প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ভারত মণ্ডপমে ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বাংলা রূপান্তর

Posted On: 03 NOV 2023 2:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৩ নভেম্বর, ২০২৩
 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী পীযূষ গোয়েল, শ্রী গিরিরাজ সিং, শ্রী পশুপতি পারস, শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা, শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিশিষ্ট অতিথিরা, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা, ব্যবসায়িক ও স্টার্টআপ মহলের সহকর্মীরা, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আমাদের কৃষক ভাই ও বোনেরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া গ্লোবাল কনফারেন্সে আপনাদের সবাইকে আন্তরিক স্বাগত জানাই।

এখানে আসার আগে আমি এখানকার প্রযুক্তি প্যাভিলিয়ন দেখতে গিয়েছিলাম। প্রযুক্তি প্যাভিলিয়ন, স্টার্টআপ প্যাভিলিয়ন এবং ফুড স্ট্রিটের ব্যবস্থাপনা অসাধারণ। স্বাদ ও প্রযুক্তির এই মিশ্রণ এক নতুন ভবিষ্যতের জন্ম দেবে, গতি সঞ্চার করবে এক নতুন অর্থনীতিতে। একবিংশ শতাব্দীর পরিবর্তনশীল বিশ্বে খাদ্য সুরক্ষা এক বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্যই এই ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ার আয়োজন আরও বেশি করে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 


বন্ধুরা,

ভারতে আজ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে সূর্যোদয়ের ক্ষেত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ার সূচনালগ্ন থেকে যে ফলাফল আমরা পেয়েছি, তা এই বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করে। ভারত সরকারের শিল্প বান্ধব ও কৃষি বান্ধব নীতির সুবাদে গত ৯ বছরে এই ক্ষেত্রে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য উৎপাদনভিত্তিক উৎসাহদান প্রকল্প চালু করেছি যা প্রতিষ্ঠিত এবং সদ্যোজাত- দু ধরণের শিল্পসংস্থাকেই বিশেষ সহায়তা প্রদান করেছে। বর্তমানে ভারতে এগ্রি ইনফ্রা ফান্ডের আওতায় ফলন-পরবর্তী পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য হাজার হাজার প্রকল্পের কাজ চলছে। এ বাবদ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। মৎস্য ও পশুপালন ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণ পরিকাঠামো গড়ে তুলতেও হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। 

বন্ধুরা,

বিনিয়োগকারী-বান্ধব নীতিগুলির রূপায়ণ আজ দেশের খাদ্য ক্ষেত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। গত ৯ বছরে আমাদের কৃষি রপ্তানীতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ভাগ ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। এই সময় প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানী বেড়েছে প্রায় দেড়শো শতাংশ। বর্তমানে আমরা ৫০ হাজার মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের কৃষিপণ্য রপ্তানী করে বিশ্বে সপ্তম স্থানে রয়েছি। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে এই অভাবনীয় বৃদ্ধির ছোঁয়া লাগেনি। এই বৃদ্ধি খাদ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিটি সংস্থা ও স্টার্টআপের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। 

বন্ধুরা,

এই বিকাশের গতি চমকপ্রদ ও দ্রুত হলেও এর পিছনে রয়েছে আমাদের ধারাবাহিক পরিশ্রম। আমাদের সরকারের আমলেই ভারতের প্রথম কৃষি রপ্তানী নীতি তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে আমরা পরিকাঠামো ও লজিস্টিকের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। 

বর্তমানে দেশে জেলা পর্যায়ে ১০০টিরও বেশি রপ্তানী কেন্দ্র রয়েছে, যা জেলাগুলিকে সরাসরি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করছে। গোড়ার দিকে গোটা দেশে মাত্র দুটি মেগা ফুড পার্ক ছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে গেছে। আগে আমাদের প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ছিল ১২ লক্ষ মেট্রিকটন, এখন তা ২০০ লক্ষ মেট্রিকটন ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৯ বছরে এর বৃদ্ধি হয়েছে ১৫ গুণেরও বেশি ! 

