সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক

করোনা মহামারীর সময়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রগুলি সচেতনতা এবং শক্তিশালী বার্তা প্রেরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে : মুক্তার আব্বাস নাকভি

Posted On: 14 DEC 2020 2:55PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

 

    কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেছেন, করোনা মহামারীর সময় সরকার, সমাজ, চলচ্চিত্র এবং গণমাধ্যম প্রতিশ্রুতি মতো সতর্কতার বার্তা প্রচারে সাহসিকতার সঙ্গে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। কঠিন সময়ে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র সচেতনতা এবং শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। 

    নতুন দিল্লীতে আজ এনডিএমসি সম্মেলন কেন্দ্রে ‘করোনা ভাইরাসের ওপর আন্তর্জাতিক স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের ভাষণে শ্রী নাকভি বলেন, করোনা মহামারীর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর প্রখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১০৮টি দেশের ২ হাজার ৮০০-ও বেশি চলচ্চিত্র এই উসবে দেখানো হবে। এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রগুলি করোনা মহামারীর সময়ে জীবনযাত্রা, সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং এই রোগ নিরাময়ে পদক্ষেপ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে । 

    শ্রী নাকভি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের শুটিংএর কাজ বন্ধ ছিল। এই সংকটের সময় স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলি জনগণকে শুধুমাত্র বিনোদনই প্রদান করেনি একইসঙ্গে করোনা সমস্যা মোকাবিলা সম্পর্কে সচেতনও করে তুলেছে। বিভিন্ন চ্যানেল, তা সে খবরের চ্যানেল, বিনোদন চ্যানেল, খেলাধুলা অথবা বাণিজ্যিক চ্যানেল হোক না কেন সকলেই করোনা মহামারীর সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে।

    শ্রী নাকভি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী দেশে যখনই সংকট উপস্থিত হয়েছে তখন সরকার, সমাজ, চলচ্চিত্র এবং গণমাধ্যম সকলে একত্রিত হয়ে দেশের স্বার্থ এবং মানবজাতির কল্যাণে সততার সঙ্গে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

    শ্রী নাকভি বলেন, এক শতাব্দী পর সমগ্র পৃথিবী করোনা মহামারীর জেরে উদ্ভুত সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। অনেক প্রজন্ম এমন সংকট চোখে দেখেননি। তবুও পরিপক্ক সমাজ, সরকার, চলচ্চিত্র এবং গণমাধ্যম বিশেষত ভারতে এই সমস্যার সমাধানে সব রকম প্রয়াস চালিয়ে গেছে। এই চারটি বিভাগই সমস্যার সমাধানের প্রধান অঙ্গ হয়ে উঠেছে। 

    শ্রী নাকভি আরও জানান, বিগত ১০ মাসে কাজের সংস্কৃতি, চরিত্র, প্রশাসনিক, সামাজিক, চলচ্চিত্র জগৎ এবং গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। তবে এই সংস্কার কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রণের কারণেই সম্পন্ন হয়নি, স্থির সংকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আজ করোনা মহামারীর জেরে কর্মসংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। 

    শ্রী নাকভি বলেন, ভারতীয় সমাজ বিনোদনমূলক চলচ্চিত্রের জন্য উন্মাদ। বড় পর্দার মাধ্যমে সমাজের কাছে গুরপূর্ণ বার্তা পৌঁছেও দেওয়া যায় । চলচ্চিত্র এবং গণমাধ্যম আমাদের জীবনে কেবলমাত্র একটি অপরিহার্য অঙ্গই হয়ে ওঠেনি,  সমাজকে প্রভাবিত করার শক্তিও রয়েছে। করোনা সংকটের সময় স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র তা প্রমাণ করে দিয়েছে।

    এই উৎসবের ভাষণে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, করোনা ভাইরাসের ওপর নির্মিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র উৎসব উদযাপনের চিন্তা-ভাবনা অসাধারণ। শ্রী জাভড়েকর আরও জানান, ১০৮টি দেশের ২ হাজার ৮০০ চলচ্চিত্রের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অসাধারণ প্রতিভার প্রতিফলন ঘটেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই উৎসব আয়োজকদের অভিনন্দনও জানান। 

***

 

CG/SS /NS


(Release ID: 1680581) Visitor Counter : 183