প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ‘লাখপতি দিদি’দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 26 AUG 2024 1:46PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি: ২৬ আগস্ট ২০২৪


প্রধানমন্ত্রী: যাঁরা ‘লাখপতি দিদি’ (লক্ষপতি দিদি) হয়েছেন আর যাঁরা হননি তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা চলছে?
‘লাখপতি দিদি’ – দিদিরা যখন ‘লাখপতি দিদি’ হয়ে ওঠে, তখন তাঁদের বাড়ির পরিস্থিতি এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা নিজেদের কাছে অন্যরকম মনে হয়। তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে ওঠে, ফলে তাঁরা খুব ভালোভাবে সংসারের খরচ চালায়। আর আমার স্যার দুই ‘দিব্যাংগ’ বোন আছে, যাদেরকে আমি সাহায্য করতে পেরেছি। তাঁদের উন্নতি দেখেও আমি খুব খুশি। 
প্রধানমন্ত্রী: সেই দিব্যাংগ বোনেরাও কি ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন?
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ, অবশ্যই আমি তাকে লক্ষপতি বানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী: তাঁরা কী কাজ করেন?
লাখপতি দিদি – একজনের চামড়ার ব্যবসা, অন্যজনের মুদির দোকান। আমি নিজে একজন লক্ষপতি সিআরপি। আমি সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা রোজগার করি আর আমার দিদিদেরকেও লক্ষপতি বানিয়েছি।
লাখপতি দিদি – আমি নিজেও লক্ষপতি হয়েছি, আরও ২৬০জন মহিলাকে লক্ষপতি বানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন, তার মানে আপনি বছরে কত আয় করেন?
লাখপতি দিদি – আমি বছরে আটলক্ষ টাকা আয় করি।
প্রধানমন্ত্রী- আটলক্ষ টাকা?
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী: ইনি তো আপনার দ্বিগুণ, ভাই। কত বছরে আপনি এই সাফল্য পেয়েছেন?
লাখপতি দিদি – আমি এখানে পাঁচ বছর ধরে আছি, স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - সমগ্র আসামের জনগণ অবশ্যই আপনাকে একজন মহান অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছে।
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ, তাই দেখছি, এখন তো স্যার, আমি ‘জিরো’ থেকে এগিয়ে ‘হিরো’ হয়ে গেছি!
প্রধানমন্ত্রী- সাবাশ!
লাখপতি দিদি – আমার সখী মন্ডলের নাম – অতি উত্তমম সখী মন্ডল। যেখানে আমরা হাতে তৈরি এবং ঘরে তৈরি সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য তৈরি করি- যা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গৃহস্থালির নানা সরঞ্জাম থেকে তৈরি করা হয়। সরস মেলা, ভাইব্রেন্ট গুজরাট, বর্ষা উৎসব – এসব উৎসব আমাদের এত ভালো মঞ্চ দিয়েছে যে, ফলস্বরূপ আমাদের পণ্যের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। এক বছরে আমরা ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি টার্নওভার অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী - ৩০ লক্ষ টাকা।
লাখপতি দিদি - আমাদের টার্নওভার ৩০ লক্ষ টাকার উপরে এবং আমাদের মোট লাভ ১২ লক্ষ টাকার উপরে, স্যার।
লাখপতি দিদি - ১০ জন মহিলা একসঙ্গে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন কোম্পানি চালাই, স্যার।
প্রধানমন্ত্রী: লাতুর থেকে আপনার গ্রাম কত দূরে?
লাখপতি দিদি - ২০ কিলোমিটার স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - ২০ কিলোমিটার। এটা শুরু করার সময় ক’জন বোন ছিলেন?
লাখপতি দিদি - তখন ১০ জন বোন ছিল। কেউ আসতে প্রস্তুত ছিল না আর তাঁরা বলতেও রাজি ছিল না! এই স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলি নিয়ে কথা বলতে তাঁরা লজ্জা পেতেন। তাঁরা বলতেন যে, আমরা এসব বলতে পারবো না।
প্রধানমন্ত্রী- কত টার্নওভার হয়?
লাখপতি দিদি - ৫ লক্ষ টাকার টার্নওভার হয় স্যার।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি এত ভালো হিন্দি বলেন কীভাবে?
