অর্থমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩-এর সংক্ষিপ্তসার

Posted On: 01 FEB 2022 1:19PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

 

ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশের হার বর্তমান অর্থবর্ষে ৯.২ শতাংশে থাকার অনুমান রয়েছে যা বিশ্বের সমস্ত বড় অর্থনৈতিক দেশের তুলনায় সর্বাধিক। দেশের অর্থনীতি মহামারীর প্রতিকূল প্রভাব থেকে উঠে এসে যেভাবে সমগ্র রূপে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে নিজেকে পুনরুদ্ধার করছে, তা আমাদের দেশের শক্তির পরিচায়ক। একথা কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট, ২০২২-২৩ পেশ করার সময় বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন যে ভারত স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে আর এর সঙ্গে আমাদের দেশ এখন অমৃতকালে প্রবেশ করেছে যা ‘ভারত@১০০’ পর্যন্ত পৌঁছতে ২৫ বছরের দীর্ঘ সফর অতিক্রম করবে। সরকার স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উল্লেখ করা দূরদৃষ্টিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রেখেছে আর তার প্রক্রিয়া হল নিম্নরূপ :

*ম্যাক্রো-ইকনমি বা বৃহৎ অর্থনীতি স্তরের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি মাইক্রো-ইকনমি বা সুক্ষ্ম অর্থনীতি স্তরের সামগ্রিক কল্যাণকেও অগ্রাধিকার দেওয়া

*ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ফিনটেক, প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়ন, এনার্জি ট্রানজিশন বা জ্বালানি-সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন ও পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগগুলিকে উৎসাহ প্রদান এবং

*বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে শুরু হতে চলা লাভজনক আর্থিক চক্রকে ভরসা করা এবং এর সঙ্গেই সার্বজনিক পুঁজিগত বিনিয়োগের জোরে বেসরকারি বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে সাহায্য পাওয়া।

২০১৪ সাল থেকেই সরকার দেশের নাগরিকদের, বিশেষ করে গরীবদের ও বিভিন্ন প্রান্তিক অবস্থানে থাকা মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে এবং তা করতে গিয়ে গরীবদের জন্য বাসস্থান, বিদ্যুৎ সংযোগ, তাঁদের রান্নাঘরে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া, আর নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকার আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর সুনিশ্চিত করার জন্য অনেক কর্মসূচি চালু করেছে আর এর পাশাপাশি সরকার সমস্ত রকম সুযোগগুলিকে কাজে লাগিয়ে গরীবদের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তার বিশেষ দায়বদ্ধতা ব্যক্ত করেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ১৪টি ক্ষেত্রে প্রদত্ত উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ ভাতা (পিএলআই) প্রদানে ব্যাপক অনুকূল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এতে ৬০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ পলিসি বা রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের শিল্পোদ্যোগ নীতির বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানার কৌশলগত হস্তান্তরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এনআইএনএল (নীলাঞ্চল ইস্পাত নিগম লিমিটেড)-এর কৌশলগত অংশীদার নির্বাচন হয়েছে, এলআইসি-র পাবলিক ইস্যু দ্রুত চালু হওয়ার আশা রয়েছে আর অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেছেন যে এই বাজেট দেশের উন্নয়নকে ক্রমাগত নতুন শক্তি যোগাবে আর এর সমান্তরাল পথও উল্লেখ করে বলেছেন : (১) অমৃতকালের জন্য ব্লু-প্রিন্ট যা অত্যাধুনিক এবং সংহত ও যার মাধ্যমে আমাদের দেশের যুব সম্প্রদায়, মহিলা, কৃষক, তপশিলি জাতি ও তপশিলি জনজাতি তথা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া মানুষেরা লাভবান হবেন এবং (২) অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর জন্য ব্যাপক সরকারি বিনিয়োগ, ভারত@১০০-এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং এর আলোকবর্তিকা ‘পিএম গতিশক্তি’ প্রকল্প দ্বারা প্রদর্শিত হবে, আর এটি অনেক দিক থেকে উপকৃত হবে। এই সমান্তরাল পথে এগিয়ে অর্থমন্ত্রী নিম্নলিখিত চারটি অগ্রাধিকারকে তুলে ধরেছেন :

*পিএম গতি শক্তি

*সংহত উন্নয়ন

*উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ, উঠে আসা নানা সুযোগ, জ্বালানির স্বরূপে পরিবর্তন এবং পরিবেশ-বান্ধব কর্মসূচি

