সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক

দিবাঙ্গজনের পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকার এই প্রথম ৬ মাসের সিবিআইডি কর্মসূচির সূচনা করেছে

Posted On: 19 MAY 2021 3:40PM by PIB Kolkata

নতুন  দিল্লি, ১৯ মে, ২০২১

 

কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী ডঃ থাওরচাঁদ গেহলট আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিবাঙ্গজনের পুনর্বাসনের বিষয়ে ৬ মাসের সম্প্রদায় ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন (সিবিআইডি) কর্মসূচির সূচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ পাল গুজ্জর, ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার  মিঃ ব্যারি ও’ফ্যারেল,  অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার শ্রী মনপ্রীত ভোহরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। 

অনুষ্ঠানের ভাষণে ডঃ থাওরচাঁদ গেহলট জানান, বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইন ২০১৬’ কার্যকর করেছে। এই আইনের মাধ্যমে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সামগ্রিক উন্নতির বিষয়ে সুদৃঢ় হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এর ফলে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের শিক্ষা, খেলাধূলা, চারুকলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন সুনিশ্চিত হয়েছে। আগামীদিনে তাদের আরও বেশি দক্ষ করে তুলতে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এর ফলে দেশে দিবাঙ্গজনের পুনর্বাসন ও উন্নয়নের জন্য দক্ষ ব্যক্তি গড়ে উঠবে এবং তাদের ক্ষমতায়ন ও সমাজে অন্তর্ভুক্তি সুনিশ্চিত করবে। শ্রী গেহলট আরও বলেন, অতিমারি পরিস্থিতির কারণে দিবাঙ্গজনের জন্য পরামর্শ দাতা/গাইডের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যত দ্রুত সম্ভব এই কর্মসূচি চালু করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

এদিনের অনুষ্ঠানে এই পাঠ্যক্রমের বিষয়ে ৬টি বুকলেটেরও উদ্বোধন করেন শ্রী গেহলট। এই কর্মসূচির লক্ষ্যই হল সম্প্রদায় স্তরে তৃণমূল পর্যায়ের পুনর্বাসন কর্মীদের ক্ষেত্রে একটি গোষ্ঠী তৈরি করা, যাতে আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পাশাপাশি তারাও সমাজে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির সুবিধার্থে কাজ করতে পারেন। এই কর্মীদের দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি, জ্ঞানের প্রসার ইত্যাদির বিষয় এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। এই কর্মীদের ‘দিবাঙ্গ মিত্র’ অর্থাৎ বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের বন্ধু বলা হবে। ভারতের পুনর্বাসন পর্ষদ প্রাথমিকভাবে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন দপ্তরের ৭টি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক পুনর্বাসন কর্মসূচির অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন ৭ থেকে ৯টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে প্রাথমিক ভিত্তিতে এই পাঠ্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। শুরুতেই এই পাঠ্যক্রমটি ইংরাজি, হিন্দি, গুজরাটি, মারাঠি, ওড়িয়া, বাংলা, তেলুগু, তামিল এবং গারো এই কটি ভাষায় চালু করা হবে।  এই বছরের আগষ্টের মধ্যে প্রায় ৬০০জন শিক্ষার্থীর প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই পাঠ্যক্রমের প্রশিক্ষণের পদ্ধতিটি অফলাইন এবং অনলাইন উভয় ভাবেই চালু করা হবে।

  

CG/SS/AS/



(Release ID: 1719984) Visitor Counter : 199