স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা

২০৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ হাজার ২৩২টি স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে ১ লক্ষ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ এসেছেন

Posted On: 22 NOV 2023 1:51PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২২ নভেম্বর, ২০২৩

 

দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের খুন্তি থেকে বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রার সূচনা করেছিলেন। এরই অঙ্গ হিসেবে ডাক বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের মতো অন্য বিভাগগুলি বিভিন্ন শিবিরের আয়োজন করেছে। এই যাত্রার উদ্দেশ্য হল সরকারের কল্যাণমুখী প্রকল্প সম্পর্কে নাগরিকদের জানানো, সচেতন করে তোলা এবং সাধারণ মানুষের কাছে প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া।

সরকারের কল্যাণমূলক কর্মসূচির বার্তা প্রচারের জন্য জনজাতি গৌরব দিবসে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষভাবে সুসজ্জিত আইইসি ভ্যানের সূচনা করেন। বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রার আওতায় তাৎক্ষণিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গ হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে যেখানে এই আইইসি ভ্যান থামছে, সেখানে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।

বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা সূচনার এক সপ্তাহ পরে, ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ২০৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ হাজার ২৩২টি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ১ লক্ষ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ শিবিরে এসেছেন।

স্বাস্থ্য শিবিরগুলির মাধ্যমে যে কর্মকাণ্ডগুলি আয়োজন করা হয়েছে তা হল –
১) আয়ুষ্মান ভারত – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেএওয়াই) : বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই কল্যাণমুখী কর্মসূচির আওতায় আয়ুষ্মান অ্যাপ ব্যবহার করে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করে তা সুবিধাভোগীদের হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই শিবিরের মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩৩ হাজারেরও বেশি কার্ড তৈরি করা হয়েছে এবং ২১ হাজারেরও বেশি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

২) যক্ষ্মা (টিবি) : শিবিরগুলিতে যেখানে এনএএটি যন্ত্রের সুবিধা রয়েছে সেখানে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ পরীক্ষা করা হচ্ছে। যক্ষ্মা রোগের কোনোরকম লক্ষণ দেখা দিলে, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁদের অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ সেখানে পরীক্ষা করিয়েছেন, এর মধ্যে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসার জন্য উচ্চ সুবিধাযুক্ত জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান (পিএমটিবিএমএ)-এর আওতায় নিক্ষয় মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা নেওয়ার জন্য যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের সম্মতি নেওয়া হচ্ছে। নিক্ষয় মিত্র হতে ইচ্ছুক অংশগ্রহণকারীদের তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশনও করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ১ হাজার ৪০০-রও বেশি নতুন নিক্ষয় মিত্রর নাম নথিভুক্ত হয়েছে।

নিক্ষয় পোষণ যোজনার আওতায় যক্ষ্মা রোগীদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। 

৩) সিকল সেল অ্যানিমিয়া : জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সিকল সেল অ্যানিমিয়া শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়লে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই শিবিরগুলিতে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ পরীক্ষা করিয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১০০ জনের পজিটিভ ধরা পরেছে, যাদের চিকিৎসার জন্য উচ্চ সুবিধাযুক্ত জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। 

৪) অসংক্রামক রোগ : এই শিবিরগুলিতে ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ রোগ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ এবং মধুমেহ রোগের পরীক্ষা করিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ এবং মধুমেহ রোগের লক্ষণ পাওয়া গেছে। ১০ হাজারের বেশি মানুষকে চিকিৎসার জন্য উচ্চ সুবিধাযুক্ত জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রার ১ সপ্তাহ শেষে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেশ কিছু সদর্থক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে :

ঝাড়খণ্ড – বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা চলাকালীন এই প্রথমবার ঝাড়খণ্ডের সমস্ত জেলায় স্বাস্থ্য শিবিরের মধ্যমে সিকল সেল অ্যানিমিয়ার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। 

জম্মু ও কাশ্মীর – দাওয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে চরম ঠাণ্ডা এবং নানান প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দিতে সেনা বাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করে চলেছেন।

অরুণাচল প্রদেশ – তাওয়াং জেলার স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক নাটকের আয়োজন করা হয়েছে। 

তবে কিছু রাজ্য সমস্যারও মুখোমুখি হয়েছে এই শিবির আয়োজনে। মহারাষ্ট্রে কমিউনিটি হেল্থ আধিকারিকদের ধর্মঘটের জেরে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনে সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু এএনএম এবং আশা কর্মীদের সহযোগিতায় সফলভাবে শিবির আয়োজিত হয়েছে।

বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা আয়ুষ্মান গোল্ডেন কার্ড প্রকল্প সম্পর্কে প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু ব্লকে এই কর্মসূচি চলাকালীন স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গুজরাটে এই কর্মসূচির মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হাতে রেশন এবং আধার কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আয়ের শংসাপত্র পৌঁছে দিতে ত্রিপুরা এই কর্মসূচির মঞ্চকে কাজে লাগিয়েছে। এমনকি এর মাধ্যমে দিব্যাঙ্গদের শংসাপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

তবে, বেশিরভাগ রাজ্যই জানিয়েছে, স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমে সিকল সেল অ্যানিমিয়া, যক্ষ্মা, মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের পরীক্ষা করা হয়েছে। 

PG/SS/SKD/



(Release ID: 1978951) Visitor Counter : 113