প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

নেপালের লুম্বিনী সফরে প্রধানমন্ত্রী (১৬ই মে, ২০২২)

Posted On: 16 MAY 2022 6:09PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি,  ১৬ মে,  ২০২২
 
পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৬ই মে) নেপালের লুম্বিনী সফর করেন। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী শের বাহাদুর দেউবার আমন্ত্রণে শ্রী মোদীর এই সফর। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তাঁর পঞ্চম নেপাল এবং প্রথম লুম্বিনী সফর। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী শের বাহাদুর দেউবা ও তাঁর পত্নী ডঃ আর্জু রানা দেউবা; সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বালকৃষ্ণ খন্দ; বিদেশমন্ত্রী ডঃ নারায়ণ খাদকা; বাহ্যিক পরিকাঠামো ও পরিবহণ মন্ত্রী শ্রীমতী রেণু কুমারী যাদব; বিদ্যুৎ জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রী শ্রীমতী পম্ফা ভূষল; সংস্কৃতি, অসামরিক বিমান পরিবহণ এবং পর্যটন মন্ত্রী শ্রী প্রেমবাহাদুর আলে; শিক্ষামন্ত্রী শ্রী দেবন্দ্র পোড়েল; আইন ও বিচার তথা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী গোবিন্দ প্রসাদ শর্মা এবং লুম্বিনী প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কুলপ্রসাদ কে সি প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। 
 
লুম্বিনীতে পৌঁছোনোর পর দুই প্রধানমন্ত্রী পবিত্র মায়াদেবী মন্দির পরিদর্শন করেন। এখানেই রয়েছে ভগবান বুদ্ধের আবির্ভাব ভূমি। মন্দিরে দুই প্রধানমন্ত্রী বৌদ্ধ রীতি-নীতি মেনে প্রার্থনাসভায় যোগ দেন এবং পুজার্চনায় অংশ নেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক অশোক স্তম্ভ পরিদর্শন করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই অশোক স্তম্ভই ভগবান বুদ্ধের আবির্ভাব স্থল হিসেবে লুম্বিনীর প্রথম প্রামাণিক সাক্ষ্য বহন করছে। সেখানে যে পবিত্র বোধি বৃক্ষ রয়েছে, তাতে দুই প্রধানমন্ত্রী জল দেন। ২০১৪-তে নেপাল সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী উপহার হিসেবে এই চারাগাছটি নিয়ে এসেছিলেন। 
 
সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী দেউবার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী নতুন দিল্লি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের এক্তিয়ারে থাকা লুম্বিনীর একটি ভূখন্ডে ভারত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দেন। লুম্বিনী ডেভলপমেন্ট ট্রাস্ট গত নভেম্বর মাসে এই ভূখন্ডটি নতুন দিল্লির আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কনফেডারেশনের হাতে তুলে দেয়। শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রী একটি বৌদ্ধ সেন্টারের মডেলের আবরণ উন্মোচন করেন। এই কেন্দ্রটিতে যাবতীয় বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এরমধ্যে রয়েছে - প্রার্থনাসভা গৃহ, ধ্যান কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, প্রদর্শ কক্ষ, ক্যাফেটেরিয়া প্রভৃতি। সারা বিশ্বের বৌদ্ধ পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের জন্য এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 
 
দুই প্রধানমন্ত্রী এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নতুন দিল্লিতে গত দোসরা এপ্রিল আয়োজিত তাদের আপাল-আলোচনার সূত্র ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আজকের বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, যোগাযোগ স্থাপন, বিদ্যুৎ এবং উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্ব। সেদেশের লুম্বিনী ও ভারতের কুশি নগরের মধ্যে (এই দুটি শহরকে সিস্টার সিটি হিসেবে গণ্য করা হয়) যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারেও উভয় পক্ষ নৈতিক ভাবে সম্মত হয়েছে। এই দুটি শহর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র, যা দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন বৌদ্ধ পরম্পরাকে প্রতিফলিত করে। 
 
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় যে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে দুই প্রধানমন্ত্রীই সন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদন শুরু, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামো এবং বিদ্যুৎ লেনদেনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী দেউবা পশ্চিম সেতি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। নেপালের জলবিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উন্নয়নে শ্রী মোদী ভারতের পক্ষ থেকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মানুষের সঙ্গে মানুষের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও সহমত প্রকাশ করেন। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী দেউবা প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর সম্মানে একটি মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। 
 
নেপাল সরকারের তত্ত্বাবধানে লুম্বিনী ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২৫৬৬তম বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে দুই প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী এক সমাবেশে ভাষণ দেন। এই সমাবেশে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, আধিকারিক, অতিথি ও বৌদ্ধ জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
উল্লেখ করা যেতে পারে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী শ্রী দেউবা গত পয়লা থেকে তেসরা এপ্রিল দিল্লি ও বারাণসী সফর করেন। তাঁর এই সফরের সূত্র ধরেই প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর আজকের এই লুম্বিনী সফর। শ্রী মোদীর আজকের এই সফর শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ ও মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও নিবিড় করে তোলার মত ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক অংশীদারিত্বে আরও গতি সঞ্চার করবে। প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও নেপালের মধ্যে সভ্যতাগত যে নিবিড় ও সমৃদ্ধ সম্পর্ক রয়েছে তা আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর এই সফরের মধ্য দিয়ে পুনরায় প্রতিফলিত হয়। 
 
শ্রী মোদীর এই সফরের সময় যে সমস্ত বিষয়ে নথিপত্র বিনিময় হয়েছে তার তালিকা এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখা যেতে পারে - https://mea.gov.in/bilateral-documents.htm?dtl/35314 
 
 
CG/BD/AS/


(Release ID: 1825891) Visitor Counter : 126