PIB Headquarters
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ
Posted On:
17 NOV 2020 5:57PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
ভারতে পরপর দু’দিন দৈনিক-ভিত্তিতে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার; দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা গত দেড় মাস যাবৎ আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় বেশি
ভারতে পরপর দু’দিন দৈনিক-ভিত্তিতে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারে সীমিত রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ হাজার ১৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি, দেশে গত ১০ দিনে নিরবচ্ছিন্নভাবে দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের নতুন ঘটনা ৫০ হাজারেরও কম। কোভিড আদর্শ আচরণ ব্যাপকভাবে মেনে চলার দরুণ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দৈনিক-ভিত্তিতে সুস্থতার সংখ্যা ক্রমশ কমে গত ২৪ ঘন্টায় ৪০ হাজার ৭৯১ এ রয়েছে। অন্যদিকে, আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে ২৯ হাজার ১৬৩। অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার হার দেশে অব্যাহত রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রচেষ্টার ফলে আজ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৯০৭ এ পৌঁছেছে। একইভাবে, আক্রান্তের হারও কমে হয়েছে ৭.০১ শতাংশে। দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪০১, যা মোট আক্রান্তের কেবল ৫.১১ শতাংশ। দেশে আজ সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৭০ এ। একই সঙ্গে, সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৪২ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার ৭২.৮৭ শতাংশ। কেরল থেকে সর্বাধিক ৬ হাজার ৫৬৭ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একদিনেই সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৬ জন। অন্যদিকে, দিল্লিতে সুস্থতার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৬০। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনায় নতুন করে আক্রান্তদের ৭৫.১৪ শতাংশই রয়েছেন। দিল্লি থেকে সর্বাধিক ৩ হাজার ৭৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১২। কেরল থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১০ জন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪৯ জনের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮.৪০ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে সর্বাধিক ৯৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মহারাষ্ট্র থেকে মারা গেছেন ৬০ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে আরও ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হু-র কার্যকরী পর্ষদের ১৪৭তম অধিবেশনে পৌরহিত্য করেছেন ডাঃ হর্ষ বর্ধন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র কার্যকরী পর্ষদের ১৪৭ তম অধিবেশনে পৌরহিত্য করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভোকাল ফর লোকাল উদ্যমের প্রতি আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুদের জোরালো সওয়াল
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যমকে সার্বিকভাবে সফল করে তোলার জন্য আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুদের প্রতি যে আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছিলেন, তাতে সারা দেশের আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুরা ব্যাপক সমর্থন জানিয়েছেন এবং তাঁদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। সন্ত সমাজ প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনে গভীর উৎসাহ দেখিয়েছেন। আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুরা আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যমকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে নিজেদের অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন। এমনকি, তাঁরা সকলেই ‘ভোকাল ফর লোকাল’ – এর প্রতি নিজেদের অঙ্গীকারের কথাও ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জৈনাচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বরজী মহারাজের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘স্ট্যাচু অফ পিস’ বা ‘শান্তির প্রতিমূর্তি’র আবরণ উন্মোচনের সময় আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুদের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ উদ্যমকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী বলেছিলেন, স্বাধীনতা অভিযানে সংগ্রামের ভিত্তির সঙ্গে ভক্তি আন্দোলন যেমন জড়িয়ে রয়েছে, তেমনই আজ সাধু-সন্ত, মহাত্মা, মহন্ত ও আচার্যরা আত্মনির্ভর ভারত গঠনে ভিত্তি হয়ে উঠবেন। তিনি আধ্যাত্মিক ধর্মগুরুদের আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ নিজ অনুরাগী ও ভক্তবৃন্দদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