*বিনিয়োগের অর্থের যোগান

অর্থমন্ত্রী ‘পিএম গতি শক্তি’ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে বলেন যে এটি দেশের আর্থিক উন্নয়নের ক্রমবিকাশের জন্য একটি রূপান্তরকারী দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গির সাতটি ইঞ্জিন, যেমন সড়কপথ, রেলপথ, বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, গণ-পরিবহণ, জলপথ এবং লজিস্টিক্স-সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এই সাতটি ইঞ্জিন একসঙ্গে মিলে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই ইঞ্জিনগুলির মাধ্যমে এনার্জি ট্রান্সমিশন, আইটি কমিউনিকেশন, বাল্ক ওয়াটার এবং সিউয়ারেজ বা পয়ঃপ্রণালী আর সামাজিক পরিকাঠামোর পরিপূরক ভূমিকাগুলি থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। পরিশেষে, এই দৃষ্টিভঙ্গিকে নির্মল শক্তি এবং ‘সবকা প্রয়াস’ অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকারগুলি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্থনীতি নতুন গতি পেয়েছে। এর ফলে সবাই বিশেষ করে, যুব সম্প্রদায় ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং শিল্পোদ্যোগের সুযোগ পাচ্ছেন।

এভাবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য পিএম গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে যাতে জনগণ এবং পণ্য পরিবহণ ত্বরান্বিত হতে পারে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্ককে ২৫ হাজার কিলোমিটার সম্প্রসারিত করা হবে আর সরকারি সম্পদের পূরক হিসেবে অর্থ সংগ্রহের অভিনব পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

তিনি বলেন যে পিপিপি মোডে চারটি স্থানে মাল্টি-মডেল লজিস্টিক্স পার্ক গড়ে তোলার জন্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কন্ট্র্যাক্ট দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন যে রেলে ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ দৃষ্টিভঙ্গিকে জনপ্রিয় করে তোলা হবে, যাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা যায়। তাছাড়া, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ নেটওয়ার্ককে ‘কবচ’-এর অন্তর্গত করা হবে যা নিরাপত্তা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক মানের দেশীয় প্রযুক্তি। তিনি এটাও বলেছেন যে আগামী ৩ বছরে উন্নত জ্বালানি দক্ষতা এবং যাত্রীদের সুন্দর যাত্রার অভিজ্ঞতা প্রদানকারী ৪০০টি ‘বন্দে ভারত ট্রেন’ তৈরি করা হবে ও এর সঙ্গেই মাল্টি-মডেল লজিস্টিক্স পরিষেবাগুলির জন্য ১০০টি ‘পিএম গতি শক্তি কার্গো টার্মিনাল’ স্থাপন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী দেশের কৃষিক্ষেত্রের উল্লেখ করে বলেন, সারা দেশে রাসায়নিকমুক্ত প্রাকৃতিক কৃষিকে উৎসাহ যোগানো হবে। এর মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে গঙ্গা নদীর পাড়ে ৫ কিলোমিটার চওড়া করিডরে অবস্থিত কৃষকদের জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ফসলের পরিসংখ্যান, জমির রেকর্ডগুলির ডিজিটাইজেশন আর কীটনাশক এবং পুষ্টিকর বিভিন্ন ওষুধ ছড়ানোর জন্য ‘কিষাণ ড্রোন’-এর ব্যবহারকে উৎসাহ যোগানো হবে। শ্রীমতী সীতারমন বলেছেন, তৈলবীজ আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য একটি যুক্তিসম্মত এবং ব্যাপক প্রকল্প চালু করা হবে যাতে দেশে তেলজাত শস্যের উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে।

২০২৩-কে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেটস’ ঘোষণা করার কথা মাথায় রেখে সরকার ফসল কাটার পর মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘরোয়া ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য দেশ-বিদেশে বাজরা উৎপাদনের ব্র্যান্ডিং করার পূর্ণ সহযোগিতা ঘোষণা করেছে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেছেন যে ৪৪,৬০৫ কোটি টাকা আনুমানিক বিনিয়োগ করে ‘কেন-বেতওয়া লিঙ্ক প্রোজেক্ট’কে বাস্তবায়িত করা হবে যার উদ্দেশ্য কৃষকদের ৯.০৮ লক্ষ হেক্টর জমির সেচ পরিষেবাদান, ৬২ লক্ষ মানুষের পানীয় জলের ব্যবস্থা, ১০৩ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আর ২৭ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এই প্রকল্পের জন্য সংশোধিত বাজেট অনুমান হল ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩০০ কোটি টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১,৪০০ কোটি টাকা বন্টন করা হবে। তাছাড়া, পাঁচটি নদীর সংযুক্তি, যেমন দমনগঙ্গা-পিঞ্জল, পার-তাপ্তি-নর্মদা, গোদাবরী-কৃষ্ণা, কৃষ্ণা-পেন্নার এবং পেন্নার-কাবেরীর সুপারিশ ডিপিআর-কে অন্তিমরূপে জমা দেওয়া হয়েছে। উপকৃত রাজ্যগুলির মধ্যে সহমতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার এর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যও দেবে।

