কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
নির্দিষ্ট কিছু খনিজের ক্ষেত্রে রয়্যালটির হার নির্দিষ্ট করতে খনি ও খনিজ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৫৭-র দ্বিতীয় তফসিলের সংশোধনীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
प्रविष्टि तिथि:
09 MAR 2022 1:29PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০৯ মার্চ, ২০২২
খনি ও খনিজ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৫৭-র দ্বিতীয় তফসিলে সংশোধনী আনতে চেয়ে খনি মন্ত্রক যে প্রস্তাব পেশ করেছিল, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এর জেরে গ্লুকোনাইট, পটাশ, পান্না, প্ল্যাটিনাম বিভাগের ধাতুগুলি, আন্দালুসাইট, সিলিমানাইট ও মলিবডিনামের মতো খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে রয়্যালটির হার নির্দিষ্ট করা যাবে।
এর ফলে গ্লুকোনাইট, পটাশ, পান্না, প্ল্যাটিনাম বিভাগের ধাতুগুলি, আন্দালুসাইট, সিলিমানাইট ও মলিবডিনাম খনিজ ব্লকের নিলাম নিশ্চিত হবে এবং এগুলির আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে। একইসঙ্গে খনি ও উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, যা সমাজের বৃহত্তর অংশের সর্বাত্মক উন্নয়নে সহায়ক হবে। আন্দালুসাইট, সিলিমানাইট এবং কায়ানাইটের রয়্যালটির হার একই স্তরে রাখা হয়েছে।
এই অনুমোদনের ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হবে, মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। স্থানীয় খনিজ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদেশের উপর নির্ভরতা কমবে। এই অনুমোদনের জেরে দেশে প্রথমবার গ্লুকোনাইট, পটাশ, পান্না, প্ল্যাটিনাম বিভাগের ধাতুগুলি, আন্দালুসাইট ও মলিবডিনাম খনিজ ব্লকের নিলাম সুনিশ্চিত হবে।
দেশে খনিজ সম্পদ বরাদ্দে স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীনতা সুনিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে আইনটি সংশোধন করে নিলামের মাধ্যমে খনিজ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। তার পর থেকে নিলাম ব্যবস্থা ক্রমশ পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। খনিজ ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে ২০২১ সালে আবারও আইনটির সংশোধন করা হয়। এইসব সংস্কারের মাধ্যমে সরকার দেশে খনিজ ব্লকের নিলাম ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিয়েছে। এতে একদিকে যেমন ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন জিডিপি-তে খনিজ উৎপাদনের ভাগও বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত-এর ভাবধারা অনুসরণ করে কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক দেশে খনিজ অনুসন্ধান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এতে নিলামের জন্য আরও ব্লক পাওয়া গেছে। শুধু লৌহ আকরিক, বক্সাইট বা চুনাপাথরের মতো প্রথাগত খনিজ সম্পদই নয়, অনুসন্ধান চালানো হয়েছে সোনা, সীসা, দস্তা, তামা, নিকেলের মতো মাটির গভীরে থাকা খনিজ, সার খনিজ এবং যেসব খনিজ সম্পূর্ণভাবে আমদানি করা হয়, সেগুলির খোঁজেও।
গত ৪-৫ বছরে ভারতীয় ভূতাত্বিক সর্বেক্ষণ এবং খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান নিগমের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি অনুসন্ধান চালিয়ে এমন সব খনিজ ব্লকের রিপোর্ট রাজ্য সরকারগুলির হাতে তুলে দিয়েছে, যা এর আগে কখনো দেশে খনন করা হয়নি। গ্লুকোনাইট/ পটাশ, পান্না, প্ল্যাটিনাম বিভাগীয় ধাতু, আন্দালুসাইট এবং মলিবডিনামের মতো খনিজগুলির ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণভাবে বিদেশ থেকে আমদানির উপর নির্ভরশীল। খনিজ ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে বহু রাজ্য সরকার এই ধরণের খনিজ ব্লকগুলিকে নিলামের জন্য চিহ্নিত করেছে। তবে, এই খনিজগুলির জন্য রয়্যালটির হার আলাদাভাবে নির্দিষ্ট করা হয়নি। যে হার রয়েছে তা এই ধরণের কাজে উৎসাহ যোগানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।
সেইজন্যই, নিলামে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রয়্যালটির যুক্তিসঙ্গত হার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা প্রধানমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগের সঙ্গে বিশদ আলোচনার পর এই হারগুলি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খনিজ ব্লকগুলির নিলামের জন্য প্রয়োজনীয় গড় বিক্রয় মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিও খনি মন্ত্রক জানাবে।
রাজ্য সরকারগুলির সক্রিয় সহযোগিতায় দেশে ১৪৫টিরও বেশি খনিজ ব্লক সাফল্যের সঙ্গে নিলাম করা হয়েছে। ২০২১ সালের সংস্কারের সুবাদে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১৪৬টিরও বেশি ব্লককে নিলামের জন্য চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ৩৪টি ব্লক সেই আর্থিক বছরেই সফলভাবে নিলাম করতে পারা গেছে। রয়্যালটির সুনির্দিষ্ট হার এবং গ্লুকোনাইট/ পটাশ, পান্না, প্ল্যাটিনাম বিভাগীয় ধাতু, আন্দালুসাইট এবং মলিবডিনামের মতো খনিজগুলির কর বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ, নিলামযোগ্য ব্লকের সংখ্যা আরও বাড়াবে।
গ্লুকোনাইট ও পটাশের মতো খনিজগুলি কৃষি ক্ষেত্রে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্ল্যাটিনাম বিভাগীয় ধাতু হলো বহুমূল্য ধাতু। বিভিন্ন শিল্পে এবং নানা নতুন উদ্ভাবনী প্রয়োগে এগুলির ব্যবহার রয়েছে। আন্দালুসাইট ও মলিবডিনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধাতুগুলি শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
জাতীয় স্বার্থে এই খনিজগুলির দেশীয় খননকে উৎসাহিত করা উচিত। এতে পটাশ সার ও অন্যান্য খনিজের আমদানি কমবে। কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ খনি ক্ষেত্রের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়। এর জেরে অনুসারী শিল্পগুলিতে খনিজের যোগান বাড়বে এবং কৃষি ক্ষেত্রের পক্ষে সহায়ক হবে।
CG/SD/SKD/
(रिलीज़ आईडी: 1804536)
आगंतुक पटल : 240
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam