি সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।
এমন মহোৎসব শুধু আসামের মর্যাদা বাড়ায় না, ভারতের বৈচিত্র্যকেও বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে। আজ এখানে ৬০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত আছেন আসামের সংস্কৃতিকে প্রত্যক্ষ করার জন্য। একসময় আসাম ও উত্তর-পূর্বকে উন্নয়নের পথে উপেক্ষা করা হতো, তাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিও বিস্মৃত ছিল। কিন্তু আজ উত্তর-পূর্বের সংস্কৃতির এক বিশেষ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর আছেন—মোদী নিজেই। আমি প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি কাজিরাঙ্গায় রাতযাপন করেছি এবং বিশ্বের কাছে তার জীববৈচিত্র্যকে তুলে ধরেছি। অল্প কিছুদিন আগে অসমীয়াকে “প্রাচীন ভাষা”র মর্যাদা দেওয়া হয়েছে—যা অসমের মানুষের বহু দশকের দাবি ছিল। তেমনিভাবে চরাইদেও মাইদামকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পেছনে বিজেপি সরকারের বড় ভূমিকা রয়েছে।
বন্ধুগণ,
অসমের গৌরবের প্রতীক বীর লাচিত বরফুকান মুঘলদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে অসমের সংস্কৃতি ও পরিচয় রক্ষা করেছিলেন। আমরা তার ৪০০তম জন্মজয়ন্তী মহাসমারোহে পালন করেছি, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও তার জীবনগাথা সমগ্র দেশকে জানানো হয়েছে। অসমে তার ১২৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি গড়ে তোলা হয়েছে। একইভাবে আদিবাসী সমাজের অবদানের মর্যাদা দিতে আমরা ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ পালন শুরু করেছি। অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণ প্রসাদজি নিজেও এক আদিবাসী পটভূমি থেকে উঠে এসেছেন এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। দেশজুড়ে আদিবাসী বীর-বীরাঙ্গনাদের অবদানকে অমর করে রাখতে একাধিক জনজাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
বিজেপি সরকার যেমন আসামের উন্নয়নে কাজ করছে, তেমনি চা-বাগানের কল্যাণেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চা- শ্রমিকদের আয় বাড়াতে অসম টি কর্পোরেশনের শ্রমিকদের জন্য বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। চা-বাগানের আমাদের বোনেদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ছিল গর্ভাবস্থায় আর্থিক অনিশ্চয়তা। আজ প্রায় ১.৫ লক্ষ নারী গর্ভাবস্থায় ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন, যাতে তাঁদের দুশ্চিন্তা কমে। আসাম সরকার চা-বাগানে ৩৫০টিরও বেশি ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির’ স্থাপন করছে। ইতিমধ্যেই ১০০টিরও বেশি মডেল চা-বাগান বিদ্যালয় খোলা হয়েছে, আরও ১০০টি খোলার প্রস্তুতি চলছে। যুব সমাজের জন্য ওবিসি কোটায় ৩% সংরক্ষণ চালু করা হয়েছে।স্বনির্ভরতার জন্য যুবকদের ২৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের উন্নয়ন সমগ্র আসামের অগ্রগতিকে গতিশীল করবে, উত্তর-পূর্বকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।
এখন আপনাদের জন্যে দুর্দান্ত পরিবেশনা শুরু হতে যাচ্ছে। আমি আগাম আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, আজ সমগ্র ভারত আপনাদের এই নৃত্য উদযাপন করবে। দেশ-বিদেশের টিভির পর্দায় এই অসাধারণ পরিবেশনা প্রত্যক্ষ করবে। ঝুমইরের এই অনবদ্য উপহার দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে অশেষ কৃতজ্ঞতা। সুস্থ থাকুন, আবারও দেখা হবে।
ভারতমাতা কি – জয়!
SC/TM
(Release ID: 2160164)
Visitor Counter : 8
Read this release in:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam