স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া বিশ্ব জুড়ে শিশুদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কিত ইউনিসেফের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন

এই প্রতিবেদনে শিশু ও কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে

Posted On: 05 OCT 2021 4:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৫ অক্টোবর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মান্ডভিয়া আজ ইউনিসেফের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ পাবলিকেশন – ২০২১ এ বিশ্ব জুড়ে শিশুদের বর্তমান অবস্থা; শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসার, সুরক্ষা ও যত্ন নেওয়া শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এই প্রতিবেদনে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। 

ভারতের পাশাপাশি, সারা বিশ্ব জুড়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আলোকপাত করে এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে শ্রী মান্ডভিয়া বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য একটি পুরনো ও উদীয়মান বিষয়। আমাদের পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে সার্বিক স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ক্রমবর্ধমান। বর্তমান বিভক্ত পরিবারের সংস্কৃতি, একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। এমনকি, এর ফলে মানসিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। 

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সমগ্র সমাজের কাছেই মানসিক বোঝার বিষয় হয়ে উঠেছিল বলে অভিমত প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় ফার্মাসিউটিকাল দপ্তরের মন্ত্রী পদে থাকাকালীন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন। সেই সময় একদিকে যেমন ওষুধের উৎপাদন পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ছিল, তেমনই নতুন ওষুধ উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলাও জরুরি হয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই এরকম পরিস্থিতি মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে এবং অনেক সময়েই বিপর্যয়ের কারণ হয়ে ওঠে। তবে, নিয়মিত যোগচর্চা, প্রাণায়ম ও সাইকেল চালানো তাকে এই চাপ থেকে অনেকাংশে নিষ্কৃতি দিয়েছিল বলে শ্রী মান্ডভিয়া জানান।

মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টির সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকার করে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, অভিভাবক ও পরিবারের পাশাপাশি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও মানসিক উদ্বেগ দূর করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই, পরিবার ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খোলাখুলিভাবে শিশুদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান বজায় রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈহিক সুস্বাস্থ্য একই মুদ্রার দুটি দিক। মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সঙ্গে জড়িত সামাজিক কলঙ্কের বিষয়টিও দূর করার ওপর তিনি জোর দেন।

ভারতে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি ডঃ ইয়াসমিন আলি হক ঐ প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ভারতে ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৪ শতাংশ ব্যক্তি বা প্রতি ৭ জনের মধ্যে ১ জন প্রায়শই হতাশায় ভোগেন এবং ছোট কোনও কাজ করার ব্যাপারেও উদাসীন। এই উপলক্ষে নিমহ্যানস্ – এর অধিকর্তা ডঃ প্রতিমা মূর্তি সহ ইউনিসেফের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1761196) Visitor Counter : 360