স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস-২০২১এর অনুষ্ঠানে, তামাক থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার

Posted On: 31 MAY 2021 3:03PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩১ মে, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষবর্ধন বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস উপলক্ষে আজ এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি তামাক থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য অঙ্গীকার করতে বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে ডিজিটাল ভাবে অংশ নেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের কারণে ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়। অর্থাৎ দৈনিক ৩৫০০ জন। তামাকজনিত কারণে মৃত্যু এবং রোগ ব্যাধি দেশের অর্থনৈতিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। ধূমপায়ীদের মধ্যে থেকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে যে, তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে রোগ জনিত কারণে মৃত্যুর হার যেমন অনেক বেশি, এমনি অর্থনৈতিক বোঝাও চূড়ান্ত। যা প্রায় ১.৭৭ লক্ষ কোটি টাকা। জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আইনি ও প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ায় দেশে তামাক গ্রহণ করেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ভারতের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, সিগারেট আইন-১৯৭৫ অনুসারে হয়েছে। যেখানে সিগারেটের প্যাকেটে, কার্টনে এবং বিজ্ঞাপনে বিধি সম্মত স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা প্রদর্শন করার আদেশ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তামাক সেবনের বিরুদ্ধে তার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, 'দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকার সময় তার সুযোগ হয়েছিল 'দিল্লি ধূমপান ও ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিষিদ্ধকরণ' যা ১৯৯৭ সালে দিল্লি বিধানসভায় গৃহীত হয়েছিল। এই মডেলকে অনুকরণ করে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০০২ সাল থেকে পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ হয়। এর পরেই ব্যাপকভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৩ পেশ করা হয়।

তামাক সেবন এবং ধূমপানের বিরুদ্ধে তাঁর অবদানের জন্য ডক্টর হর্ষবর্ধনকে ১৯৯৮ এর মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেলস' প্রশস্তি পদক ও শংসাপত্র দেয়। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে এই অনুষ্ঠান হয়।

তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের লাগাতার প্রচেষ্টার ফলে তামাক ব্যবহারের পরিমাণ ২০০৯-১০ সালে যা ৩৪.৬ শতাংশ ছিল, ২০১৬-১৭ সালে তা কমে ২৮.৬ শতাংশ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের ব্যবহারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করার পরেই তিনি সিগারেট নিষিদ্ধকরণ বিল-২০১৮'র পরিকল্পনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সক্রিয় সহযোগিতায় এই বিল সংসদে পাস হয়।

বর্তমানে, তামাক এবং তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়ে জনগণকে সচেতন করতে টোল ফ্রি নম্বর থেকে ১৬ টি ভাষায় প্রচার চালানো হচ্ছে।

ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্য স্থির করেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২১-এর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'ডিরেক্টর জেনারেলস স্পেশাল রেকোগ্নিশন আওয়ার্ড' এই বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহানির্দেশককে জানান।

 

CG/ SB

 



(Release ID: 1723204) Visitor Counter : 764