এমন অনেক পণ্য রয়েছে যেগুলি প্রথমবারের মতো বিদেশী বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে হিমাচল প্রদেশের কালো আদা, কচ্ছের কমলম বা ড্রাগন ফুড, মধ্যপ্রদেশের সয়া মিল্ক পাউডার, লাদাখের কারকিচু আপেল, পাঞ্চাবের ক্যাভেনডিশ কলা, জম্মুর গুচি মাশরুম, কর্ণাটকের কাঁচা মধু ও আরও অনেক পণ্যের নাম করা যেতে পারে। বহু দেশেই এই পণ্যগুলি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যার জেরে বিশ্বজুড়ে এক বিশাল বাজারের সৃষ্টি হয়েছে। 

বন্ধুরা,

ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে আর একটি বিষয় মাথাচাড়া দিচ্ছে, এই নিয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বর্তমানে ভারতে দ্রুত গতিতে নগরায়ন হচ্ছে। নতুন সম্ভাবনার হাতছানিতে বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় কর্মক্ষেত্রে থাকা মানুষের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে প্যাকেটজাত খাদ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এই ঘটনা আমাদের কৃষক স্টার্টআপ ও ছোট উদ্যোক্তাদের সামনে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনাদেরও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। 

বন্ধুরা,

ভারতের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে বিকাশের তিনটি মূল স্তম্ভ রয়েছে : ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষুদ্র শিল্প এবং মহিলা ! এই ক্ষুদ্র কৃষকদের কল্যাণে এবং শিল্পক্ষেত্রে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আমরা এক কার্যকর মঞ্চ হিসেবে কৃষক উৎপাদন সংস্থাগুলিকে (এফপিও) কাজে লাগাচ্ছি। ১০ হাজারটি নতুন কষক উৎপাদন সংস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এরমধ্যে ৭ হাজারটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে. এরফলে কৃষকরা সহজেই বাজার এবং প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধার নাগাল পাচ্ছেন। ছোট মাপের শিল্পগুলির অংশগ্রহণ বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে প্রায় ২ লক্ষ অতিক্ষুদ্র উদ্যোগ সংগঠিত করা হচ্ছে। এক জেলা এক পণ্য-এর মতো উদ্যোগ ক্ষুদ্র কৃষক ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে নতুন পরিচয় দিয়েছে। 


বন্ধুরা,

ভারত আজ বিশ্বকে মহিলা-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের পথ দেখাচ্ছে। ভারতের অর্থনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এবং এর থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পও উপকৃত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৯ কোটিরও বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। আপনারা সকলেই জানেন কয়েক শতাব্দী ধরে ভারতে খাদ্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথম সারির বিজ্ঞানীরা সকলেই মহিলা। খাবারের মধ্যে যে বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই, তা ভারতীয় নারীদের দক্ষতা ও জ্ঞানের ফল। আচার, পাঁপড়, চিপস-এর মতো যেসব পণ্য বাজারে পাওয়া যায় সেগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা তাঁদের বাড়িতে তৈরি করেন, ব্যবসাও পরিচালনা করেন তাঁরা। 

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটি ভারতীয় মহিলাদের সহজাত। একে আরও প্রসারিত করতে প্রতিটি স্তরের মহিলাকে, কুটির শিল্পকে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দেওয়া হয়। আজকের অনুষ্ঠানে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ১ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বীজের জন্য কোটি কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। আমি প্রযুক্তির সাহায্যে ইতোমধ্যেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। এই মহিলাদের আমি বিশেষভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুরা,

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মতোই ভারতের খাদ্য বৈচিত্র্য গর্ব করার মতো। বিশ্বজুড়ে প্রত্যেক বিনিয়োগকারী এর সুবিধা ভোগ করতে চান। ভারত সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে এই যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে, তা আপনাদের সবার কাছেই এক বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। ভারতীয় খাবারের ঐতিহ্য থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। 

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটি প্রবচন আমাদের জীবনের এবং আমাদের দেশের প্রত্যেক পরিবারের মানসিকতার অঙ্গ হয়ে রয়েছে। তা হল “যথা অন্নম তথা মন্নম।” এর অর্থ হল আমরা যেমন খাবার খাই, আমাদের মনের অবস্থাও সেই রকম হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে যে খাবার আমরা খাই তা শুধু আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না, আমাদের মানসিক সুস্থতার ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। ভারতের সুস্থিত খাদ্য সংস্কৃতি হাজার হাজার বছরের বিকাশ যাত্রার ফল। আমাদের পূর্বপুরুষরা খাদ্যাভ্যাসকে আয়ুর্বেদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিলেন। আয়ুর্বেদ “ঋতভুক” অর্থাৎ ঋতু অনুযায়ী খাওয়া, “মিতভুক” অর্থাৎ সুষম খাদ্য এবং “হিতভুক” অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ওপর জোর দেয়। ভারতের বৈজ্ঞানিক চেতনা বোঝার ক্ষেত্রে এই নীতিগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 

