প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী সোলানে অভিনন্দন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী হামিরপুরে ৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ধৌলাসিধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন

Posted On: 03 OCT 2020 5:41PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৩ অক্টোবর,  ২০২০

 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হিমাচল প্রদেশের সোলান উপত্যকায় অভিনন্দন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি রোটাং-এ বিশ্বের দীর্ঘতম অটল সুড়ঙ্গ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং হিমাচল প্রদেশের সিসু’তে আভার সমারোহে যোগ দেন।

সুড়ঙ্গের ফলে সংস্কারমুখী প্রভাব : প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে জানান, অটলজী মানালীকে খুব ভালোবাসতেন। এই অঞ্চলের পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য তিনি এখানে এই সুড়ঙ্গ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।


শ্রী মোদী বলেন, হিমাচল প্রদেশ, লেহ্, লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের জনসাধারণের জীবন অটল সুড়ঙ্গের ফলে বদলে যাবে। এখন সারা বছর জুড়ে লাহুল ও স্পিতির সাধারণ মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। এই সুড়ঙ্গ এলাকার অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটাবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেদিন আর দূরে নেই, যখন পর্যটকরা কুলু মানালীতে সিদ্দু ঘি দিয়ে জলখাবার খেয়ে লাহুলে পৌঁছে ‘দো-মার’ এবং ‘চিলাড়ে’ দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন।

হামিরপুরে ধৌলাসিধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প : প্রধানমন্ত্রী হামিরপুরে ৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ধৌলাসিধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, এর ফলে এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াও যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।


তিনি বলেছেন, সরকারের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগে হিমাচল প্রদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশ জুড়ে গ্রামাঞ্চলে সড়ক, মহাসড়ক, বিদ্যুৎ প্রকল্প, রেল প্রকল্প এবং বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।

হিমাচল প্রদেশে পরিকাঠামোর উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিরাতপুর – কুলু – মানালী সড়ক ব্যবস্থা, জিরাকপুর – পারবানো – সোলান – কাইতলিঘাট সড়ক ব্যবস্থা, নাঙ্গাল জলাধার – তালওয়াড়া রেল যোগাযোগ, ভানুপালি – বিলাসপুর রেল যোগাযোগের কাজ দ্রুতগতিতে চলেছে। এই প্রকল্পগুলি শেষ হলে হিমাচল প্রদেশের জনসাধারণের সুবিধা হবে। 


তিনি বলেছেন, সড়ক, রেল, বিদ্যুৎ, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগের মতো মূল চাহিদাগুলি পূরণ করলে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি সরকারের দেশ জুড়ে ৬ লক্ষ গ্রামে অপ্টিকাল ফাইবার বসানোর কথা উল্লেখ করেন। ১৫ই অগাস্ট এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১ হাজার দিনের মধ্যে তা শেষ করা হবে। 


শ্রী মোদী বলেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামাঞ্চলে ওয়াই ফাই হটস্পট বসানো হবে এবং বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে, হিমাচল প্রদেশের শিশুরা শিক্ষা গ্রহণে উপকৃত হবে, রোগীরা চিকিৎসা পাবেন এবং পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের সহজ জীবনযাত্রার লক্ষ্যে সরকার নিরন্তর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে তাঁরা তাঁদের মৌলিক অধিকারগুলির সুযোগ পান। বেতন, অবসরকালীন ভাতা, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন বিল মেটানোর মতো বিষয়গুলি এখন ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের সংস্কারের ফলে সময় ও অর্থ যেমন সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনই দুর্নীতির সমস্যারও মোকাবিলা করা যাছে।


করোনার এই সময়ে ৫ লক্ষেরও বেশি পেনশনভোগীর জন ধন অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে। হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের ৬ লক্ষ সুবিধাভোগী উপকৃত হয়েছেন। 

কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার : প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা কৃষি ক্ষেত্রে  সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই কাজ করছেন। এদের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, মধ্যস্বত্ত্বভোগীর ব্যবস্থা তাঁরা তৈরি করেছিলেন, আর যেহেতু এই ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলে হচ্ছে, তাই আজ তাঁরা এর বিরোধিতা করছেন। তিনি , কুলু, সিমলা বা কিন্নোরের আপেলের দাম কিভাবে পরিবর্তিত হয় সে বিষ্যটি উল্লেখ করেন। চাষীদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দিয়ে যে আপেল কেনা হয়, গ্রাহকরা সেই আপেল ১০০-১৫০ টাকায় কেনেন। এই ব্যবস্থায় কৃষক ও গ্রাহক কেউ-ই লাভবান হন না। শুধু তাই নয়, আপেলের মরশুমে এর দাম কমে যায় আর ছোট ছোট আপেল বাগিচার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক সংস্কারের জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। এখন যদি ছোট চাষীরা চান, তা হলে তাঁরা সংগঠন তৈরি করে দেশের যে কোনও প্রান্তে আপেল বিক্রি করতে পারবেন।

পিএম কিষাণ সম্মান নিধি : প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। পিএম কিষাণ সম্মান নিধিতে এ পর্যন্ত দেশে ১০ কোটি ২৫ লক্ষ কৃষক পরিবারের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশের ৫ লক্ষ কৃষক পরিবার আছেন, যাঁরা মোট ১ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বছর কয়েক আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের কাজ করতে দেওয়া হ’ত না। সম্প্রতি শ্রম সংস্কারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার ফলে মহিলারা কাজের জায়গায় সমান অধিকার পাবেন এবং পুরুষদের সমান বেতন পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের আস্থা অর্জনের জন্য এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। হিমাচল প্রদেশ এবং দেশের প্রতিটি যুবক-যুবতীর সব  স্বপ্ন ও চাহিদা পূরণ করা হবে। 



CG/CB/SB



(Release ID: 1661442) Visitor Counter : 201