লাখপতি দিদি – এভাবেই বলতে বলতে স্যার ঠিক হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী: আচ্ছা, আপনি কি মহারাষ্ট্রের বাইরেও বিক্রি করতে যান?
লাখপতি দিদি – না না স্যার, এখনও মহারাষ্ট্রের মধ্যেই। নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচির জন্য আমি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এবং আমরা যে কর্মসংস্থান পেয়েছি, স্যার, আপনি এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা শুধু মাধ্যম খুঁজে পেয়েছি, সবকিছুর জন্য পথ তো আপনি তৈরি করেছেন। আমাদেরকে শুধু এগিয়ে যেতে হবে।
লাখপতি দিদি - ২০১৭ সাল থেকে, আমি একজন ‘ব্যাঙ্ক সখী’ হিসাবে কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি এখন কত আয় করেন?
লাখপতি দিদি – স্যার, এখন আমি বছরে সাড়ে চার থেকে পাঁচলক্ষ টাকা আয় করি।
প্রধানমন্ত্রী: আপনার কি এখানেই বাড়ি?
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ।
প্রধানমন্ত্রী: তাহলে এদের সবাইকে বাড়িতে নিয়ে যান।
লাখপতি দিদি – অবশ্যই নিয়ে যাব স্যার, আপনিও আসুন।
প্রধানমন্ত্রী- হ্যাঁ, আমাকে কে ডাকে, কেউ ডাকে না।
লাখপতি দিদি – আমি একজন বিশেষজ্ঞ স্যার, এটাই আমার কাজ। যে মহিলারা, যে গ্রামীণ মহিলাদের ব্যাঙ্কে যেতে অসুবিধা হয়, যাঁদের বাড়িতে সমস্যা থাকে, আমি তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলাই।
লাখপতি দিদি – স্যার, আমি আপনাকে গতকালের উদাহরণ বলি। স্যার, গতকাল আমার মেয়েকে স্কুলে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাঁর মা কোথায় গেছে?
প্রধানমন্ত্রী- হ্যাঁ।
লাখপতি দিদি – তো স্যার, আমার মেয়ে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলেছে যে, আমার মা মহারাষ্ট্রে গেছেন এবং মোদীজির সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তো স্যার আপনি যখন নহান এসেছিলেন তখনও আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি কিন্তু আজ আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে স্যার, এটা আমার সৌভাগ্য।
প্রধানমন্ত্রী- আমি আগে সিরমৌরে অনেকবার এসেছি।
লাখপতি দিদি – যখন ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক মোটাদানার শস্যের বছর শুরু হয়, তখন আমরা মোটাদানার শস্য চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছি স্যার। মোটাদানার শস্য চাষের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে, কালেক্টরেটের কাছে যে জেলা পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে আমরা ‘মিলেট ক্যাফে’ চালানোর জন্য একটি বাড়ি পেয়েছি। সেখানে আমরা ৩৮ জন বোন কাজ করি।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি কত আয় করেন?
লাখপতি দিদি- আমি স্যার, আমার বেতন ৩০ হাজার টাকা। তাই আমার বছরে মোট আয় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
লাখপতি দিদি – আমি একজন ‘পশু সখী’ এবং গুজরাটের এনডিডি-র পক্ষ থেকে একজন সাহায্য কর্মীও এবং আমি নিজে একজন ‘লাখপতি দিদি’ এবং ৮৮ জন মহিলা আমার সঙ্গে কাজ করে৷
লাখপতি দিদি – আমার গোষ্ঠীর নাম ‘জয় মাতা দি’। আর আমি ‘পশু সখী’ হিসাবে পথরি গ্রামে কাজ করি, আর আমি ৫০০জন কৃষকের সঙ্গে কাজ করি।
প্রধানমন্ত্রী – ৫০০জন?
