প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ভারত কর সন্ত্রাসের থেকে কর স্বচ্ছতার দিকে এগোচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী


সৎ করদাতাদের মর্যাদা রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া সবথেকে বড় সংস্কার

প্রধানমন্ত্রী কটকে আয়কর অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের অফিস ও আবাসনের উদ্বোধন করেছেন

Posted On: 11 NOV 2020 6:09PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১১ নভেম্বর, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কটকে আয়কর অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল (আইটিএটি)-এর অফিস ও আবাসনের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে বলেছেন, এই বেঞ্চে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা থাকায় এখন থেকে শুধু ওড়িশায় নয় পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের লক্ষ লক্ষ করদাতাও এর ফলে উপকৃত হবেন এবং এই অঞ্চলের বকেয়া মামলাগুলির নিষ্পত্তিতে সুবিধা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ দেশ কর সন্ত্রাসের পরিবর্তে কর স্বচ্ছতার দিকে এগোচ্ছে। সংস্কার, সম্পাদন ও রূপান্তরের মানসিকতার ফলে এই পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। বিভিন্ন নিয়ম ও পদ্ধতির, প্রযুক্তির মাধ্যমে সংস্কার করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পরিচ্ছন্ন একটি ভাবনা নিয়ে কাজ করছি এবং একইসঙ্গে কর প্রশাসনের চিন্তাভাবনায় রূপান্তর ঘটাচ্ছি।’

শ্রী মোদী বলেছেন, যখন দেশের সম্পদ সৃষ্টিকারীদের সমস্যা হ্রাস পায়, তাঁরা সুরক্ষা পান, তখন দেশের ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের আস্থা বেড়ে উঠে। তিনি জানিয়েছেন এই আস্থা বৃদ্ধির ফলে দেশের উন্নয়নের জন্য কর ব্যবস্থায় আরও বেশি অংশীদাররা যুক্ত হচ্ছেন। করের পরিমাণ হ্রাস এবং প্রক্রিয়ার সরলীকরণ ছাড়াও সবথেকে বড় যে সংস্কারটিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটি হল সৎ করদাতাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচানো।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের উদ্দেশ্য হল আয়কর দাখিল করার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কর রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থাটি সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে আস্থা অর্জন করা। এরফলে দেশে ৯৯.৭৫ শতাংশ রিটার্ন দাখিল করার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি কোনরকমের সংশয় ছাড়াই গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের কর ব্যবস্থায় এটি একটি বড় পরিবর্তন।

শ্রী মোদী বলেছেন, দীর্ঘদিনের দাসত্বের ফলে করদাতা এবং কর সংগ্রহকারীর মধ্যে সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল শোষিত এবং শোষণকারীর। গোস্বামী তুলসীদাসের একটি উক্তি উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, যখন মেঘ বৃষ্টি দেয় তখন আমরা তার সুফল দেখতে পাই। কিন্তু যখন সূর্য জলীয় বাস্প শোষণ করে এবং মেঘ তৈরি হয় তখন কারোর কোন সমস্যা হয়না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঠিক একই ভাবে যখন সাধারণ মানুষের থেকে কর সংগ্রহ করা হবে তখন প্রশাসন যাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না করে সেটি দেখতে হবে। জনসাধারণের কাছে যখন সেই অর্থ পৌঁছাবে তখন মানুষ তাদের জীবনে এর সুফল উপলব্ধি করবেন। তিনি বলেছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার এই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে এবং আজ করদাতারা বিপুল পরিবর্তন ও স্বচ্ছতা গোটা কর ব্যবস্থায় উপলব্ধি করতে পারছেন। যখন করদাতারা তাদের ফেরতযোগ্য অর্থ মাসের পর মাসের বদলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফেরত পান তখন তিনি স্বচ্ছতা বুঝতে পারেন। যখন তিনি দেখেন দপ্তর দীর্ঘদিনের সমস্যাটি নিজের থেকেই সমাধান করছে তখন তিনি স্বচ্ছতা উপলব্ধি করেন। যখন তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনের সুবিধা পান তখনও তিনি কর ব্যবস্থার স্বচ্ছতা উপলব্ধি করেন। যখন তিনি দেখেন আয়করের পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে তখন তিনি আরও স্বচ্ছতা উপলব্ধি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা আজ নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যুব সম্প্রদায় পাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ বছরের বাজেটে আয়কর সংক্রান্ত নতুন যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তার ফলে করদাতাদের জীবন আরও সরলীকৃত হয়েছে। তিনি বলেছেন, উন্নয়নে গতি আনতে, ভারতকে আরও বিনিয়োগ বান্ধব করে তুলতে কর্পোরেট কর বিপুল হারে কমানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, নতুন নতুন দেশীয় উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির করের হার ১৫ শতাংশ করা হয়েছে যাতে দেশ উৎপাদন ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারে। লভ্যাংশ বন্টন কর বাতিল করায় ভারতে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য পরিষেবা করের হার কমানো হয়েছে এবং বেশিরভাগ পণ্য ও পরিষেবায় এই হার যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেছেন, আইটিএটি-তে আবেদনের উর্দ্ধসীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ লক্ষ টাকা এবং সুপ্রিম কোর্টে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর ফলে বিবাদ সংক্রান্ত মামলা হ্রাস পাওয়ায় দেশে সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ উন্নত হয়েছে।

আইটিএটি-র দেশের বিভিন্ন শাখায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানির ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রযুক্তির এই যুগে সমস্ত ব্যবস্থার মানোন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিচার ব্যবস্থায় আরও বেশি করে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। এরফলে দেশের নাগরিকদের সুবিধা হবে।

***

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1672071) Visitor Counter : 303