গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

আধার-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম (এবিপিএস)-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং মজুরি প্রদানের যৌথ ব্যবস্থা

(এনএসিএইচ ও এবিপিএস রুট) ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে

মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে স্পষ্ট জানিয়েছে, সুবিধাভোগীদের আধার নম্বর পেশের জন্য অনুরোধ করা হবে, কিন্তু এর জন্য তাদের কাজ বাতিল করা যাবে না

Posted On: 30 AUG 2023 11:34AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০  অগাস্ট, ২০২৩

 

কেন্দ্রীয় সরকারের এটা নজরে এসেছে যে, সুবিধাভোগীদের ঘন ঘন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করা এবং সেই নতুন অ্যাকাউন্ট নম্বর ঠিক সময়ে আপডেট না করার কারণে বহু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক মজুরি দিতে অস্বীকার (পুরনো অ্যাকাউন্ট নম্বরে) করছে। 

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখা গেছে, এ ধরনের প্রত্যাখ্যান এড়ানোর সেরা উপায় হল, আধার পেমেন্ট ব্রিজ সিস্টেম (এপিবিএস), যেখানে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি)-এর মাধ্যমে মজুরি প্রদান করা হয়। এই পদ্ধতি সুবিধাভোগীদের সঠিক সময়ে তাঁদের মজুরি পেতে সহায়ক হবে।

প্রকল্পের ডাটাবেসে একবার আধার নম্বর আপডেট করা হলে, জায়গা পরিবর্তন কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল হলেও, সুবিধাভোগীকে অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট করতে হয় না। আধার নম্বর সংযুক্তির ফলে সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যায়। যদি সুবিধাভোগীর একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকে (মনরেগা প্রকল্পে যা বিরল), তবে সুবিধাভোগীর একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। 

ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আধার নম্বর সংযুক্ত ডিবিটি-র ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯৯.৫৫ শতাংশ বা তার বেশি। আধার ভিত্তিক পেমেন্টের ক্ষেত্রে এই সাফল্যের হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। 

এপিবিএস ব্যবস্থা প্রকৃত সুবিধাভোগীকে তাদের প্রাপ্য টাকা পেতে সাহায্য করছে এবং সেই সঙ্গে ভুয়ো সুবিধাভোগীদের নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আধার-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম (এবিপিএস)-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং মজুরি প্রদানের যৌথ ব্যবস্থা (এনএসিএইচ ও এবিপিএস রুট) ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সুবিধাভোগীদের আধার নম্বর পেশের জন্য অনুরোধ করা হবে, কিন্তু এর জন্য তাদের কাজ বাতিল করা যাবে না। এবিপিএস-এর জন্য উপযুক্ত নয়, এই কারণ দেখিয়ে কোনও শ্রমিকের জব কার্ড বাতিল করা যাবে না। 

মহাত্মা গান্ধী এনআরইজিএস প্রকল্পের অধীনে ২০১৭ সাল থেকে এপিবিএস চালু রয়েছে। দেশের মানুষের প্রায় সবার আধার নম্বর থাকায়, কেন্দ্রীয় সরকার এখন সুবিধাভোগীদের এবিপিএস ব্যবস্থার আওতায় এনেছে। এর ফলে এবিপিএস-এর সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাবে, সেইসঙ্গে নিরাপদ এবং অনেক দ্রুততার সঙ্গে টাকা অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। 

১৪.৩৩ কোটি সক্রিয় সুবিধাভোগীর মধ্যে ১৩.৯৭ কোটির আধার রয়েছে। এদের মধ্যে ১৩.৩৪ কোটির আধার নম্বর যাচাই করা হয়েছে। বর্তমানে ৮১.৮৯ শতাংশ কর্মী এবিপিএস-এর জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। এ বছরের জুলাই মাসে এবিপিএস-এর মাধ্যমে ৮৮.৫১ শতাংশের মজুরি প্রদান করা হয়েছে। 

মহাত্মা গান্ধী নারেগা প্রকল্পটি প্রয়োজনভিত্তিক এবং এর সঙ্গে বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ও জড়িত। সুবিধাভোগীদের কথা বিবেচনা করে টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে এবিপিএস পদ্ধতিকেই সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। 
আধার ভিত্তিক পেমেন্ট ব্যবস্থায় সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করা হয়। 

 

AC/MP/NS


(Release ID: 1953491) Visitor Counter : 326