নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি দ্বিতীয় পর্যায়ের সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি ও পোষণ মিশন আওতায় শৈশবের প্রথম পর্যায়ে যত্ন ও শিক্ষাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ‘পোষণ ভি পড়াই ভি’র সূচনা করেছেন

Posted On: 12 MAY 2023 10:04AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ মে, ২০২৩


কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি ১০ মে বিজ্ঞান ভবনে শৈশবের প্রথম পর্যায়ে যত্ন ও শিক্ষাদান কর্মসূচি বিষয়ক এক জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি ‘পোষণ ভি পড়াই ভি’ অর্থাৎ, শিক্ষা এবং পুষ্টি একইসঙ্গে শীর্ষক কর্মসূচির সূচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী মুঞ্জপারা মহেন্দ্রভাই, দপ্তরের সচিব শ্রী ইন্দিবর পান্ডে এবং শৈশবের প্রথম পর্যায়ের যত্ন ও শিক্ষাদান কর্মসূচির চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় কল উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন রাজ্যের ৮০০-র বেশি প্রতিনিধি, আইসিডিএস কর্মী, সিডিপিও এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শ্রীমতী ইরানি জানান, ছ’বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিটি শিশুর সর্বাঙ্গীণ বিকাশে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০২০-র আওতায় শিশুদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথাও তিনি জানান। শিক্ষাদানের নতুন উপাদান এবং তার ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১ লক্ষ কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ হাজার সম্প্রদায়ের মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার মা-বাবাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে সমন্বিত শিক্ষাদানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুরা যাতে যথাযথ শিক্ষালাভ করতে পারে তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের সংশ্লিষ্ট শিশুদের অভিভাবকদের পরামর্শ দিতে হবে যাতে এই শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠাতে তাঁরা উৎসাহিত হন।

শিক্ষাদানে খেলনার ব্যবহারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কাঠ, কাপড় ও মাটি দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে খেলনা তৈরি করতে হবে। এই খেলনার মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর নির্ধারিত পন্থাপদ্ধতি অবলম্বন করে প্রায় ৭ কোটি শিশুর উচ্চতা এবং ওজন পরিমাপ করার জন্য তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের অভিনন্দন জানান। এর মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা প্রাপ্ত তথ্য পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি)-র প্ল্যাটফর্মে নথিভুক্ত করেছেন। তাঁদের এই কাজকে এক অনবদ্য উদ্যোগ বলে মন্ত্রী অভিহিত করেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক কো-অপারেশন অ্যান্ড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট শৈশবের প্রথম পর্যায়ের যত্ন ও শিক্ষাদান সংক্রান্ত তিনদিনের যে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছিল, সেই কর্মশালায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা যোগ দেন। ১ লক্ষ ৫০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে খেলাধূলার মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়ে অবগত করা হয়।

অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুবিকাশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী মুঞ্জপারা মহেন্দ্রভাই বলেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মূল ভাবনা থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূত্রপাত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘পোষণ অভিযান’। বর্তমানে ‘পোষণ ভি পড়াই ভি’ তারই একটি পরিমার্জিত সংস্করণ। দপ্তরের সচিব শ্রী ইন্দিবর পান্ডে জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান করা হবে। রাজ্যস্তরের পাঠক্রমকে জাতীয় পাঠক্রমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এই অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিরা শৈশবের প্রথম পর্যায়ের যত্ন ও শিক্ষাদান কর্মসূচিতে তাঁদের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। অনুষ্ঠানের শেষে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা শিক্ষাদানের নতুন নতুন পন্থাপদ্ধতির কথা তুলে ধরেন।


PG/CB/DM/


(Release ID: 1923728) Visitor Counter : 171