প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

হিমাচল দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বয়ান

Posted On: 15 APR 2022 1:22PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল, ২০২২
 
নমস্কার!
 
হিমাচল দিবসে দেবভূমির সকল মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
 
একটি অত্যন্ত আনন্দের সুখসংযোগ হল, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, হিমাচল প্রদেশও তার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করছে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে, হিমাচল প্রদেশের উন্নয়নের অমৃত যাতে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে নিরন্তরভাবে পৌঁছে যায়, সেজন্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
 
অটলজি একবার হিমাচলের জন্য লিখেছিলেন-
 
তুষারাবৃত পর্বত,
নদী, জলপ্রপাত, বন,
কিন্নর কিন্নরীদের দেশ,
ক্ষণে ক্ষণে ঈশ্বরের অস্তিত্বের অনুভব!
 
সৌভাগ্যবশত, আমিও বার বার হিমাচলে প্রকৃতির অমূল্য উপহার এবং সেখানকার মানুষের অভাবনীয় সামর্থের সাক্ষী থেকেছি। পাথর কেটে যারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন সেইসব হিমাচলবাসীদের মধ্যে থাকার এবং তাদের ঘনিষ্টভাবে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। 
 
বন্ধুরা, 
 
১৯৪৮ সালে হিমাচল প্রদেশ যখন স্থাপিত হয়েছিল, তখন সামনে পাহাড়ের মতো চ্যালেঞ্জ ছিল।
 
একটি ছোট পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এখানকার পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূল, ভূপ্রকৃতি ছিল বন্ধুর। এখানে সম্ভাবনার চেয়ে আশঙ্কা বেশি ছিল। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের পরিশ্রমী, সৎ ও কর্মঠ মানুষ এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করেছে। আজ এখানে উদ্যানপালন শিল্পের বিকাশ, উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ, সাক্ষরতার হার, গ্রাম থেকে গ্রামে রাস্তা, ঘরে ঘরে জল ও বিদ্যুতের সুবিধার মতো অনেক মাপকাঠি এই পার্বত্য রাজ্যের অগ্রগতির সূচক।
 
গত ৭-৮ বছরে, কেন্দ্রীয় সরকারের হিমাচল প্রদেশের উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। আমার তরুণ সহকর্মী, হিমাচলের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জির সহযোগিতায় গ্রামীণ রাস্তা সম্প্রসারণ, হাইওয়ের প্রশস্তকরণ, রেলওয়ে নেটওয়ার্কের বিস্তার সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের এই সব প্রয়াসের ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। সংযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হচ্ছে, হিমাচলের পর্যটন শিল্প তত নতুন নতুন এলাকায়, নতুন নতুন অঞ্চলে প্রসার লাভ করছে। প্রতিটি নতুন অঞ্চল পর্যটকদের জন্য প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও অ্যাডভেঞ্চারের নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে এবং স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার অফুরন্ত সম্ভাবনা উন্মুক্ত করছে। এখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার কতটা উন্নতি হয়েছে, তা করোনার টিকাকরণের দ্রুত গতি থেকেই স্পষ্ট। 
 
বন্ধুরা, 
 
হিমাচলের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশের জন্য আমাদের আরও দ্রুত গতিতে কাজ করতে হবে। ২৫ বছর পর হিমাচলের স্থাপনার এবং দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। আগামী ২৫ বছর আমাদের কাছে নতুন সংকল্প গ্রহণের অমৃতকাল। এই সময়ের মধ্যে, হিমাচলকে পর্যটন, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, জৈব-প্রযুক্তি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রাকৃতিক চাষের মতো ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই বছরের বাজেটে ঘোষিত ভাইব্রেন্ট ভিলেজ স্কিম এবং পর্বতমালা যোজনা থেকেও হিমাচল প্রদেশ অনেকটা উপকৃত হবে। এই প্রকল্পগুলি হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগ বাড়াবে, পর্যটনের প্রসার ঘটাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে। আমাদের হিমাচলের সবুজকে প্রসারিত করতে হবে, বনকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। শৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে হিমাচল চমৎকার কাজ করেছে, এখন স্বচ্ছতা অভিযানের অন্যান্য বিষয় জোর দিতে হবে, এই অভিযানে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সামিল করতে হবে। 
 
বন্ধুরা, 
 
কেন্দ্রের যেসব কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, সেগুলি রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জয়রামজীর সরকার এবং তার পুরো টিম কাজ করছে। বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ হচ্ছে হিমাচলে। সৎ নেতৃত্ব, শান্তিপ্রিয় পরিবেশ, দেব-দেবীর আশীর্বাদ এবং হিমাচলের কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, এসবই তুলনাহীন। দ্রুত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে হিমাচলের। একটি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভারত গড়তে হিমাচল নিরন্তর তার অবদান রেখে চলুক, আমি এই প্রার্থনা করি!
 
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
 
CG/SD/SKD/


(Release ID: 1817129) Visitor Counter : 149