অর্থমন্ত্রী একথা স্পষ্ট করেন যে ‘ইমার্জেন্সি ক্রেডিট  লাইন গ্যারান্টি স্কিম’ বা ইসিএলজিএস-এর মাধ্যমে ১৩০ লক্ষের বেশি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ঋণ গ্রহীত্র  তারা মহামারীর প্রতিকূল প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে উঠতে পারবে। তিনি এটাও বলেছেন যে বিশেষ করে, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগগুলিকে ঋণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং তাদের গ্যারান্টির কভার ৫০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকা করা হবে। এর মধ্যে হসপিটালিটি এবং সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

একইভাবে, ‘মাইক্রো অ্যান্ড স্মল এন্টারপ্রাইজেস স্কিম’ বা ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এভাবেই প্রয়োজনীয় অর্থ যোগানোর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এর ফলে ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগগুলিকে ২ লক্ষ কোটি টাকার অতিরিক্ত ঋণ সুলভে দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। তিনি বলেন যে আগামী পাঁচ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এগুলিকে বর্ধিত করা এবং এদের কাজকে ত্বরান্বিত করার ‘রেইজিং অ্যান্ড অ্যাক্সেলারেটিং এমএসএমই পারফরমেন্স(আরএএমপি) অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে আরও বেশি পুনরুজ্জীবিত, প্রতিযোগিতামূলক এবং দক্ষ করে তুলবে।

‘উদ্যম’, ‘ই-শ্রম’, ‘এনসিএফ’ এবং ‘অসীম’ পোর্টালগুলিকে ইন্টারলিঙ্ক করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার সুযোগকে প্রশস্ত করা হবে।

দক্ষতা উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ-শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন যে বিভিন্ন ‘মাইক্রো অ্যাপ্লিকেশন’-এর মাধ্যমে ‘ড্রোন শক্তি’কে সুবিধাজনক করে তোলার পাশাপাশি একটি পরিষেবা রূপে ‘ড্রোন অ্যাজ আ সার্ভিস’ (ডিআরএএএস)-এর জন্য স্টার্ট-আপগুলিকে উৎসাহ যোগানো হবে। সকল রাজ্যে অবস্থিত নির্বাচিত আইটিআই-গুলিতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। ব্যবসায়িক পাঠ্যক্রমগুলিতে প্রয়োজনীয় ভাবনাচিন্তাকে উৎসাহ যোগাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, সৃষ্টিশীলতার জন্য অবকাশ তৈরি করতে বিজ্ঞান এবং গণিতে ৭৫০টি ভার্চ্যুয়াল প্রয়োগশালা এবং সিমুলেটেড প্রশিক্ষণ আবহের জন্য ৭৫টি ‘স্কিলিং ই-ল্যাব’ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে চালু করা হবে। তিনি আরও বলেন, মহামারীর ফলে স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ হওয়ায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী অধ্যুষিত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা প্রায় ২ বছরের প্রথাগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই এলাকাগুলির অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুলগুলিতে যেত। এখন তাদের জন্য অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে এবং তাদের শিক্ষা প্রক্রিয়াকে পুনর্জাগরিত করতে ‘পিএম ই-বিদ্যা প্রকল্প’-এর অন্তর্গত ১+১ টিভি চ্যানেল প্রকল্পটি ১২টি টিভি চ্যানেল থেকে বাড়িয়ে এখন ২০০টি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত করা হবে। এর ফলে, দেশের সমস্ত রাজ্যের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে পড়াশোনা করা প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ছাত্রছাত্রীরা যাতে বাড়িতে বসেই আন্তর্জাতিক মানের উৎকৃষ্ট শিক্ষা পেতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে একটি বিশ্বমানের ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় এবং আইসিপি ফরম্যাটে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি নেটওয়ার্কসম্পন্ন ‘হাব-স্পোক’ মডেলে গড়ে তোলা হবে, আর এই বিল্ডিংগুলি তৈরি হবে অত্যাধুনিক আইসিটি বিশেষজ্ঞতার সঙ্গে। দেশের শ্রেষ্ঠ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে এই ‘হাব-স্পোক’গুলির নেটওয়ার্ক যুক্ত করা হবে।

