প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বালি-তে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তি পর্বে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ

Posted On: 16 NOV 2022 12:58PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ নভেম্বর, ২০২২

 

মাননীয় বিশিষ্টজন,

বন্ধুগণ,

আমার মিত্রসম প্রেসিডেন্ট জোকোউই-কে আমি আরও একবার অভিনন্দন জানাই। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি জি-২০ সম্মেলনে দক্ষতার সঙ্গেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। বালি ঘোষণাকে গ্রহণ করার জন্য জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকেও আমি অভিনন্দন জানাই। জি-২০-র সভাপতিত্বকালে ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসনীয় এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভারত সর্বতোভাবে চেষ্টা করে যাবে। বালি-র এই পবিত্র দ্বীপভূমিতে জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্বভার গ্রহণের মতো ঘটনা ভারতের পক্ষে এক শুভ সমাপতন বলেই আমি মনে করি।

মাননীয় বিশিষ্টজন,

ভারত জি-২০-র দায়িত্বভার গ্রহণ করছে এমন একটি সময়ে যখন সমগ্র বিশ্ব নানা ধরনের ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য পরিস্থিতি এবং অতিমারীর দীর্ঘস্থায়ী কুফলের মোকাবিলায় হিমসিম খেয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের দেশগুলি অনেক আশা নিয়েই তাকিয়ে রয়েছে জি-২০-র দিকে। আমি আজ আপনাদের সকলকে এই মর্মে আশ্বাস দিতে চাই যে ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বকাল হয়ে উঠবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মসূচি-ভিত্তিক এক বিশেষ সময়কাল।

মাননীয় বিশিষ্টজন,

জি-২০-তে যাতে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা যায় এবং সমবেত প্রচেষ্টাকে দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়িত করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরবর্তী এক বছর ধরে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অধিকার কায়েম করার প্রবণতা বর্তমানে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের একটি বিশেষ কারণ। পরিবেশ কলুষিত হওয়ারও এটি একটি মূল কারণ। তাই, পৃথিবী নামক গ্রহটির ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করে তুলতে অছি ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হল একটি সমাধানের রাস্তা। এই লক্ষ্যে ‘এলআইএফই’ বা লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট অর্থাৎ, পরিবেশের স্বার্থে জীবনশৈলী গড়ে তোলার অভিযান এই প্রচেষ্টায় এক বড় ধরনের সার্থকতা এনে দিতে পারে। নিরন্তর জীবনশৈলীকে এক গণ-আন্দোলন রূপে গড়ে তোলাই হল এর মূল উদ্দেশ্য।

মাননীয় বিশিষ্টজন,

উন্নয়নের সুফলকে সার্বজনীন তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলা আজকের দিনে বিশেষ প্রয়োজন। তাই, উন্নয়নের সুফলকে সংহতি ও সহানুভূতির বাতাবরণের মধ্য দিয়ে সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে আমাদের সামিল হতে হবে। আরও মনে রাখতে হবে যে নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিশ্বের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই, আমাদের জি-২০ কর্মসূচিতেও মহিলা পরিচালিত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে যেতে হবে। শান্তি ও নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলি অর্থনৈতিক অগ্রগতি বা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুযোগ গ্রহণ করতে অপারগ। তাই, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে এক সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে হবে জি-২০-র পক্ষ থেকে। ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বের যে থিমটি তৈরি করা হয়েছে তার মূল বক্তব্যকে ‘অভিন্ন পৃথিবী, অভিন্ন পরিবার, অভিন্ন ভবিষ্যৎ’ – এই বার্তার মধ্য দিয়েই সম্পূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মাননীয় বিশিষ্টজন,

ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ প্রতিটি ভারতীয়র কাছে এক বিশেষ গর্বের বিষয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও শহরে জি-২০-র বৈঠকগুলির আমরা আয়োজন করব। ভারতের বিস্ময়কর বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক চেতনার ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির পূর্ণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিয়ে যাবেন আমাদের অতিথিবৃন্দ। গণতন্ত্রের জননী বলে খ্যাত আমাদের দেশে, অর্থাৎ ভারতে এই অভিনব উদযাপনে আপনারা সকলেই উপস্থিত থাকবেন বলে আমি আশা করি। আমরা সকলে মিলে জি-২০-কে বিশ্বে এক পরিবর্তনের অনুঘটক রূপে তুলে ধরতে পারব বলে মনে করি।

আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

 

PG/SKD/DM/



(Release ID: 1877413) Visitor Counter : 126