প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিলান্যাস করেছেন


“এই বিমানবন্দরটি সমস্ত অঞ্চলের জন্য জাতীয় গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের একটি শক্তিশালী প্রতীক হয়ে উঠবে”

“এই বিমানবন্দর পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে”

“ডবল ইঞ্জিন সরকারের উদ্যোগে আজ উত্তর প্রদেশে দেশের মধ্যে সব থেকে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে”

“আগামী দিনে যে পরিকাঠামো গড়ে উঠবে, তা খুরজার হস্তশিল্পীদের, মীরাটের ক্রীড়া শিল্প, সাহারানপুরের আসবাবপত্র, মোরাদাবাদের পিতল শিল্প এবং আগ্রার জুতো ও পেঠা শিল্পের সহায়ক হবে”

উত্তর প্রদেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি মিথ্যা স্বপ্ন দেখাতো, আজ এই রাজ্য শুধু জাতীয় স্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও পরিচিত”

“আমাদের জন্য পরিকাঠামো রাজনীতির অংশ নয়, জাতীয় নীতির অংশ”

Posted On: 25 NOV 2021 3:45PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তর প্রদেশে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিলান্যাস করেছেন। অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জেনারেল ভি কে সিং, শ্রী সঞ্জীব বালিয়ান, শ্রী এস পি সিং বাঘেল এবং শ্রী বি এল শর্মা উপস্থিত ছিলেন।
 
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারত আজ শ্রেষ্ঠ আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। ‘উন্নত সড়ক, রেল ও বিমানবন্দর শুধুমাত্র পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকাঠামোই নয়, এগুলির সাহায্যে সমস্ত অঞ্চলে পরিবর্তন ঘটে এবং মানুষের জীবন সম্পূর্ণ বদলে যায়’।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর ভারতে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সবচেয়ে বড় পণ্য পরিবহণের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। এই বিমানবন্দর সমস্ত অঞ্চলের জন্য জাতীয় গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের একটি শক্তিশালী প্রতীক হতে চলেছে। 
 
পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর নির্মাণের সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। একটি বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য হাজার হাজার মানুষের প্রয়োজন হয়। তাই, ‘এই বিমানবন্দরটি পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে’। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সাত দশক পর এই প্রথমবার উত্তর প্রদেশ তার প্রয়োজনীয় চাহিদার সবকিছুই পাচ্ছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের উদ্যোগে আজ উত্তর প্রদেশে দেশের মধ্যে সব থেকে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান বিমান চলাচল ক্ষেত্রে নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই অঞ্চলের ৪০ একর জমির ওপর বিমানের রক্ষণা-বেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হবে। এর ফলে, শতাধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আজ ভারতীয়দের বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার জন্য বিদেশে গিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়।  
 
এখানে যে সুসংহত মাল্টি-মডেল কার্গো হাব গড়ে উঠবে তার ফলে উত্তর প্রদেশের মতো ভূমিবেষ্টিত রাজ্যের সুবিধা হবে। কারণ, এখানে বিমানবন্দরের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। আলিগড়, মথুরা, মীরাট, আগ্রা, বীজনৌর, মোরাদাবাদ এবং বেরেলির মতো শিল্প কেন্দ্রগুলির সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে যে পরিকাঠামো এখানে তৈরি হবে, তা খুরজার হস্তশিল্পীদের, মীরাটের ক্রীড়া শিল্প, সাহারানপুরের আসবাবপত্র, মোরাদাবাদের পিতল শিল্প এবং আগ্রার জুতো ও পেঠা শিল্পের জন্য সহায়ক হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি রাজ্যকে অবহেলা করেছে এবং অলীক স্বপ্ন দেখিয়েছিল। আজ এই রাজ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি লাভ করেছে। জেওয়ার বিমানবন্দরের উদাহরণ তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, পূর্বতন উত্তর প্রদেশ ও কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিম উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে উদাসীন ছিল। দু’দশক আগে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার এই প্রকল্পটির পরিকল্পনা করে। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে এই বিমানবন্দর দিল্লি ও লক্ষ্ণৌ সরকারের মধ্যে টানাপোড়েনের শিকার হয় । পূর্ববর্তী উত্তর প্রদেশ সরকার কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানায়, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু, আজ ডবল ইঞ্জিন সরকারের উদ্যোগে আমরা এই বিমানবন্দরের ভূমি পুজো করছি।
  
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জন্য পরিকাঠামো রাজনীতির অংশ নয়, জাতীয় নীতির অংশ। কোনও প্রকল্প যাতে বন্ধ বা বাতিল না হয় – আমরা তা নিশ্চিত করি। বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণ যাতে নির্দিষ্ট সময়ে হয়, আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি’।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কিছু রাজনৈতিক দল তাদের ব্যক্তি স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। ‘এইসব মানুষদের ভাবনাচিন্তা আত্মকেন্দ্রিক, তাঁরা শুধু নিজের ও তাঁদের পরিবারের কথাই ভাবেন। কিন্তু, আমরা দেশকে অগ্রাধিকার দিই। আমাদের মন্ত্র সবকা সাথ-সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস-সবকা প্রয়াস’।
 
সরকারের সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগের কথা প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে – ১০০ কোটি টিকার ডোজের মাইলফলক অতিক্রম করা, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ, কুশীনগর বিমানবন্দর, উত্তর প্রদেশের ৯টি মেডিকেল কলেজ, মাহবায় নতুন জলাধার ও সেচ প্রকল্প, ঝাঁসিতে প্রতিরক্ষা করিডর ও অনুসারি বিভিন্ন প্রকল্প, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন, ভোপালে আধুনিক রেল স্টেশন, মহারাষ্ট্রের পান্ধারপুরে জাতীয় মহাসড়ক এবং আজ নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শিলান্যাস। শ্রী মোদী বলেছেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আত্মকেন্দ্রিক নীতি আমাদের দেশপ্রেম ও জাতীয় সেবার উদ্যোগকে প্রতিহত করতে পারবে না’। 
 
CG/CB/SB


(Release ID: 1775170) Visitor Counter : 157