স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ নতুন দিল্লিতে চরম বামপন্থা সমস্যার পর্যালোচনা বৈঠকের পৌরোহিত্য করেছেন

Posted On: 26 SEP 2021 4:35PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ নতুন দিল্লিতে চরম বামপন্থা সমস্যার পর্যালোচনা বৈঠকের পৌরোহিত্য করেছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা, যোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি ও রেল মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই, বিহার, ওডিশা, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশে ও ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, অন্ধ্রপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার পদস্থ আধিকারিক, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা  উপস্থিত ছিলেন।

শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র চরম বামপন্থা অধ্যুষিত অঞ্চলে উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এই সব এলাকায় নাশকতামূলক তৎপরতা ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ২১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। শ্রী শাহ বলেন, দীর্ঘ কয়েক দশকের সংঘাতের পর এই প্রথম মৃত্যুর সংখ্য়া ২০০র নিচে নেমেছে। যা বিরাট সাফল্য।

চরম বামপন্থার সমস্যা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে না পারলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে উন্নয়ন বাধা প্রাপ্ত হয়। যে সব রাজ্যে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী , সেখানে রাজ্যগুলির দেয় অর্থের পরিমাণ কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে এই সব রাজ্যগুলিকে ২০১৮ – ১৯ অর্থ বর্ষের থেকে ২০১৯ – ২০ অর্থ বর্ষে প্রায় ২৯০০ কোটি টাকা কম ব্যয় করতে হচ্ছে। কেন্দ্র, দু ভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে। যারা অস্ত্র ছেড়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে আসতে চান, তাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। কিন্তু যারা অস্ত্র ছাড়ছেন না এবং নিরীহ ব্যক্তি ও পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তাদের একই পদ্ধতিতে জবাব দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে স্বাধীনতার ছয় দশক পরেও অসন্তোষের মূল কারণ ছিল উন্নয়নের অভাব। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐ সব অঞ্চলে উন্নয়নের কাজে গতি আসায় নকশালরা বুঝতে পেরেছে নিরীহ মানুষদের বিভ্রান্ত করা সহজ হবে না। এর ফলে ঐ সব অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন সম্ভব। বিগত ৪০ বছরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৬,০০০ এর বেশি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পরিস্থিতি বদলানোর জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেন্দ্র, সম্প্রতি বেশ কিছু জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। একাজে উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিশেষ সাফল্য পাওয়া গেছে। চরম বামপন্থীদের আয়ের উৎস বন্ধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২০১৮র এপ্রিল মাসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যয় করতে হয়, এধরণের জেলার সংখ্যা ১২৬ থেকে কমিয়ে ৯০ করা হয়েছে। ২০২১ এর জুলাইয়ে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৭০। চরম বামপন্থী অধ্যুষিত জেলার সংখ্যাও ২০১৮র এপ্রিলে ৩৫ থেকে কমিয়ে হয়েছে ৩০। পরবর্তীতে ২০২১ এর জুলাই মাসে এই সংখ্যা ২৫শে নেমে এসেছে।

সিপিআই (মাওবাদী) গোষ্ঠীর এলাকা সম্প্রসারণের চেষ্টাকে আটকানো হয়েছে। বর্তমানে ৮টি জেলাকে সঙ্কটপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। চরম বামপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এখন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় আছে। সরকার, আশা করে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে।

 

CG/CB/SFS


(Release ID: 1758429) Visitor Counter : 276