ভার্চ্যুয়াল ব্রিকস্ শিখর সম্মেলন ২০২০-তে প্রধানমন্ত্রীর প্রারম্ভিক ভাষণের মূল অংশ
বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় সুযোগ-সুবিধা প্রদান সম্পর্কিত সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের স্পষ্টীকরণ
কয়েকটি সংবাদ নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় প্রদেয় সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ দীর্ঘায়িত হয়েছে। এর ফলে, ছাত্রছাত্রীরা বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রকাশিত নিবন্ধ সম্পর্কে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনার স্পষ্টীকরণ দিয়ে জানানো হয়েছে, সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন দপ্তর তপশিল জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী, তালিকা বহির্ভূত আদিবাসী ছাত্রছাত্রী এবং আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছত্রাছাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত প্রশাসন/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা সরাসরি একাধিক বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। দপ্তর বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে, যাতে কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময় সুফলভোগীদের কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীণ হতে না হয়। তপশিল জাতির ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রাক্-মাধ্যমিক ফ্ল্যাগশিপ বৃত্তি প্রদান কর্মসূচির আওতায় দপ্তর ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চাহিদা মোতাবেক গত জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদেয় অংশ হিসাবে ৭৫ শতাংশ অর্থ মঞ্জুর করেছে। অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় সহায়তার অর্থ ধাপে ধাপে মঞ্জুর করা হয়েছে।
অর্থ কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিল
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ সালের মেয়াদের উপর কমিশনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। কমিশন, চৌঠা নভেম্বর রাষ্ট্রপতিকে তার প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। কমিশনের চেয়ারম্যান, শ্রী এন কে সিং, সচিব শ্রী অরবিন্দ মেহতা এবং কমিশনের সদস্যরা౼ শ্রী অজয় নারায়ন ঝা, অধ্যাপক অনুপ সিং, ডঃ অশোক লাহিড়ী ও ডঃ রমেশ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই প্রতিবেদন তুলে দেন। কমিশন তার প্রতিবেদন মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রীকে দেবে। এর পর সংবিধানের নিয়ম অনুসারে এই প্রতিবেদন সদনে উপস্থাপিত করা হবে, সেই সঙ্গে এটিআর-এর জন্য ব্যাখাও থাকবে।
ভারতীয় উপজাতিদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির পরিধি বিস্তার করেছে ট্রাইফেড
সাম্প্রতিক সপ্তাহে নতুন ধরণের পণ্য মূলত রোগ প্রতিরোধক পণ্য এবং বনাঞ্চলে টাটকা পণ্য ও জৈবিক পণ্য বিক্রির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে ট্রাইফেড। উপজাতি ভিত্তিক ভারতীয় পণ্য বিক্রির জন্য ট্রাইফেড তাদের পণ্য তালিকায় এই নতুন নতুন পণ্য সামগ্রীকে যুক্ত করেছে। এক্ষেত্রে জগদলপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিদের তৈরি করা পণ্য সামগ্রীকে এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ট্রাইফেডের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা প্রবীর কৃষ্ণ জানান, উপজাতি ভিত্তিক ভারতীয় পন্য বা ট্রাইবেস ইন্ডিয়া দেশের উপজাতিদের মানোন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ছত্তিশগড়ের জগদলপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের সহযোগিতায় আদিবাসীদের হাতে তৈরি শিল্পকর্মগুলিকে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে তারা আরও বেশি স্বাবলম্বী হতে পারবে। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। ট্রাইবেস ইন্ডিয়া তাদের তালিকাভুক্ত পণ্যে আওতায় এই নতুন পণ্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এদিন ট্রাইবেস ইন্ডিয়া নতুন তালিকাভুক্ত পণ্যের সূচনা করে। এই তালিকায় ছত্তিশগড়ের জগদলপুরের কারাগারে আদিবাসী বন্দিদের হাতে তৈরি লক্ষ্মী, গণেশ, দুর্গার মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তিগুলি উপহার সমগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে কারাগারে উপজাতি বন্দিদের স্বাবলম্বী হতে বিশেষ সাহায্য করবে। ট্রাইবেস ইন্ডিয়া এই ধরণের হস্তশিল্প কলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের ১২৫টি ট্রাইবেস ইন্ডিয়ার বিক্রয় কেন্দ্রে এইসমস্ত নতুন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ভোকাল ফর লোকাল এই মন্ত্রকে অঙ্গীকার করে উপজাতিদের জীবনের মানোন্নয়নে, জীবন ও জীবিকা নির্বাহের পথ দেখাতে ট্রাইবেস ইন্ডিয়া এগিয়ে এসেছে। তাদের ই-মার্কেট প্লেসে উপজাতিদের তৈরি করা হস্তশিল্প কলাকে তুলে ধরা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সুস্থায়ী ও প্রাচীন ঐতিহ্যশালী ভারতের এক নির্দশনই উঠে এসেছে।
