প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে এনসিসি পিএম র‍্যালিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


“এনসিসি-তে থাকাকালীন আমি যে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা পেয়েছি তা আমাকে দেশের প্রতি কর্তব্য পালনে অসীম শক্তি যুগিয়েছে”

“দেশের সীমান্ত অঞ্চলে ১ লক্ষ নতুন ক্যাডেট তৈরি করা হয়েছে”

“আরও বেশি সংখ্যায় বালিকাদের এনসিসি-তে সামিল করতে আমাদের প্রয়াসী হতে হবে”

“দেশই প্রথম, এই সঙ্কল্প নিয়ে যুবারা যখন এগিয়ে চলেন তখন সেই দেশকে বিশ্বের কোনও শক্তিই থামাতে পারে না”

“ডিজিটাল ব্যবস্থার সুব্যবহারে এনসিসি ক্যাডেটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন এবং বিভ্রান্তি ও গুজব থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারেন”

“শিক্ষাঙ্গণ মাদক-মুক্ত রাখতে এনসিসি / এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্য করতে পারেন”

Posted On: 28 JAN 2022 2:30PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-র র‍্যালিতে ভাষণ দিয়েছেন। এই র‍্যালিতে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর তিনি ক্যাডেটদের মার্চ-পাস্ট এবং বিভিন্ন কলাকৌশল প্রত্যক্ষ করেন। এই উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সেরা ক্যাডেটদের প্রধানমন্ত্রী পদক ও ব্যাটন দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
 
এই র‍্যালি উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সময় দেশে এক অন্য ধরনের উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এনসিসি-র সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে থাকার সময় তাঁর প্রশিক্ষণ দেশের প্রতি কর্তব্য পালনে তাঁকে অপার শক্তি যুগিয়েছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী দেশের দুই মহান সন্তান – লালা লাজপত রাই এবং ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পাকে দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন আজ ভারতমাতার এই দুই সাহসী সন্তানের জন্মজয়ন্তী।
 
জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি)-কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে যেসব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশ এক নতুন সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই প্রেক্ষিতে এনসিসি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এনসিসি-কে শক্তিশালী করে তোলার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়েছে। এমনকি, গত দু’বছরে দেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে ১ লক্ষ নতুন ক্যাডেট এনসিসি-তে যোগ দিয়েছেন। 
 
বালিকা ও মহিলাদের জন্য প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দরজা খুলে দিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলির কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সমর শিক্ষার্থী বাহিনীতে বালিকা ক্যাডেটদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, দেশের মানসিকতায় পরিবর্তন আসছে। তিনি বলেন, দেশের কল্যাণে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং বালিকা ক্যাডেটদের জন্য অপার সুযোগ-সুবিধা তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দেশের কন্যারা সৈনিক বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতে পারছে। এমনকি, মহিলারা সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বিমানবাহিনীতে দেশের কন্যারা যুদ্ধবিমান চালাচ্ছেন। তাই, এরকম পরিস্থিতিতে এটা আমাদের আন্তরিক প্রয়াস হওয়া উচিৎ যাতে এনসিসি-তে আরও বেশি সংখ্যক বালিকাকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। 
 
তরুণ ক্যাডেটদের প্রাণবন্ততার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এঁদের অনেকেরই জন্ম বর্তমান শতকে। তিনি নবীন এই ক্যাডেটদের দেশকে ২০৪৭-এ স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনাদের সকলের প্রয়াস ও দৃঢ় সঙ্কল্প এবং এই সঙ্কল্পগুলি পূরণ করাই হবে ভারতের সাফল্য ও কৃতিত্বের নিদর্শন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যুব সম্প্রদায় যখন দেশই প্রথম, এই চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলে, তখন বিশ্বের কোনও শক্তিই সেই দেশকে আটকে রাখতে পারে না। খেলার মাঠে ও স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য তারই পরিচয় বহন করছে। আজ থেকে পরবর্তী ২৫ বছর অর্থাৎ, অমৃতকালের এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যাডেটদেরকে তাঁদের প্রত্যাশা ও কর্মপরিকল্পনাগুলিকে দেশের উন্নয়ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযানে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের যুবারা যদি কেবল সেই সমস্ত ভালো নীতি অনুসরণের দৃঢ় সঙ্কল্প গ্রহণ করে তাহলে ভারতের নিয়তি সম্পূর্ণ পালটে যেতে পারে। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ একদিকে যেমন ডিজিটাল প্রযুক্তি ও তথ্যের ক্ষেত্রে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে তেমনই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের বিপদও রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে কোনরকম গুজবের শিকার না হন তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে তিনি এনসিসি ক্যাডেটদের সচেতনতা অভিযান গ্রহণের প্রস্তাব দেন।
 
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যে সমস্ত বিদ্যালয় বা কলেজে এনসিসি বা এনএসএস-এর শাখা সংগঠন রয়েছে, সেখানে যেন কোনভাবেই মাদক-অনুপ্রবেশ না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি ক্যাডেটদের মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষাঙ্গণকে মাদক-মুক্ত রাখতে প্রয়াসী হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত যুবক-যুবতী এনসিসি বা এনএসএস-এর সদস্য নন, তাঁদের মধ্যেও মাদকাসক্তির কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী এনসিসি ক্যাডেটদের ‘সেলফ ফর সোসাইটি’ পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। ডিজিটাল এই মঞ্চটি দেশের সমবেত প্রয়াসে নতুন প্রাণসঞ্চারের লক্ষ্যে কাজ করছে। শ্রী মোদী জানান, ইতিমধ্যেই ৭ হাজারের বেশি সংগঠন এবং ২ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ এই পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। 
 
CG/BD/DM/


(Release ID: 1793346) Visitor Counter : 155