‘আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন’-এর অন্তর্গত ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ ইকো-সিস্টেম’-এর জন্য একটি মুক্ত মঞ্চ শুরু করা হবে। এতে চিকিৎসাকর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা, ইউনিক স্বাস্থ্য পরিচয়, কনসেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এবং সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে ডিজিটাল রূপে চালু করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এই মহামারী সকল বয়সের মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। উৎকৃষ্ট মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ ও হেলথ কেয়ার পরিষেবাকে উন্নত করে তুলতে একটি ‘ন্যাশনাল টেলি-মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম’ শুরু করা হবে। এতে ২৩টি উৎকৃষ্ট টেলি-মেন্টাল হেলথ সেন্টারের একটি নেটওয়ার্ক হবে। এতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (নিমহ্যান্স) নোডাল সেন্টার হিসেবে কাজ করবে এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইনফরমেশন টেকনলজি-বেঙ্গালুরু বা আইআইআইটি-বি একে প্রযুক্তিগত সাহায্য প্রদান করবে।

অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করে বলেন যে প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০২২-২৩-এ ৩.৮ কোটি পরিবারকে সামিল করতে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সময় ৮.৭ কোটি পরিবারকে সামিল করা হয়েছে আর এদের মধ্যে ৫.৫ কোটি পরিবারকে বিগত ২ বছরে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র চিহ্নিত এবং সুবিধাভোগীদের জন্য ৮০ লক্ষ পাকাবাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। এজন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব পরিষদের মাধ্যমে ‘উত্তর-পূর্ব প্রধানমন্ত্রী বিকাশ উদ্যোগ’ নামক একটি প্রকল্প শুরু করা হবে। এর মাধ্যমে পিএম গতি শক্তি ভাবনার অনুরূপ উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রয়োজন অনুসারে বুনিয়াদি পরিষেবাগুলি এবং সামাজিক বিকাশের প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব হবে। এর জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা প্রারম্ভিক বরাদ্দ করা হচ্ছে যাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভাবগুলি পূরণ করার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায় এবং মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান-সংশ্লিষ্ট গতিবিধি চালু করা হবে।

২০২২-এ ১.৫ লক্ষ ডাকঘরে ১০০ শতাংশ কোর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু হবে। এর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্ভব হবে এবং ১১টি নেট ব্যাঙ্কিং, মোবাইল ব্যাঙ্কিং আর এটিএম-এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট দেখতে পারবেন আর ডাকঘরের অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে আর্থিক লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে বিশেষ করে গ্রামে বসবাসকারী কৃষক এবং বয়স্ক নাগরিকরা ‘ইন্টার-অপারেটিবিলিটি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন’-এর সুবিধা পেতে পারবেন।

দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপনের জন্য তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে দেশের ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট স্থাপন করার সরকার প্রস্তাব রেখেছে। এর উদ্দেশ্য হল উপভোক্তাদের সুবিধা সুনিশ্চিত করা যাতে দেশের সকল অংশে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং-এর পরিষেবা চালু হতে পারে।

নাগরিকদের জন্য বিদেশ যাত্রা সরল করে তোলার উদ্দেশ্যে ২০২২-২৩-এ ‘এমবেডেড চিপ অ্যান্ড ফিউচারিস্টিক টেকনলজি’ ব্যবহার করে ই-পাসপোর্ট জারি করা হবে।

অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে নগরোন্নয়ন প্রকল্প এবং খসড়ায় ভারতে বিশিষ্ট জ্ঞানের বিকাশে এই ক্ষেত্রগুলিতে প্রমাণিত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাঁচটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষ কেন্দ্র রূপে নির্দিষ্ট করা হবে। এই কেন্দ্রগুলির প্রত্যেককে ২৫০ কোটি টাকা এনডাওমেন্ট ফান্ড প্রদান করা হবে।

অ্যানিমেশন, ভিস্যুয়াল এফেক্ট, গেমিং এবং কমিক্স তৈরির ক্ষেত্রগুলি যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের বড় সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। একটি ‘এভিজিসি প্রোমোশন টাস্ক ফোর্স’ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মিলেমিশে বাস্তবায়িত করা, আর আমাদের বাজার ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণ করার জন্য আভ্যন্তরীণ ক্ষমতা গড়ে তুলতে নানা পদ্ধতিগত সুপারিশ করার জন্য স্থাপন করা হবে।

শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেছেন যে সাধারণভাবে দূরসঞ্চার এবং বিশেষ রূপে ৫জি প্রযুক্তি, প্রগতি এবং রোজগারের সুযোগ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, প্রত্যাশিত স্পেকট্রাম নিলাম ২০২২-এই সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে ২০২২-২৩-এর মধ্যেই বেসরকারি টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীরা যাতে ৫জি মোবাইল পরিষেবা শুরু করতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করতে ডিজাইন-ভিত্তিক উৎপাদনকে উৎসাহ যোগাতে একটি পিএলআই-এর অংশ রূপে ৫জি-র জন্য একটি শক্তিশালী ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার কাজ করা হবে।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের সরকার আমদানি কমানোর লক্ষ্যে এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলির জন্য আধুনিক সমর সরঞ্জাম উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা তৈরি করতে দায়বদ্ধ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সাজসরঞ্জামের সঙ্গে যুক্ত দেশীয় শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য মূলধনী ব্যয়ের ৬৮ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে যা ২০২১-২২-এ ৫৮ শতাংশ ছিল। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন বেসরকারি ক্ষেত্র, স্টার্ট-আপ এবং বিদ্যায়তনিক শিক্ষার জন্য খুলে দেওয়া হবে আর তাদের জন্য ২৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।

উদ্ভূত সুযোগগুলি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন যে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’, ‘জিও স্পেশিয়াল সিস্টেম’, ‘ড্রোন’, ‘সেমি-কন্ডাক্টর’ ও সেগুলির উৎপাদন ব্যবস্থা, মহাকাশ অর্থনীতি, জিনোমিক্স এবং ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রিন এনার্জি এবং পরিবেশ-বান্ধব যানবাহন ব্যবস্থার বড় মাত্রায় বিকাশ প্রক্রিয়াকে সাহায্য করার মাধ্যমে দেশকে আধুনিক করে তোলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমেও নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত হবে আর ভারতীয় শিল্প জগৎ অধিক কার্যকর এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মডিউলগুলিকে পলিসিলিকনে রূপান্তরিত করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বর্তমানে চালু সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাকে ২৮০ গিগাওয়াটের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশীয় উৎপাদনকারীদের অতিরিক্ত ১৯,৫০০ কোটি টাকার পিএলআই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। পলিসিলিকনকে সোলার পিভি মডিউলে রূপান্তরণের জন্য সম্পূর্ণ সুসংহত উৎপাদন ইউনিটগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সরকারি বিনিয়োগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং চাহিদা বাড়ানোরও প্রয়োজন রয়েছে। একথা মাথায় রেখে আরও একবার কেন্দ্রীয় বাজেটে মূলধনী ব্যয়ের সংস্থান ৫.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৩৫.২ শতাংশ বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। এটি ২০১৯-২০-র ব্যয়ের তুলনায় ২.২ গুণ বাড়িয়ে ২০২২-২৩-এ জিডিপি-র ২.৯ শতাংশ করে তোলা হচ্ছে। এই বিনিয়োগ এবং রাজ্যগুলিকে অনুদানের মাধ্যমে মূলধনী সম্পদ সৃষ্টি করার এই প্রয়াসের ফলে সরকারের মূলধনী ব্যয় ২০২২-২৩-এ আনুমানিক ১০.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা হবে,  যা জিডিপি-র ৪.১ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সরকারের বাজার থেকে সামগ্রিক ঋণের অংশ হিসেবে পরিবেশ-বান্ধব পরিকাঠামোর উন্নতিতে অর্থ সংগ্রহের জন্য ‘গ্রিন বন্ড’ জারি করা হবে। এ থেকে পাওয়া অর্থরাশি সরকারি ক্ষেত্রে এমন প্রকল্পগুলিতে ব্যয় করা হবে যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে।

সরকার ব্লক-চেন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল রুপি চালু করার প্রস্তাব রেখেছে, যা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা হবে এবং এর সূত্রপাত ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে করা হবে।

সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রকৃত ভাবনাকে প্রতিফলিত করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে মূলধনী বিনিয়োগের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের পরিমাণ বর্তমান অর্থবর্ষে বাজেট সংস্থান ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। তাছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলি যাতে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করে তার জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট সংস্থান রাখা হয়েছে। সাধারণত নেওয়া ঋণ ছাড়াও ৫০ বছরের জন্য এই সুদমুক্ত ঋণ রাজ্যগুলি নিতে পারবে। এই বরাদ্দ পিএম গতি শক্তি সম্পর্কিত এবং রাজ্যগুলির অন্যান্য উৎপাদনশীল মূলধনী বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হবে।

শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আরও ঘোষণা করেছেন যে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে জিএসডিপি-র ৪ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতির অনুমতি দেওয়া হবে যার ০.৫ শতাংশ বিদ্যুৎক্ষেত্রের সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর শর্তগুলি ইতিমধ্যেই ২০২১-২২-এ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তাঁর বাজেট ভাষণের ‘পার্ট এ’ শেষ করে অর্থমন্ত্রী বলেন যে চলতি বছরে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপি-র ৬.৯ শতাংশ অনুমান করা হচ্ছে, যা বাজেট সংস্থানে ৬.৮ শতাংশ অনুমান করা হয়েছিল। রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ২০২৫-২৬-এর মধ্যে ৪.৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার যে ঘোষণা গত বছর করা হয়েছিল, ২০২২-২৩ সালের রাজস্ব ঘাটতি জিডিপি-র ৬.৪ শতাংশ অনুমান করা তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের রাজস্ব ঘাটতি নির্ধারণ করার সময় তিনি সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক বৃদ্ধিকে আরও শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী করার কথা উল্লেখ করেন।