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য
• আসাম : রাজ্যে সোমবার আরও ১৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৬ হাজারেরও বেশি এবং করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৯৬৪ জনের।
• কেরল : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবরীমালা মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীদের পাহাড়ে ওঠার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগত সমস্ত পুণ্যার্থীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এদিকে রাজ্যপাল কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর আজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
• তামিলনাডু : কেন্দ্রশাসিত পন্ডিচেরীতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমছে। মৃত্যু হার কমে হয়েছে ১.৬৭ শতাংশ। তামিলনাডু সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোভিড-১৯ টিকাকরণের জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের তথ্য সম্বলিত তালিকা প্রস্তুত করছে। রাজ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টিকা ‘কোভিশিল্ড’ – এর দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
• কর্ণাটক : রাজ্যে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজগুলি পুনরায় খুলেছে। তবে, পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার অত্যন্ত নগণ্য। কলেজে আগত ছাত্রছাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করায় দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে উপস্থিতির হার নগণ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে রাজ্যে গাদাগে গত ২৮ দিনে করোনাজনিত কারণে মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
• অন্ধ্রপ্রদেশ : এই প্রথম গত চার মাসে রাজ্যে দৈনিক-ভিত্তিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার ১ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। ১৩টি জেলার মধ্যে ১১টিতেই ১ হাজারেরও কম সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য, রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৫৪ হাজারেরও বেশি। তবে, সুস্থ হয়েছেন ৮ লক্ষ ৩০ হাজার। করোনাজনিত কারণে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৮৮১ হয়েছে। এদিকে নেল্লোর জেলার কাভালির বিধায়ক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪১০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি এবং সুস্থতার হার জাতীয় গড় ৯৩.৪ শতাংশের তুলনায় বেড়ে ৯৪.১৪ শতাংশ হয়েছে।
• মহারাষ্ট্র : রাজ্যে সোমবার আরও ২ হাজার ৫৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৫ মাসেরও বেশি সময়ে দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে এটি সর্বনিম্ন। এদিকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের হার ক্রমশ নিম্নমুখী। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯২.৪৯ শতাংশ। মৃত্যু হার ২.৬৩ শতাংশ।
• গুজরাট : রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সোমবার আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। এই পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি সিভিল হাসপাতালে ১০০টি ভেন্টিলেটর সহ আরও ১ হাজার ২০০ শয্যার কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৮০৮ হয়েছে।
• রাজস্থান : রাজ্যে সোমবার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও রাজধানী জয়পুরে একদিনেই সর্বাধিক ৫৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। গত দু’দিনে এই মরু শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬।
• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে বহুদিন পর দৈনিক-ভিত্তিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র নীচে নেমেছে। একইভাবে, আক্রান্তের হার কমে ৪.৬ শতাংশ হয়েছে। সোমবার ভোপালে আরও ১৪১ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে।
• ছত্তিশগড় : রাজ্যে সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু রয়েছে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দৈনিক প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যায় অন্ততপক্ষে ২৮ জনের আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এদিকে স্বাস্থ্য কর্মীরা রাজ্যের শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপসর্গ-বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের কাজ করছেন।
• গোয়া : রাজ্যে গত মাস থেকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। সোমবার সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০-রও নীচে নেমে এসেছে। গত ২ দিনে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫ শতাংশ হয়েছে। করোনাজনিত কারণে রাজ্যে ৬৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই মারা গেছেন।
***
CG/BD/SB
(Release ID: 1673583)
Visitor Counter : 204