PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 19 NOV 2020 5:45PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর,  ২০২০

 

দৈনিক ভিত্তিতে সুস্থতার সংখ্যা নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে, এর ফলে সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট আক্রান্তের ৫ শতাংশের কম

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৪৫,৫৭৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে দেশে আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৮,৪৯৩ জন, যা সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ২,৯১৭ জন কম। এমনকি, গত ৪৭ দিনে দৈনিক ভিত্তিতে সুস্থতার সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় বেশি রয়েছে। দেশে আজ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে ৫ শতাংশের নীচে নেমেছে। ভারতে দৈনিক ভিত্তিতে উচ্চহারে সুস্থতার সংখ্যা বাড়তে থাকায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। দেশে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৩ যা মোট আক্রান্তের কেবল ৪.৯৫ শতাংশ। দেশে সুস্থতার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরোগ্য লাভের হার আজ বেড়ে হয়েছে ৯৩.৫৮ শতাংশ। একইভাবে, সুস্থতার মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬০২। সুস্থতার সংখ্যা ও আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক আরও বেড়ে হয়েছে ৬৯ লক্ষ ৪০ হাজার ২৯৯। সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৭.২৭ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরল থেকে সর্বাধিক ৭,০৬৬ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে দিল্লিতে একদিনেই সুস্থ হয়েছেন ৬,৯০১ জন। মহারাষ্ট্র থেকে সুস্থতার সংখ্যা ৬,৬০৮। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের ৭৭.২৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৭,৪৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, কেরল থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৪১৯। মহারাষ্ট্র থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ৫,০১১ জন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৫৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯.৪৯ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে সর্বাধিক ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন ১০০ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673940  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০২০-২১ চিকিৎসা শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পুলে থাকা এমবিবিএস/বিডিএস স্তরের আসনগুলিতে কোভিড ওয়ারিয়স ওয়ার্ড থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন ও মনোনয়নে নতুন ক্যাটাগরি তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ জানিয়েছেন, ২০২০-২১ চিকিৎসা শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পুল বা কেন্দ্রের এক্রিয়ারে থাকা এমবিবিএস স্তরের আসনগুলির জন্য হাসপাতালের কোভিড ওয়ারিয়র ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্য থেকে নির্বাচন ও মনোনয়ন সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও শুশ্রুষার দায়িত্বে থাকা কোভিড কোভিড ওয়ারিয়র বা করোনা যোদ্ধাদের মহান ও নিস্বার্থ অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতেই এই সিদ্ধান্ত। মানবতার সেবায় যে সমস্ত করোনা যোদ্ধা নিঃস্বার্থ সেবা করেছেন, তাঁদের মহান আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দিতে এমবিবিএস আসনগুলিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673965  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও মণিপুরে তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও মণিপুরে উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল মোতায়েন করেছে। এই রাজ্যগুলিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানায় তিন সদস্যের এই কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বে রয়েছেন নতুন দিল্লি এইমস্ – এর অধিকর্তা ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া। রাজস্থানে যাওয়া কেন্দ্রীয় দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পল। গুজরাটের জন্য কেন্দ্রীয় দলের নেতৃত্বে থাকছেন এনসিডিসি-র অধিকর্তা ডঃ এস কে সিং এবং মণিপুরের মণিপুরের কেন্দ্রীয় দলটির নেতৃত্বে থাকছেন ডিএইচজিএস – এর অতিরিক্ত ডিডিজি ডঃ এল সুষ্টিচরণ। কেন্দ্রীয় দলগুলি এই রাজ্যগুলিকে কোভিড সংক্রমণের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারগুলিকে সাহায্য করবে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674001  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

