মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি
azadi ka amrit mahotsav

২০২২-২৩ চিনি মরশুমে সরকার আখ চাষীদের সুবিধার্থে কুইন্টাল প্রতি আখের দাম ধার্য করেছে ৩১৫ টাকা

Posted On: 28 JUN 2023 3:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৮ জুন, ২০২৩


 
আখ চাষীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে আজ ২০২৩-২৪ চিনি মরশুমে আখের দাম কুইন্টাল প্রতি ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে আখ থেকে চিনি উৎপাদনের সময় মৌলিক পুনরুদ্ধার হার ১০.২৫ শতাংশ থাকবে। আখ চাষীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে চিনি কলগুলির ক্ষেত্রে মৌলিক পুনরুদ্ধার হার ৯.৫ শতাংশের নিচে যাতে না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ চিনি মরশুমে আখ চাষীদের কুইন্টাল প্রতি ২৯১.৯৭৫ টাকা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মরশুমে আখ উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ১৫৭ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্যে  কুইন্টাল প্রতি ৩১৫ টাকা চাষীদের দেওয়া হলে তা কৃষিকাজে ব্যয় হওয়া অর্থের থেকে ১০০.৬ শতাংশ বেশি হবে। ২০২২-২৩ চিনি মরশুমের থেকে ২০২৩-২৪ মরশুমে ৩.২৮ শতাংশ বেশি দাম ধার্য করা হয়েছে। 

সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের থেকে চিনি কলগুলি আখ কিনবে। চিনি শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিভিত্তিক শিল্প যার সঙ্গে ৫ কোটি আখ চাষীর ভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে। চিনি কলগুলিতে কর্মরত ৫ লক্ষ কর্মীর ভবিষ্যৎও এই ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। রাজ্য সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কৃষিকাজে ব্যয় এবং মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশন, কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস এই দাম নির্ধারণ করেছে। 

প্রেক্ষাপট :

২০২২-২৩ চিনি মরশুমে চিনি কলগুলি ৩৩৫৩ লক্ষ টন আখ কৃষকদের কাছ থেকে কিনেছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ১,১১,৩৬৬ কোটি টাকা। ধান সংগ্রহের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরই আখের দাম সর্বোচ্চ। আগামী পাঁচ বছরে জৈব জ্বালানি ক্ষেত্রে ইথানলের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে আখ চাষীদের আরও লাভ হবে। একইসঙ্গে চিনি কলের মালিকরাও উপকৃত হবেন। ২০২১-২২ চিনি মরশুমে ইথানল বিক্রি করে চিনি কলের মালিকরা ২০,৫০০ কোটি টাকা আয় করেছেন। ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল কর্মসূচির আওতায় দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কম হবে এবং আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি চিনি থেকে ইথানল উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সরকারের কৃষক-বান্ধব নীতির ফলে কৃষক, উপভোক্তা এবং চিনি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকছে। ফলস্বরূপ, চিনিক্ষেত্র স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনি অর্থনীতিতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারা বিশ্বে ভারত চিনি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থানে রয়েছে। সবথেকে বেশি চিনি উৎপাদন হয় এ দেশেই। ২০২৫-২৬ সময়কালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ইথানল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

CG/CB/DM/


(Release ID: 1936011) Visitor Counter : 230