স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু’র প্রতিবেদন অনুযায়ী নতুন কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট (ওমিক্রন) এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে

Posted On: 30 NOV 2021 2:03PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৩০  নভেম্বর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজীব ভূষণ আজ নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পলের উপস্থিতিতে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। এই পর্যালোচনা বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের সচিব শ্রী রাজীব বানসাল, আইসিএমআর-এর মহানির্দেশক তথা স্বাস্থ্য গবেষণা ক্ষেত্রের সচিব ডাঃ বলরাম ভার্গভ, এনসিডিসি-র অধিকর্তা ডাঃ সুজিত কে সিং, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধি এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। কোভিড-১৯এর এই নতুন রূপের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংশোধিত নির্দেশিকা ও পরামর্শগুলি রাজ্যগুলির সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজ্যগুলিকে যথাযথ বিধিনিষেধ মেনে চলা এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ওপর কঠোর নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এরজন্য বিমান বন্দর, বন্দর এবং স্থল সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন। 

রাজ্যগুলিকে বিশেষভাবে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল- 

আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী নজরদারি ব্যবস্থাপনা : ওমিক্রন সংক্রমণ প্রবণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের প্রথম দিনই নমুনা পরীক্ষা করতে হবে এবং ৮ দিনের মাথায় পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা দরকার। এই সমস্ত সংক্রমণ প্রবণ দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বিমান বন্দরে অপেক্ষা করার জন্য সবরকম প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং যাত্রীদের সংযোগকারী বিমান আগে থেকে বুক না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

জিনম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য সমস্ত পজেটিভ নমুনা অবিলম্বে আইএনএসএসিওজি পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে। রাজ্য সরকার পজেটিভ ব্যক্তিদের সন্ধান রাখবে এবং ১৪ দিনের জন্য অনুসরণ করবে। 

পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নতিসাধন : পরীক্ষার পরিকাঠামো শক্তিশালী করা এবং নমুনা পরীক্ষার নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা দরকার। আরটিপিসিআর অনুপাত বজায় রেখে প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 

হটস্পট জায়গাগুলির ক্ষেত্রে কার্যকরী নজরদারি : সম্প্রতি যেসব অঞ্চল বা এলাকার সংক্রমণের পজেটিভ কেস পাওয়া যাচ্ছে সেখানে প্রতি নিয়ত পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। এমনকি জিনম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য সমস্ত পজেটিভ নমুনা আইএনএসএসিওজি পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে।

সংক্রমণ প্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের বাড়িতেই নিরন্তর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন : সংক্রমণ প্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের বাড়িতেই আইসোলেশন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। অষ্টম দিনে পরীক্ষার পর যদি তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও রাজ্য প্রশাসন তাদের শারীরিক পর্যবেক্ষণ চালাবে। 

স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা : স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করতে যথাযথ আইসিইউ, অক্সিজেন সার্পোটেড শয্যা, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। গ্রামীণ এলাকায় এবং শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার যাতে নির্বিঘ্নে সরবরাহ সুনিশ্চিত করা যায় সে দিকটিও দেখা প্রয়োজন। এমনকি অনুমোদিত পিএসএ প্লান্টের বাস্তবায়নও দরকার 

বিদেশ থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বিবরণ সহ ভ্রমণকারীদের তালিকা এপিএইচও-র সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। এমনকি বিদেশ থেকে যাত্রীদের ওপর যথাযথভাবে নজরদারি করা প্রয়োজন। রাজ্য প্রশাসন বন্দরের স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং স্থল সীমান্ত এলাকায় আধিকারিকদের মধ্যে কার্যকরী এবং সময়োপযোগী সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জনসাধারণের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে প্রমাণ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্যের নিয়মিত প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। 

এদিনের বৈঠকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন রূপের উত্থানকে ‘মহামারীর মধ্যে মহামারী’ হিসেবে অভিহিত করে ডঃ ভি কে পল জানিয়েছেন কোভিড-১৯ সংক্রমণের মোকাবিলায় যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে ভারত। তিনি কোভিড আচরণবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি বড় জমায়েত এড়িয়ে চলা এবং টিকাকরণ বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে টিকাদানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ দেওয়া এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ‘হর ঘর দস্তক’  টিকা প্রচারাভিযান ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান। রাজ্যগুলিকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার গতি এবং পরিধি বিস্তারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আইসিএমআর-এর মহানির্দেশক জানিয়েছেন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আরটিপিসিআর এবং আরএটি পরীক্ষা থেকে কখনই এড়িয়ে যায়না। তাই রাজ্যগুলিকে তাৎক্ষণিক এবং প্রাথমিক শনাক্তকরণের জন্য এই পরীক্ষার ওপর জোর দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংক্রমণ প্রবণ এমন দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের অগ্রাধিকারমূলকভাবে পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক যোগ্য ব্যক্তিদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা এবং কোভিড আচরণবিধি মেনে চলা ও জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। 

 

CG/SS/NS



(Release ID: 1776529) Visitor Counter : 279