মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি

তপশিলী জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিকোত্তর বৃত্তির বিষয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা


তপশিলী জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য সরকারের বিপুল উদ্যোগ ; আগামী ৫ বছরে ৪ কোটির বেশি তপশিলী ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিকোত্তর বৃত্তি বাবদ ৫৯,০০০ কোটি টাকার অনুমোদন

Posted On: 23 DEC 2020 4:39PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত ‘পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ টু স্টুডেন্টস বিলঙ্গিং টু শিডিউল্ড কাস্টস (পিএমএস-এসসি)’-র জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তনটি অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে আগামী ৫ বছর ৪ কোটির বেশি তপশিলী গোষ্ঠীভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন। তাঁরা সফলভাবে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এর জন্য ৫৯,০৪৮ কোটি টাকা মোট বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ অর্থ অর্থাৎ ৩৫,৫৩৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে। বাকি অর্থ সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি দেবে। এরফলে বর্তমান বাধ্যবাধকতামূলক ব্যবস্থাটিকে সরিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কেন্দ্র আরও নিবিড়ভাবে জড়িত থাকবে।

মাধ্যমিকোত্তর বৃত্তি প্রকল্পটিতে তপশিলী জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা একাদশ শ্রেণী থেকে পরবর্তী পর্যায়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে। সরকার শিক্ষার খরচ বহন করবে।

কেন্দ্রীয় সরকার তপশিলী জাতির ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষায় আরও উৎসাহ দিতে দায়বদ্ধ। এরফলে ৫ বছরের মধ্যে তপশিলী গোষ্ঠীভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় অংশ গ্রহণ জাতীয় মানে পৌঁছাবে।

এই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য :

এই প্রকল্পটি দরিদ্রতম ছাত্রছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করাবে। প্রকল্পের অর্থ সময়মতো দেওয়া, সর্বাঙ্গীন দায়বদ্ধতা, নিরলস নজরদারি এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার বিষয়গুলি এখানে নিশ্চিত করা হবে।

১) দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দরিদ্রতম পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে নিজেদের পছন্দ অনুসারে উচ্চশিক্ষায় যুক্ত হতে পারে তার জন্য প্রচার চালানো হবে। বর্তমানে দশম শ্রেণীর পর এই ধরণের প্রায় ১.৩৬ কোটি দরিদ্র ছাত্রছাত্রী আর লেখাপড়া করেনা। আগামী ৫ বছরে তাদের উচ্চশিক্ষায় নিয়ে আসা হবে।

২) এই প্রকল্পটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলবে। এক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং বিলম্ব ছাড়াই সঠিক সময়ে বৃত্তির অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করা হবে।

৩) যোগ্য প্রার্থী, জাতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য, আধার সংখ্যা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য অনলাইন পোর্টালে যেগুলি দেওয়া হবে রাজ্যগুলি সেসব বিষয়গুলি যাচাই করবে।

৪) সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে আধারভিত্তিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগানো হবে। ২০২১-২২ সাল থেকে কেন্দ্র ডিবিটি বা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট সময়ে তার ৬০ শতাংশ অর্থ পাঠাবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের বকেয়া টাকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই অর্থ পাঠান হবে।

৫) স্যোস্যাল অডিট, তৃতীয় পক্ষের সাহায্যে প্রতি বছর মূল্যায়ণ এবং ৬ মাস অন্তর প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব হিসেব দেওয়ার মাধ্যমে এই প্রকল্পের নজরদারির বিষয়টি শক্তিশালী করা হবে।

২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অনুদান প্রতি বছর ১১০০ কোটি টাকা ছিল যা ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬ সময়কালে প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি করে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা করা হবে।

***

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1683135) Visitor Counter : 349