পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক
পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রন নিয়ে উদ্বেগের উত্তর
Posted On:
12 AUG 2025 4:40PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি ১২ অগাস্ট ২০২৫
পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রন গাড়ির আয়ুষ্কাল এবং মাইলেজের ওপর কোনো ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে কিনা, এনিয়ে এক জাতীয় উদ্বেগের বিস্তারিত উত্তর দিয়েছে পেট্রোল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। ৪ অগাষ্ট এক বিস্তারিত প্রত্যুত্তরে তারা জানিয়েছে, জৈব জ্বালানী এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতের জ্বালানী ক্ষেত্রে সেতু বন্ধের কাজ করে। ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনকে শূন্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভারত যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, সেক্ষেত্রে জাতীয় দায়বদ্ধতার অঙ্গ স্বরূপ পরিবেশবান্ধব বিশ্ব গড়ে তুলতে এটি একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প ব্যবস্থা। এছাড়াও, গ্রামীন অর্থনীতির ক্ষেত্রেও তা এক রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করে। তার কারণ, আখ চাষের এলাকাকে কমিয়ে এনে ভুট্টার চাষের জমি প্রস্তুত করলে, তা কৃষকদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং জীবন ধারণের মানোন্নয়ন ঘটায়।
ইথানল মিশ্রনের যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, অতীতে দেখা যেত সেই টাকা কাঁচা তেল আমদানিতে ব্যয় হতো। এখন ইথানল মিশ্রনের ফলে যে টাকা সাশ্রয় হচ্ছে, তা কৃষকদের উন্নতিকল্পে ব্যয় করা হচ্ছে। ২০১৪-১৫ থেকে শুরু করে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত পেট্রলে ইথানল মিশ্রনের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ব তেল বিপনন সংস্থাগুলির বিদেশী মুদ্রা সঞ্চয় ১,৪৪,০৮৭ কোটি টাকারও বেশি। এর পাশাপাশি ২৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন এই কাঁচা তেল আমদানি হ্রাসের অর্থ হল বাতাসে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ প্রায় ৭৩৬ লক্ষ মেট্রিক টন কম। অর্থাৎ যা ৩০ লক্ষ কোটি বৃক্ষ রোপণের সমপরিমান ফলদায়ক।
সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটো মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এসআইএএম) এবং প্রথম সারির গাড়ি নির্মাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই মিশ্রনের ফলে গাড়ির জ্বালানীর দক্ষতাকে ঘিরে কোনো প্রশ্ন তাদের মধ্যে নেই।
ই-টোয়েন্টি জ্বালানীর ব্যবহার ভারতে গাড়ি বীমার বৈধতার ক্ষেত্রে কোনোরকম প্রভাব ফেলবে না।
ই-টোয়েন্টিকে ছাপিয়ে দেশ কি দ্রুত পর্যায়ে অন্য পথে হাঁটবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। গাড়ি নির্মাণ সংস্থা, তেল কোম্পানী, গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা, ইথানল উৎপাদক সকলেই এই পর্যায়ে আলোচনায় যুক্ত রয়েছে।
চলতি পথ নির্দেশিকায় ৩১-১০-২০২৬ পর্যন্ত ই-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে সরকারের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এরপর, কি সিদ্ধান্ত হবে তা আন্তঃ মন্ত্রিপর্যায়ের কমিটির মূল্যায়ন ভিত্তিক রিপোর্টের ওপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সরকার সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
সর্বোপরি সরকার পরিবেশবান্ধব, আরও সুস্থায়ী জ্বালানীর সুযোগ সামনে রাখছে, যাতে করে রূপান্তর প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হয় এবং ক্রেতাদের ওপর তার ন্যূনতম প্রভাব পড়ে, তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
SC/AB/CS
(Release ID: 2155704)