সঙ্কটকে সুযোগে পরিণত করা : কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে ভারতের প্রস্তুতি কিভাবে ২০২৫ – এর মধ্যে যক্ষ্মা দূরীকরণে কার্যকর হয়ে উঠতে পারে, তা প্রকাশ করলেন ডাঃ হর্ষবর্ধন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩৩তম স্টপ টিবি পার্টনারশিপ বোর্ড মিটিং-এ ভাষণ দেন। কোভিড-১৯ বর্তমান সময়কে বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, সংক্রামক রোগ-ব্যধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের আরও সচেষ্ট হতে হবে এবং মারণ করোনা ভাইরাস আমাদের বহু দশকের প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করেছে। এমনকি, বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ও মারণ রোগ-ব্যাধির ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের দৃষ্টিভঙ্গীকে এই ভাইরাস মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। বর্তমান সঙ্কটকে সুযোগে পরিণত করার ক্ষেত্রে ভারতের কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডাঃ হর্ষবর্ধন জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণ এবংত সংক্রামক রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে যক্ষ্মা দূরীকরণে চলতি প্রয়াসগুলিকে আরও নিবিড় করে তুলেছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673854  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী বেঙ্গালুরু টেক সামিট – এর উদ্বোধন করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুতে প্রযুক্তি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। কর্ণাটক ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি সোসাইটি (কেআইটিএস), কর্ণাটক সরকারের তথ্য প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি ও নতুন উদ্যোগের উপর পরিকল্পনাকারী গোষ্ঠী, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কস অফ ইন্ডিয়া ও এম এম আক্টিভ সায়েন্স-টেকনোলজি কমিউনিকেশন্সের সঙ্গে কর্ণাটক সরকার যৌথ উদ্যোগে এই শীর্ষ সম্মেলন করেছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া আজ শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগের ঘেরাটোপে না থেকে দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষ এবং যাঁরা সরকারে রয়েছেন, তাঁদের জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রযুক্তির এই শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কারণে আমাদের দেশে মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তি বর্তমানে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হওয়ায় নাগরিকদের জীবনে যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে এবং এর সুফল সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, সরকার ডিজিটাল ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে একটি বাজারই শুধু তৈরি করেনি, সমস্ত প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তিকে অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহার করছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সরকারের প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে মানুষের জীবনে মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছেন এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা আয়ুষ্মান ভারত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। লকডাউনের সময় ভারতের দরিদ্র জনসাধারণ যথাযথ ও দ্রুত সহায়তা পেয়েছেন, এর মূলে রয়েছে প্রযুক্তি। এ ধরনের সহায়তা অতুলনীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষতার সঙ্গে ভালো পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প ফাইলের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুতগতিতে ব্যাপকভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। সকলের জন্য বিদ্যুৎ, টোল বুথগুলি দিয়ে দ্রুতগতিতে যান চলাচল প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে এবং আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প সময়ে টিকা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে প্রযুক্তি।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673955  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বেঙ্গালুরু টেক সামিট - এ, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673951  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গঠন এবং মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির প্রসারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকর প্রমাণিত

কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি-ভিত্তিক একাধিক উদ্যোগ ও প্রয়াস গ্রহণ করেছে। এই প্রয়াসগুলির ফলে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত গঠন ও মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। মন্ত্রকের এই উদ্যোগের ফলে দেশে এখন শুধু পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ডিসপেন্সর বোতলই উৎপাদিত হচ্ছে না, সেইসঙ্গে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও করা হচ্ছে। মন্ত্রকের এই প্রয়াসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সামগ্রী (তরল / জেল) উৎপাদনে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলেছে। একইসঙ্গে, মাস্ক, ফেসশিল্ড, পিপিই কিট, স্যানিটাইজার বক্স ও নমুনা পরীক্ষার বিভিন্ন উপকরণ উৎপাদনে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি এই সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কোভিড-১৯-এর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বোতলের চাহিদা অভাবনীয় বৃদ্ধি পায়। সেই অনুসারে, ডিসপেন্সর বোতল যেগুলি হাত দিয়ে পাম্প করে বের করতে হয়, তার চাহিদা দৈনিক কয়েকগুণ বেড়ে ৫০ লক্ষে পৌঁছয়। কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের এ ধরনের ডিসপেন্সর বোতলের চাহিদা ছিল দৈনিক প্রায় ৫ লক্ষ। সেই সময় অতিরিক্ত এই চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আমদানি করতে হচ্ছিল। কিন্তু, আমদানি সামগ্রী সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়ায় এর দাম বোতল প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে যায়। এই প্রেক্ষিতে ভারতের বাজারে স্যানিটাইজারের দামে বৃদ্ধি ঘটে। তিন ধরনের ডিসপেন্সর বোতলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেশীয় পদ্ধতিতেই উৎপাদিত হচ্ছে। স্প্রে করার বোতল, জেল ভর্তি বোতল এবং তরল বা লিকুইড বোতলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে। ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রে সমস্যার বিষয়টি উপলব্ধি করে বিভাগীয় সচিব সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ এবং মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে গত মে মাস থেকে একাধিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকগুলিতে শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি, প্লাস্টিক উৎপাদন অ্যাসোসিয়েশনকেও সামিল করা হয়েছে যাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য ডিসপেন্সর বোতলের অভাব না হয়। মন্ত্রক প্রযুক্তিগত প্রয়োগ আরও বাড়াতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এই সমস্ত উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে টেকনলজি সেন্টারগুলিতে ডিসপেন্সর বোতল উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সব ধরনের মডিউল, যার সাহায্যে হাত দিয়ে পাম্প করলেই বোতল থেকে স্যানিটাইজার বেরিয়ে আসবে এমন কারিগরি দিক উদ্ভাবন। এজন্য টেকনলজি সেন্টারগুলিতে নতুন যন্ত্রসামগ্রী সংগ্রহের জন্য ২৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673954  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

মিশন পূর্বোদয় পূর্ব ভারতকে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে চালিত করবে এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠনে সাহায্য করবে : শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারত হ’ল ভারতকে এক সুপ্ত বাজার থেকে সক্রিয় উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা, যাতে আমাদের দেশ বিশ্ব মূল্য-শৃঙ্খল ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। বণিকসভা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-র ১১৯তম বার্ষিক সাধারণ বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রী প্রধান আরও বলেন, আত্মনির্ভর ভারত হ’ল এক সুদৃঢ় উৎপাদন ক্ষেত্র সহ এমন এক শক্তিশালী ভারত, যা স্বনির্ভর কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থ-ব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত। আত্মনির্ভর ভারত বিশ্ব অর্থ-ব্যবস্থার চালিকাশক্তি হিসাবে বহুমুখী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বলে শ্রী প্রধান অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মিশন পূর্বোদয় কর্মসূচির আওতায় আমরা পূর্ব ভারতে এক সুসংবদ্ধ ইস্পাত হাব গড়ে তুলছি, যা ইস্পাত ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আরও বাড়াবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি, আঞ্চলিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী চাহিদা ও সরবরাহ-শৃঙ্খল ব্যবস্থাকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার প্রভাব পড়েছে সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির ওপর। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673977  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

আয়ুষ মন্ত্রকের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক সংস্কারমূলক উদ্যোগ

আয়ুষ মন্ত্রক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে এবং প্রশাসনিক সংস্কারমূলক প্রক্রিয়াগুলিকে ত্বরান্বিত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মসূচি (কেন্দ্রীয় ক্ষেত্র এবং কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট) এবং মন্ত্রকের স্বশাসিত সংস্থা। আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব শ্রী বৈদ্য রাজেশ কোটেচা এবং অতিরিক্ত সচিব শ্রী ধর্মেন্দ্র সিং গাঙ্গোয়ার গত সেপ্টেম্বর মাসে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মন্ত্রকের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। মন্ত্রকের বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই উদ্যোগগুলি কার্যকর করা হবে। মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত রূপায়ণকারী এজেন্সিগুলির কাছে যাতে সহজেই তহবিল সরবরাহ করা যায় তার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রকের এই পদক্ষেপগুলি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বিলম্ব দূর করতে সহায়তা করবে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সদ্য ঘোষিত পদক্ষেপগুলি দ্রুত কার্যকর করতে আধুনিক ও কার্যকর আর্থিক হিসাব-নিকাশের পদ্ধতি হিসেবে পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা পিএফএমএস পদ্ধতিকে গ্রহণ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ও ইউনিটগুলি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আর্থিক কাজকর্ম পরিচালনা করবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674004  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

• অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৮২। মোট সুস্থতার সংখ্যা ১৪ হাজার ৭১৫।

 

• আসাম : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ০.৭২ শতাংশ।

 

• মেঘালয় : রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫৩। সুস্থতার সংখ্যা ১০ হাজার ১৪। 

 

• সিকিম : রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৬। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১২৪ জন। 

 

• মহারাষ্ট্র : বৃহন মুম্বাই পুর নিগম এলাকায় সপ্তাহব্যাপী রাস্তার হকার, দোকান মালিক, পরিবহণকারী ও হেল্পারদের জন্য কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে। 

 

• গুজরাট : রাজ্যে করোনায় আরও ১ হাজার ২৮১ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯২ হাজার। এদিকে আমেদাবাদ পুর নিগম শহর এলাকায় অপ্রত্যাশিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনির্দিষ্ট হাসপাতালগুলিতে শয্যা সংখ্যার পর্যাপ্ততা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে। 

 

• রাজস্থান : রাজ্যে ২৬ দিন পর সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজারের সীমা ছাড়িয়েছে। বুধবার আরও ২ হাজার ১৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের জয়পুর ও যোধপুর জেলা করোনায় সর্বাধিক প্রভাবিত। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

 

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৩৮। এদিকে রাজ্য সরকার পুনরায় লকডাউনের গুজব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। তাই, লকডাউন কার্যকর করার মমতো পরিস্থিতি নেই। 

 

• ছত্তিশগড় : রাজ্য সরকার ছট পুজো উপলক্ষ্যে বিশেষ নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। নদী ও জলাশয়ে ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হলেও এ ব্যাপারে নতুন করে নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেবল উপাসকরাই পুজোর জন্য নদী বা জলাশয়গুলিতে যেতে পারবেন। অন্যদের প্রবেশে অনুমতি নেই। এদিকে জাতীয় পরিবেশ আদালত ছট পুজোর সময় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত যাবতীয় আতস বাজির ব্যবহার করা যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে। 

 

• গোয়া : রাজ্যে চলতি পর্যটন মরশুমের সময় হোটেলগুলির জন্য সরকার নতুন আদর্শ কার্যপরিচালনবিধি জারি করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন। 

 

• কেরল : কেরল হাইকোর্ট কোভিড-১৯ প্রয়াত হওয়া রোগীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নীতি-নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যে গতকাল আরও ৬ হাজার ৪১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে আক্রান্তের হার ৯.৫৩ শতাংশ এবং করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯৪৩ জনের। 

 

• তামিলনাডু : কোভিড মহামারীর দরুণ বিক্রয় হ্রাস পাওয়ায় তামিলনাডু কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে তাদেরকে ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে প্রয়োজনীয় সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য জোরালো সওয়াল করেছে। 

 

• কর্ণাটক : বেঙ্গালুরুতে কোভিড-১৯ টিকাকরণের জন্য প্রথম পর্যায়ে সুবিধাভোগী হিসাবে ৯৪ হাজার ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ –এর গোড়ায় টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলে খবরে প্রকাশ। এদিকে রাজ্যে বুধবার আরও ১ হাজার ৭৯১ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৮ জনের। 

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের দ্বিতীয়বার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে আধিকারিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি এক পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয়বার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যে দৈনিক গড়ে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ১ লক্ষ ৭১ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দৈনিক-ভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৭৫ হাজারেরও বেশি।

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্য সরকার বেসরকারি পরীক্ষাগারে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার মাশুল ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়ি থেকে নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ বাবদ মাশুল ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৯৪৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজারেরও বেশি এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৮। 

***

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1674216) Visitor Counter : 146