লাখপতি দিদি – ৫০০জন কৃষকের সঙ্গে।
লাখপতি দিদি – তাই আমার কাজ হল এসএজি দিদিদের ঋণ দেওয়া এবং তাঁদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করা। আমি বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় করি।
প্রধানমন্ত্রী- দেড় লক্ষ টাকা।
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - বাহ।
লাখপতি দিদি – আমরা আমেডিয়ান স্যার, তাই আমাদের সমাজে আমাদের বেরোনোর অনুমতি ছিলনা স্যার। আমার বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল স্যার। আর গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার পর পথরি গ্রামে ‘পশু সখী’র কাজ পেয়েছি। আর আজ আমি নিজেই লাখপতি দিদি স্যার।
প্রধানমন্ত্রী- আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
লাখপতি দিদি – মেঘালয় থেকে।
প্রধানমন্ত্রী - মেঘালয়, আপনার সঙ্গে কজন বোন আছে?
লাখপতি দিদি - আমাদের গোষ্ঠীতে মাত্র ১০জন।
প্রধানমন্ত্রী – ১০জন! 
লাখপতি দিদি – কিন্তু আমরা স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী চালিত ফার্মেসিতে কাজ করছি, আমি আপাতত আমার স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী চালিত ফার্মেসিতে মাত্র তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি।
লাখপতি দিদি – আমরা যখন এই অভিযানে ছিলাম না, তখন আমাদের কোনও গুরুত্ব ছিল না। আমরা যখন এই অভিযানে যোগ দিলাম, তখন আমাদের সম্মান বেড়ে গেল। কৃষি সখীর প্রশিক্ষণ পেয়ে কৃষির চিকিৎসক হয়ে উঠেছি।
লাখপতি দিদি - আমরা ডাক্তার দিদি নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী: কতগুলি গৃহপালিত পশু নিয়ে যে নিয়ে আপনাদের চিন্তা করতে হয়?
লাখপতি দিদি – স্যার, আমাদের ওখানে যত পশু আছে, আমাদের ব্লক অনেক বড়। সুতরাং অখানে আমরা ২০ জন আছি, যারা সমস্ত কাজ করি। এভাবে আমরা সেখানে ৪৭০জন লাখপতি দিদি তৈরি করেছি।
প্রধানমন্ত্রী - ৪৭০জন? 
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - বাহ, আপনি বিস্ময়কর কাজ করেছেন। আপনাকে অনেক অভিনন্দন।
প্রধানমন্ত্রী: স্যার, আপনি ২০২১ সালে দশ হাজারটি কৃষক উৎপাদনকারী গোষ্ঠী গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই অভিযানে যোগ দিয়ে আমরা আত্মনির্ভর মহিলা ‘ফার্মার প্রডিওসার কোম্পানি লিমিটেড, ইছাওয়ার’ গঠন করি স্যার। আর স্যার, প্রথম বছরেই আমরা এক হাজার কৃষক দিদিকে কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী- এক হাজার?
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - এক বছরে।
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ স্যার।
লাখপতি দিদি – আদাব স্যার, আমার নাম রাবিয়া বশীর। আমি জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার বাসিন্দা। আমার দুগ্ধ খামারের ব্যবসা আছে। আর এখন আমার বার্ষিক আয় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। আমি নিজে একজন লাখপতি এবং আমার সঙ্গে ১৬০জন সদস্যকে লাখপতি বানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি কয়টি পশুর যত্ন নেন?
লাখপতি দিদি - আমি বর্তমানে ১০টি প্রাণীর যত্ন নিই।
লাখপতি দিদি – জয় জোহর স্যার, জয় ছত্তিশগড়।
প্রধানমন্ত্রী - জয় জোহর।
লাখপতি দিদি – স্যার, আমাদের এফপিও হল সোনার কাজের (স্পষ্ট নয়)। যে প্রকল্পটি ভারত সরকার চালু করেছে। আর স্যার, এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে পনের হাজার আটশো দিদি যুক্ত হয়েছেন - কৃষক দিদিরা। তাই প্রত্যেক দিদি তাঁদের কমিশন বাবদ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা উপার্জন করেন।
প্রধানমন্ত্রী: আপনারা ক’জন বোন রয়েছেন?
লাখপতি দিদি - এই মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে ১০০, ৫০০ জন মহিলা রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী- ঠিক আছে।
লাখপতি দিদি – আমি ড্রোন দিদি। 
প্রধানমন্ত্রী- ড্রোন দিদি। তাহলে গ্রামের মানুষ হয়তো আপনাকে ‘পাইলট’ বলে ডাকেন? 
