স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের তথ্য পেয়ে কেন্দ্রের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ
সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিপুল উদ্যোগ গ্রহণ এবং হাসপাতালগুলির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে ফাঙ্গাল সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে
Posted On:
21 MAY 2021 6:24PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২১শে মে, ২০২১
কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে মিউকোরমাইকোসিসের সংক্রমণের খবর সম্প্রতি পাওয়া গেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত এই সংক্রমণ মূলত দ্বিতীয় স্তরে অথবা সুযোগ সন্ধানী ফাঙ্গাসের সংক্রমণের থেকে হয়। সম্প্রতি কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাই এই সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করা এবং হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, সব রাজ্যের মুখ্য সচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের অনুরোধ জানিয়েছেন, কোভিড হাসপাতাল সহ অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রে যাতে এই সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
১) হাসপাতালের প্রধান অথবা প্রশাসককে চেয়ারপার্সন করে হাসপাতাল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করতে হবে। অথবা সেটি থাকলে তাকে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন।
২) সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দিতে হবে। এই অফিসার মাইক্রোবায়োলজিস্ট অথবা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উচ্চপদস্থ নার্স হতে পারেন।
৩) সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী (ইনফেকশন প্রিভেনশন কন্ট্রোল – আইপিসি) তৈরি করে সেটি বাস্তবায়িত করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাতীয় নীতি নির্দেশিকা মেনে পুরো কাজটি করা প্রয়োজন। এই নির্দেশিকা দেখতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
- https://www.mohfw.gov.in/pdf/National%20Guidelines%20for%20IPC%20in%20HCF%20-%20final(1).pdf)
এক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল –
ক) সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ পুস্তিকা
খ) মাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহারের নীতি – নির্দেশিকা
গ) শিক্ষামূলক কর্মসূচী ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন
ঘ) সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
ঙ) পরিকল্পনা, নজরদারী, হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ও মতামত গ্রহণ
চ) বিভিন্ন কৌশলের বাস্তবায়ন
৪) আইপিসি-র জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি মেনে চলা। কোভিড – ১৯ এর প্রেক্ষিতে
ক) হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাধারণ সুরক্ষার বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে।
খ) সংক্রমণ ভিত্তিক সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।
গ) স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা যাতে এই ভাইরাসের থেকে রক্ষা পান, তার জন্য ড্রপলেট, বায়ুবাহিত জীবাণু এবং কারো সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫) পরিবেশের মানোন্নয়ন
ক) বিশুদ্ধ বাতাসকে প্রবাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে বাতাস যাতে ঘরে ঢোকে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
খ) পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণু মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে যে সব জায়গা বেশি ছোঁয়া হয়, সেখানে ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড অথবা ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলের সাহায্যে ঐ জায়গাটি পরিস্কার রাখতে হবে।
গ) হাসপাতালে জলের থেকে বা খাওয়ারের থেকে যাতে কোনো সংক্রমণ না ছড়ায়, সেবিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।
ঘ) জৈব বর্জ্য পদার্থ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নীতি নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্য়বস্থা করতে হবে।
এই নীতি নির্দেশিকা দেখার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://cpcb.nic.in/uploads/Projects/Bio-Medical-Waste/BMW-GUIDELINES-COVID_1.pdf
৬) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-তে সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। ভেন্টিলেটর, নিউমোনিয়ায় ব্যবহৃত ভেন্টিলেটর, নিউমোনিয়া অথবা ক্যাথিটার সহযোগে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করার জন্য যে ব্যবস্থাপনা সেগুলিকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
৭) সংক্রমিত ব্যাধি প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে পরীক্ষাগার রয়েছে এবং যারা হাসপাতালের কর্মী, তাদের নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করতে হবে।
৮) বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেখতে হবে, যাতে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম (যেমন – কোভিড – ১৯ এ যে সব সংক্রমিত স্টেরয়েডের চিকিৎসা নিয়েছেন, ডায়াবেটিস –এ ভুগছেন) তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতি নির্দেশিকা দেখতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
- https://www.mohfw.gov.in/pdf/ClinicalGuidanceonDiabetesManagementatCOVID19PatientManagementFacility.pdf
৯) স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সংক্রমণ সংক্রান্ত নজরদারীর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যে ভেন্টিলেটর নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়, ক্যাথিডারের কারণে সংক্রমিত, অস্ত্রপ্রচারের পর সংক্রমণ, খাদ্যনালীতে সংক্রমণ এধরণের সমস্যার ক্ষেত্রে এইমস ও এইচএআই এর নেটওয়ার্কের সাহায্য নিতে পারেন। বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://www.haisindia.com
১০) আইপিসি-তে হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে দক্ষতা বাড়িয়ে তোলা (তারা যে শিফটেই ডিউটি করুক না কেন), তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
১১) সংক্রমণ প্রতিহত ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় মতামত জানানোর জন্য রাজ্যস্তরে একজন নোডাল আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকে জাতীয় নীতি নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1720823)
Visitor Counter : 1319