প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

হিমাচলপ্রদেশের শিসুতে ‘আভার সমারোহ’তে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 03 OCT 2020 1:35PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৩ অক্টোবর, ২০২০

 


    প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হিমাচলপ্রদেশের লাহুল এবং স্পিতির শিসুতে আভার সমারোহতে অংশ নিলেন। 


    সুড়ঙ্গের রূপান্তরকারী প্রভাব


    প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যকর্তা হিসেবে কাজের সময় রোটাং-এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ওখানে যাওয়ার স্মৃতিচারণা করেন। শীতকালে রোটাংপাশ বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্দশার কথা বলেন। তিনি সেইসময় শ্রী ঠাকুর সেন নেগির সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এই সমস্যার বিষয়ে সমকভাবে অবহিত ছিলেন। তাইজন্য তিনি এই সুড়ঙ্গের ঘোষণা করেন।


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গের জন্য ৪৫-৪৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে গেল। এই সুড়ঙ্গের রূপান্তরকারী প্রভাবের জন্য এই অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, লাহুল-স্পিতি এবং পাঙ্গি-র কৃষক, ফুলচাষ এবং পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা, ছাত্র, ব্যবসায়ী সহ বিশাল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন। এই অঞ্চলের কৃষিজ পণ্য নষ্ট হবে না, দ্রুত বাজারে পৌঁছানোর ফলে। এই অঞ্চলের চন্দ্রমুখী আলু নতুন বাজার এবং নতুন ক্রেতার কাছে পৌঁছাবে। এই সুড়ঙ্গ লাহুল-স্পিতিতে উৎপন্ন ভেষজ গাছ-গাছড়া বাইরের জগতে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং এই অঞ্চলকে সারা বিশ্বে পরিচিত করবে। অনেক পরিবার তাদের শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার অভাবমুক্ত হবেন। 


    পর্যটন এবং কর্মসংস্থানের সুবিধার উন্নতি


    প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনার কথা বলেন। তিনি বলেন, লাহুল-স্পিতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ হতে চলেছে যেখানে দেব দর্শন এবং বুদ্ধ দর্শনের সংযোগ হবে। এখন থেকে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে স্পিতি উপত্যকায় টাবো মনাস্টারিতে যাওয়ার সুবিধা হবে। তিনি বলেন, এই পুরো অঞ্চলটি পূর্ব এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, পর্যটনের প্রসার হলে যুব সমাজের জন্য একাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। 
    শেষ মাইলের যাত্রা


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটল টানেল উন্নয়নের সুফল প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতীক। তিনি বলেন এর আগে লাহুল-স্পিতি এবং এরকম অন্যান্য অঞ্চল এক ধারেই পড়ে থাকতো। কারণ এইসব অঞ্চলগুলি কিছু লোকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারতো না। কিন্তু এখন দেশ নতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। ভোটের দিকে তাকিয়ে নীতি তৈরি হয় না বরং কোনো ভারতীয় যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করারই প্রয়াস নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিবর্তনের একটি বড় উদাহরণ লাহুল-স্পিতি। তার প্রমাণ, এটি অন্যতম জেলা যেখানে ঘর ঘর পাইপ সে জল নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দলিত, আদিবাসী, নিপীড়িত এবং বঞ্চিতদের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি এই সূত্রে গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ, এলপিজি গ্যাস সংযোগে সুলভ ব্যবস্থা, শৌচাগারের মতো নির্মাণ সুবিধা, আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে চিকিসার সুবিধার কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তৃতার শেষে মানুষকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেন।

 


CG/AP/NS



(Release ID: 1661423) Visitor Counter : 181