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩-এ স্থিতিশীল এবং পূর্বাভাসযোগ্য কর ব্যবস্থার ঘোষিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরও সংস্কার আনতে চায় যা একটি বিশ্বস্ত কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেন যে, কর এবং শুল্ক বিষয়ক প্রস্তাবগুলি কর ব্যবস্থাকে আরও সরল করবে, করদাতাদের স্বেচ্ছায় করদানের সম্মতিকে উৎসাহিত করবে আর মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস করবে।

প্রত্যক্ষ কর সম্পর্কে বাজেটে করদাতাদের ভুল সংশোধনের জন্য ২ বছরের মধ্যে আপডেট করা আয়কর রিটার্ন দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যও কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই বাজেটে সমবায় সমিতিগুলির জন্য বিকল্প ন্যূনতম কর-এর হার এবং সারচার্জ কম করা হয়েছে। স্টার্ট-আপগুলিকে উৎসাহ যোগাতে তাদের অন্তর্ভুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সাম্য আনতে এনপিএস অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তার অবদানের ওপর কর হ্রাসের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। নতুন নথিভুক্ত উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে রেয়াতি কর ব্যবস্থার অধীনে উৎসাহ দেওয়া হবে। ভার্চ্যুয়াল সম্পদ হস্তান্তর থেকে আয় ৩০ শতাংশ হারে করযোগ্য। পুনরাবৃত্তিমূলক আপিল এড়াতে বাজেটে আরও ভালোভাবে মামলা পরিচালনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

পরোক্ষ করের দিক থেকে কেন্দ্রীয় বাজেট অনুসারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাস্টমস প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে তথ্যপ্রযুক্তি চালিত হবে। বাজেটে মূলধনী পণ্য এবং প্রকল্প আমদানিতে যে হারে ছাড় দেওয়া হত, তা পর্যায়ক্রমে তুলে দিয়ে ৭.৫ শতাংশ হারে শুল্ক বসানো হয়েছে। এই বাজেটে শুল্ক ছাড় এবং শুল্ক সরলীকরণের পর্যালোচনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ৩৫০টিরও বেশি ছাড় পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাড়িতে ব্যবহার করা বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদনের সুবিধার জন্য একটি গ্রেডেড কাঠামো তৈরি করতে শুল্কের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করা হবে। ভারতে উৎপাদিত কৃষিক্ষেত্রের জন্য সরঞ্জাম এবং সরঞ্জামের ওপর ছাড়কে যুক্তিসঙ্গত করে তোলা হবে। ইস্পাত স্ক্র্যাপে সীমাশুল্কে ছাড় বাড়ানো হয়েছে। মিশ্রণরহিত বিশুদ্ধ জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডিফারেন্সিয়াল আবগারি শুল্ক বসানো হবে।

এই বাজেটে অতিরিক্ত কর প্রদানের ওপর আপডেটেড রিটার্ন ফাইল করার জন্য করদাতাদের একটি নতুন ব্যবস্থার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই আপডেটেড রিটার্ন নির্ধারিত অর্থবর্ষের শেষদিন থেকে ২ বছরের মধ্যে দাখিল করা যেতে পারে। শ্রীমতী সীতারমন বলেছেন যে এই প্রস্তাবের মাধ্যমে করদাতাদের মনে ভরসা জাগবে, যার ফলে তাঁরা নিজেরাই নির্ধারিত রোজগার সম্পর্কে ঘোষণা করতে পারবেন যেটা তাঁরা আগে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় কোনও কারণে দেখাননি।

এবারের বাজেটে সমবায় সমিতি এবং কোম্পানিগুলির মধ্যে সাম্য আনার জন্য সমবায় সমিতিগুলির জন্য বিকল্প ন্যূনতম কর ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী যে সমবায় সমিতিগুলির বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত তাদের ওপর সারচার্জ ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব রেখেছেন।

দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের পিতা-মাতা বা অভিভাবককে একটি বিশেষ বিমা প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী শুধু পিতা-মাতা বা অভিভাবকের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি যিনি ছাড় পান, তাঁর মৃত্যু হয় - তাহলে দিব্যাঙ্গ ব্যক্তির জন্য যে এককালীন অর্থ প্রদান করা হয় বা বার্ষিক যে অর্থ পাওয়া যায়, তা বর্তমান বাজেটে পিতা-মাতা বা অভিভাবকের জীবদ্দশায় বা ৬০ বছর বয়সী পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের ওপর নির্ভরশীল দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের বার্ষিক এবং এককালীন অর্থ প্রদানের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস-এর টিয়ার-১-এ তার কর্মচারীদের বেতনের ১৪ শতাংশ অবদান রাখে। কর্মচারীর আয় গণনা করার ক্ষেত্রে এটি একটি ছাড় হিসেবে অনুমোদিত। যাই হোক, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বেতনের ১০ শতাংশ পর্যন্ত এই ধরনের ছাড় অনুমোদিত। সমান আচরণ সুনিশ্চিত করার জন্য বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্যও এনপিএস অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তার অবদানের ওপর কর ছাড়ের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

৩১.৩.২০২২-এর আগে স্থাপিত যোগ্য স্টার্ট-আপগুলিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য নথিভুক্তিকরণের ১০ বছরের মধ্যে পর পর তিন বছরের জন্য কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কোভিড মহামারীর ফলে যে লোকসান হয়েছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই ছাড়ের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা আরও এক বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে ৩১.৩.২০২৩ করা হয়েছে।

কিছু দেশীয় কোম্পানির জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য নতুন অন্তর্ভুক্ত গৃহস্থ পণ্য উৎপাদন কোম্পানিগুলির জন্য ১৫ শতাংশ কর ছাড়ের ব্যবস্থা চালু ছিল। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে ১১৫বিএবি ধারা অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলির উৎপাদন শুরু করার শেষ তারিখ ১ বছর বাড়িয়ে ৩১.৩.২০২৪ পর্যন্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

ভার্চ্যুয়াল ডিজিটাল সম্পদের ওপর কর আরোপের জন্য বাজেটে যে কোনও ভার্চ্যুয়াল ডিজিটাল সম্পদ হস্তান্তর থেকে আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অধিগ্রহণের খরচ ছাড়া এ ধরনের আয় গণনা করার সময় কোনও ব্যয় বা ভাতা সংক্রান্ত ছাড় অনুমোদন করা হবে না। তাছাড়া, ভার্চ্যুয়াল ডিজিটাল সম্পদ হস্তান্তর থেকে কোনও ক্ষতি হলে তাকে অন্য কোনও আয়ের বিপরীতে দেখানো যাবে না। লেনদেনের বিবরণ নথিভুক্ত করার জন্য ভার্চ্যুয়াল ডিজিটাল অ্যাসেট হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যে পেমেন্ট দেওয়া হবে, একটি নির্দিষ্ট মনিটারি থ্রেশহোল্ডের ওপরে তার ওপর ১ শতাংশ হারে টিডিএস কাটা হবে। ভার্চ্যুয়াল ডিজিটাল সম্পদের উপহার প্রাপককেও কর-এর আওতায় আনা হয়েছে।

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাজেটে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে যদি একজন মামলাকারী মূল্যায়নকারীর সঙ্গে আইনের প্রশ্নে অভিন্ন হয়, যা কোনও ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট আপিলের বিচারাধীন থাকে, তখন বিভাগ কর্তৃক মূল্যায়নকারীর ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আপিল দায়ের করা স্থগিত রাখা হবে।

বাজেটে প্রস্তাব রাখা হয়েছে যে অফশোর ডেরিভেটিভ ইনস্ট্রুমেন্ট বা অফশোর ব্যাঙ্কিং ইউনিটের জারি করা কাউন্টার ডেরিভেটিভ থেকে একজন প্রবাসী ভারতীয়ের আয়, জাহাজের ইজারা থেকে রয়্যালটি, সুদ থেকে আয় এবং পোর্টফোলিও পরিচালনা পরিষেবা থেকে প্রাপ্ত আয় আইএফএসসি নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে কর থেকে অব্যাহতি পাবে।

বাজেটে স্পষ্ট করা হয়েছে, ব্যবসায়িক ব্যয় হিসেবে আয় ও মুনাফার ওপর কোনও সারচার্জ বা সেস গ্রহণযোগ্য নয়। যাঁরা কর ফাঁকি দেন তাঁদের প্রতি কঠোর হওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব রাখেন যে অনুসন্ধান ও জরিপ অভিযানের সময় সনাক্ত করা অপ্রকাশিত আয়ের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষতির অনুমতি বা স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।