খাদ্য, বিশেষত মশলা বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশ্ব ভারতের এই শতাব্দী প্রাচীন জ্ঞান থেকে উপকৃত হতে পারে। আজ যখন আমরা বিশ্বজনীন খাদ্য সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি, তখন আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে সুস্থিত ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের এই সুপ্রাচীন জ্ঞান আহরণ করে তার আত্মীকরণ করতে হবে। 

আমি আপনাদের মিলেটের উদাহরণ দিতে পারি। এই বছর সারা বিশ্ব আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ উদযাপন করছে। মিলেট এখন আমাদের সুপার ফুড বাকেটের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা একে “শ্রী অন্ন”-এর মর্যাদা দিয়েছি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অধিকাংশ সভ্যতাতেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে আসার পর সাম্প্রতিক কয়েক দশকে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের খাদ্য তালিকা থেকে মিলেট বা শ্রী অন্নকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য, সুস্থিত কৃষি এবং সুস্থিত অর্থনীতির ওপর এর গভীর প্রভাব পড়েছে। 

মিলেটকে বিশ্বজুড়ে তার পুরনো গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভারত নেতৃত্ব দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যেভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে যোগাভ্যাসকে ছড়িয়ে দিয়েছে, আমার দীর্ঘ বিশ্বাস সেই একইভাবে মিলেটও বিশ্বের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে যাবে। সম্প্রতি ভারত যখন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল, তখন মিলেটের তৈরি খাবার খেয়ে বিশ্ব নেতারা প্রভূত প্রশংসা করেছেন। 

বর্তমানে দেশের অনেক বড় সংস্থা মিলেট থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করে তা বাজারে আনছে। এক্ষেত্রে কীভাবে আরও সম্ভাবনার সৃষ্টি হতে পারে, কীভাবে খাদ্যের বাজারে শ্রী অন্নের ভাগ বাড়ানো যায় এবং কোন পথে চললে কৃষক ও শিল্পমহল- দুই পক্ষই এর থেকে লাভবান হতে পারে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। 

বন্ধুরা,

আপনারা এই সম্মেলনে ভবিষ্যৎমুখী বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। শিল্প-সুনির্দিষ্ট এবং বৃহত্তর বিশ্বস্বার্থ- দুয়েরই গভীরে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ধরুন, দিল্লি ঘোষণাপত্রে জি২০ গোষ্ঠী সুস্থিত কৃষি, খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টি সুরক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের নিজেদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করে নিতে হবে। 

আমরা আমাদের দেশে ১০ কোটিরও বেশি শিশু, কন্যা এবং গর্ভবতী মহিলাকে পুষ্টিকর খাবার দিই। এখন সময় এসেছে আমাদের খাদ্য সরবরাহ কর্মসূচিতে বৈচিত্র্য আনার। একইভাবে আমাদের ফলন পরবর্তী অপচয় কমানো, প্যাকেটজাতকরণে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং খাদ্য অপচয়ের পরিমান কমানোর ওপর জোর দিতে হবে। 

এক্ষেত্রে প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের পচনশীল পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ বাড়াতে হবে। এরফলে অপচয় কমবে, কৃষকরা উপকৃত হবেন এবং কৃষিপণ্যের মূল্যস্তরেও সুস্থিতি আসবে। কৃষকস্বার্থ এবং গ্রাহকসন্তোষের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই বিষয়গুলি নিয়ে এই সম্মেলনে বিশদে আলোচনা হবে বলে আমি আশা করি। এর ফলাফল বিশ্বজুড়ে এক সুস্থিত ও খাদ্য সুরক্ষিত ভবিষ্যতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে। 

আরও একবার আমি আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। দিল্লির আশপাশে থাকা যাঁদের এইসব বিষয়ে উৎসাহ রয়েছে- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, স্টার্টআপের সঙ্গে সংযুক্তকেও কৃষক সংগঠনের নেতা- সবাইকে আমি অনুরোধ করবো তিন দিনের এই উৎসবে যোগ দিতে। বিশ্ব কত দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা কীভাবে আমাদের পণ্যগুলিকে প্রস্তুত করতে পারি, তার মূল্য সংযোজন ঘটাতে পারি, তা নিয়ে ভাবন-চিন্তা করতে কয়েক ঘণ্টা সময় দিন।

আপনারা সবাই এখানকার স্টলগুলি ঘুরে দেখুন। এই মহোৎসবের সুবিধা ভোগ করুন।

আপনাদের সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন। 

PG/SD/NS…



(Release ID: 1982209) Visitor Counter : 105