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ, ওই জেলায় ৩ জন ড্রোন পাইলট আছেন, তাদের মধ্যে আমিও একজন।
লাখপতি দিদি – ২০১৯ সাল থেকে আমি জীবন স্বয়ম সহায়তা নামক স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য৷ স্যার, আমার সঙ্গে ১৫০০জন মহিলা আছেন।
প্রধানমন্ত্রী - ১৫০০জন?
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ স্যার। আমি খুব একটা মারাঠি বা হিন্দি জানি না স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - আপনি মারাঠি বলতে পারেন।
লাখপতি দিদি – আমার খামারে মহুয়া আছে। আমি মহুয়ার ব্যবসা করি এবং আমি গোষ্ঠীর অন্য মহিলাদের কাছ থেকে মহুয়া কিনি। আমি দু’মাসে ২-২.৫লক্ষ টাকা আয় করেছি।
প্রধানমন্ত্রী- দুই লাখ?
লাখপতি দিদি – হ্যাঁ!
প্রধানমন্ত্রী: আর গোষ্ঠীতে সব মিলিয়ে কতজন মহিলা আছেন? পাঁচশো?
লাখপতি দিদি- পাঁচশো আটত্রিশজন।
লাখপতি দিদি - স্যার, আমি মারাঠিতে বলছি।
প্রধানমন্ত্রী- হ্যাঁ, বলুন।
লাখপতি দিদি- আমার একটা পর্যটন ব্যবসা আছে। আমার দুটি ট্যুরিস্ট বোট আছে। আমি এসব নৌকায় পর্যটকদের নিয়ে যাই। আমি নিজে কেরালায় গিয়েছিলাম, সেখানে তাঁদের ব্যবসা দেখেছি। এখানে শুধু আমরা মহিলারাই এই ব্যবসা করি। গত তিন বছর ধরে আমি নিজস্ব ট্যুরিস্ট বোট চালাচ্ছি। এ থেকে আমি বছরে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করি।
প্রধানমন্ত্রী- বাহ!
লাখপতি দিদি- আমরা সবাই মিলে এই ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।
লাখপতি দিদি- আমি গোন্দিয়া জেলার বাসিন্দা। আমি সালেকসা এলাকার জনজাতি এলাকা থেকে এসেছি, আমি একজন জনজাতি মহিলা, আর আমি একটি ই-রিকশা পেয়েছি এবং আমি নিজে ই-রিকশা চালাই, এভাবে পাশাপাশি গ্রাম থেকেও কেনা-বেচা করি। আমার প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ হয়।
প্রধানমন্ত্রী- আপনাদের সবার কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে দেশে এখন লাখপতি দিদির সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর মানুষ যখন আপনাদের সাফল্য দেখবে এবং শুনবে, আর এখানে আপনারা অন্যদেরকেও নিজেদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলবেন,  এভাবে আপনি কতটা স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং আপনি অন্যদের কতটা সাহায্য করতে পারেন। শুধু তাই নয়, আপনাদের পরিবার আপনাদের শক্তি ব্যবহার করে কতটা বলীয়ান হয়েছে, আপনার চারপাশের সমগ্র পরিবেশে কত ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে! আপনারা কি জানেন আমার লক্ষ্য কি? দেখুন, দেশে ১ কোটি দিদি ইতিমধ্যেই লাখপতি দিদি হয়েছেন, আর আমাদের ৩ কোটি লাখপতি দিদি বানাতে হবে, তাই আপনাদের অন্যদের বোঝাতে হবে। বোঝাবেন?
লাখপতি দিদি- (সমস্বরে) হ্যাঁ স্যার!
প্রধানমন্ত্রী – অবশ্যই বোঝাবেন?
লাখপতি দিদি-(সমস্বরে) হ্যাঁ!  
প্রধানমন্ত্রী - সাবাশ। ধন্যবাদ

(বি. দ্র.- লাখপতি দিদিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই কথোপকথন হিন্দিতে হয়েছে, দু’জন মহিলা মারাঠিতে কথা বলেছেন, যা এখানে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।)
 
*

PG/SB



(Release ID: 2049678) Visitor Counter : 10