বাজেটে বলা হয়েছে যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাস্টমস প্রশাসনে সংস্কার করা হবে এবং এটি এখন থেকে সম্পূর্ণরূপে তথ্যপ্রযুক্তি চালিত হবে এবং উচ্চতর সুবিধার ওপর ফোকাস করে শুধুমাত্র ঝুঁকিভিত্তিক চেক নিয়ে কাস্টমস ন্যাশনাল পোর্টালে কাজ করবে। এই সংস্কারটি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এর মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

বাজেটে ক্যাপিটাল গুডস এবং প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট আমদানিতে ছাড়ের হার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা এবং ৭.৫ শতাংশ সাধারণ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। দেশের মধ্যে তৈরি করা হয় না, এমন অত্যাধুনিক ও উন্নত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে কিছু ছাড় অব্যাহত থাকবে। ক্যাপিটাল গুডস বা মূলধনী পণ্যের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য স্পেশালাইজড কাস্টিংস, বল স্ক্রিউ এবং লিনিয়ার মোশন গাইড-এর মতো পণ্যে ছাড় চালু রাখা হয়েছে।

৩৫০টিরও বেশি ছাড় পর্যায়ক্রমে সমাপ্ত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু কৃষিজাত পণ্য, রাসায়নিক, কাপড়, চিকিৎসা সরঞ্জাম আর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিসিন্স যেগুলি উৎপাদনের পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেশের রয়েছে। তাছাড়া একটি সরল উপায়ে কিছু ছাড়ের হার বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত না করে সীমাশুল্ক তালিকাতেই নথিভুক্ত করা হয়েছে।

ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, পরিধান যোগ্য ডিভাইস, শ্রবণযোগ্য ডিভাইস এবং ইলেক্ট্রনিক স্মার্ট মিটারের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ যোগাতে গ্রেডেড রেট কাঠামো প্রদানের জন্য শুল্কের হার ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে। মোবাইল ফোনের চার্জারের ট্রান্সফর্মারের যন্ত্রাংশ এবং মোবাইল ক্যামেরা মডিউলের ক্যামেরার লেন্স এবং অন্যান্য কিছু পণ্যের ক্ষেত্রেও শুল্ক ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

রত্ন ও গহনা শিল্পক্ষেত্রকে উৎসাহ যোগাতে কাটা ও পালিশ করা হীরা ও রত্ন পাথরের ওপর শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে গহনা রপ্তানি সহজতর করতে এ বছরের জুন মাসের মধ্যে একটি সরলীকৃত নিয়ন্ত্রক কাঠামো কার্যকর করা হবে। স্বল্প মূল্যাঙ্কিত ইমিটেশন জুয়েলারির আমদানি হ্রাস করার জন্য ইমিটেশন জুয়েলারির ওপর শুল্ক এমনভাবেই নির্ধারণ করা হচ্ছে যাতে এগুলি আমদানি করতে কেজি প্রতি ন্যূনতম ৪০০ টাকা শুল্ক দিতে হবে।

পেট্রোলজাত দ্রব্য পরিশোধনের জন্য মিথানল, অ্যাসেটিক অ্যাসিড এবং ভারী ফিড স্টক নামক কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিকের ওপর শুল্ক কম করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সোডিয়াম সায়ানাইডের ওপর শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদনের ক্ষমতা দেশে রয়েছে।

ছাতার ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। ছাতার কিছু অংশের জন্য ছাড় প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভারতে উৎপাদিত যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ যা ভারতে উৎপাদিত হয়, সেগুলির ওপর ছাড়কে যুক্তিসঙ্গত করা হচ্ছে। গত বছর স্টিলের স্ক্র্যাপের ওপর যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল তা আরও ১ বছর বাড়ানো হচ্ছে। স্টেইনলেস স্টিল এবং কোটেড স্টিল পণ্য এবং অ্যালয় স্টিলের বার এবং হাইস্পিড স্টিলের কিছু অ্যান্টি-ডাম্পিং এবং সিভিডির ওপর ছাড় প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

হস্তশিল্প, বস্ত্রশিল্প, চর্মশিল্প যেমন চামড়ার পোশাক, পাদুকা ইত্যাদির রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অলঙ্করণ, ট্রিমিং, ফাস্টেনার, বোতাম, জিপার, আস্তরণের উপাদান, নির্দিষ্ট চামড়া, আসবাবপত্র এবং প্যাকেজিং বাক্সের মতো পণ্যগুলিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। চিংড়ি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হচ্ছে যাতে চিংড়ির রপ্তানি বাড়ানো যায়।

জ্বালানি মিশ্রণকে এই সরকার বরাবরই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। জ্বালানি মিশ্রণের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০২২ সালের অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে অমিশ্রিত জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লিটার প্রতি ২ টাকা আবগারি শুল্ক নেওয়া হবে।

 

CG/SB/DM/



(Release ID: 1794658) Visitor Counter : 5103