ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ গান্ধীনগরে কুমোর সম্প্রদায়কে বৈদ্যুতিক কুমোরের চাক বিতরণ করলেন

Posted On: 30 SEP 2020 3:49PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 


    গান্ধীনগর এবং আমেদাবাদের ২০টি গ্রামের প্রান্তিক কুমোর সম্প্রদায়ের ২০০টি পরিবার স্বনির্ভরতার দিকে এগোল খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন (কেভিআইসি)র কুমহার স্বশক্তিকরণ যোজনায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ নতুন দিল্লী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্র রান্ধেজা গ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০০ প্রশিক্ষিত শিল্পীকে ২০০টি বৈদ্যুতিক কুমোরের চাক এবং মৃৎশিল্পের অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করলেন।


    কেভিআইসি যে ২০টি গ্রামকে চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে ১৫টি গান্ধীনগর জেলায়, বাকি ৫টি আমেদাবাদ জেলায়। বৈদ্যুতিক কুমোরের চাক বিতরণে ওই সম্প্রদায়ের অন্তত ১২০০ জন উপকৃত হবেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন অনুযায়ী বাড়বে উৎপাদন এবং উপার্জন।


    শ্রী অমিত শাহ কেভিআইসি-র বিভিন্ন স্বনিযুক্তিকরণ কর্মসূচি যেমন- হানি মিশন, কুমহার স্বশক্তিকরণ যোজনা, লেদার আর্টিসান্স এমপাওয়ারমেন্ট এবং প্রজেক্ট ডিগনিটির প্রশংসা করেন। বৈদ্যুতিক চাক বিতরণকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শৈলাশভাই প্রজাপতি, ভরতভাই প্রজাপতি, অবনীবেন প্রজাপতি এবং জিগনেশভাই প্রজাপতি এই ৪ জন কুমোরের সঙ্গে কথা বলেন। কেভিআইসি তাদের ১০ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়েছে মৃৎশিল্পে এবং দিয়েছে বৈদ্যুতিক চাক ও অন্যান্য উপকরণ। এই কুমোররা সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে এর ফলে তারা আরও ভালোভাবে জীবিকা অর্জন করতে পারবেন এবং আত্মনির্ভর হতে পারবেন।


    শ্রী অমিত শাহ বলেন, এই বৈদ্যুতিক চাক কুমোরদের উৎপাদন বাড়াতেই শুধু সাহায্য করবে না, নানারকম দর্শনীয় জিনিস তৈরি করতেও সাহায্য করবে যাতে দশেরা এবং দেওয়ালী উৎসবের সময় ভালো রোজগার হবে। তিনি প্রত্যেক সুবিধাপ্রাপকের কাছে অনুরোধ করেন যেন তাঁরা কুমোর স্বশক্তিকরণ যোজনায় আরও ১০টি করে পরিবারকে যুক্ত করেন সম্প্রদায়ের বৃহত্তর উপকারের জন্য।

 
    শ্রী অমিত শাহ বলেন, কুমোর (প্রজাপতি)সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে স্বশক্তিকরণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন। কেভিআইসি-র কুমহার স্বশক্তিকরণ যোজনার লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে কুমোরদের আত্মনির্ভর করা। পাশাপাশি মৃৎশিল্পের মতো ঐতিহ্যের সংরক্ষণ করা। তরুণ কুম্ভকাররা এই মৃৎশিল্পকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে দেশময় যাতে ছড়িয়ে দেয় সেটাই জরুরি। 


    তিনি বলেন, সরকার যথাযথ বিপণনের পথ তৈরি করেছে যেমন ভারতীয় রেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের পণ্য বিক্রি করার। ‘তিনি বলেন, ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই ৪০০টি রেল স্টেশনকে বেছে নিয়েছে যেখানে শুধুমাত্র মাটির পাত্র ব্যবহার করা হবে খাদ্য এবং পানীয় বিক্রির সময়। আমি রেল মন্ত্রীকে আরও রেল স্টেশন চিহ্নিত করতে অনুরোধ করেছি যাতে কুমোররা আরও বড় বাজার পায়।’ তিনি একইসঙ্গে কুম্ভকারদের রেল স্টেশনে তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য সমবায় গড়ার পরামর্শ দেন।


    কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাকসেনা বলেন যে, দরিদ্র এবং প্রান্তিক শ্রেণীর জন্য নেওয়া যেকোন উদ্যোগে তিনি যোগ দিতে সবসময় প্রস্তুত।


    সাকসেনা জানান, সারা দেশে ১৮ হাজারের বেশি বৈদ্যুতিক চাক এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে। এ সম্প্রদায়ের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, কুমহার স্বশক্তিকরণ যোজনার অধীনে মৃৎশিল্পীদের গড় আয় মাসিক প্রায় ৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১০ হাজার টাকা হয়েছে।


    এটা উল্লেখ্য যে গুজরাটের বেশকিছু অঞ্চল বিশেষ করে কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্র চিরাচরিত মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত। ২০১৮য় কুমহার স্বশক্তিকরণ যোজনার সূচনা হওয়া থেকে কেভিআইসি গুজরাটে প্রায় ৮০০ কুমোরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কেভিআইসি বৈদ্যুতিক চাক এবং মাটি মাখার যন্ত্রের মতো উপকরণও দিয়েছে। এরফলে মাটির জিনিস তৈরি করার প্রক্রিয়ার জটিলতা কেটেছে এবং ৩-৪ গুণ উৎপাদন বেড়েছে। 

 

 

CG/ AP/NS



(Release ID: 1660457) Visitor Counter : 192