পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক

শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন আত্মনির্ভর ভারত দেশে সার্বিক শক্তি ও নিরাপত্তা কাঠামো গঠনে আমাদের প্রয়াসে গতি আনবে

Posted On: 29 SEP 2020 1:35PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২০

 



কেন্দ্রীয় পেট্রোল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ইস্পাত মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের আহ্বান, দেশে সার্বিক শক্তি ও নিরাপত্তা কাঠামো গঠনে আমাদের প্রয়াসে গতি আনবে। গ্লোবাল কাউন্টার টেরোরিজম কাউন্সিল আয়োজিত জেসিটিসি, এনার্জি সিকিউরিটি কনফারেন্স ২০২০ – তে তাঁর ভাষণে তিনি বলেন, গত ৬ বছরে দেশে জোরালো শক্তিনীতি বহাল হয়েছে এবং কোভিড – ১৯ সমস্যার মোকাবিলায় বদল এসেছে, তিনি বলেন, “কোভিড – ১৯ এর পর আমরা আরো ভালোভাবে তৈরি হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যাতে শক্তি ব্যবস্থা সুরক্ষিত, স্বচ্ছ, দৃঢ় এবং আমাদের নাগরিকদের প্রয়োজনমত হয়। আমার বিশ্বাস আমাদের দেশের শক্তি সংস্থাগুলি কোভিড – ১৯ এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত ঠিকই আছে এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারতকে শক্তিশালী করছে।”


শ্রী প্রধান বলেন যে, শক্তি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগ রূপায়ণে সরকার, সর্বতোভাবে প্রয়াসী এবং প্রধানমন্ত্রীর সুলভ, কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদী, নিরাপদ এবং সহজে প্রাপ্য শক্তির ভাবনা রূপায়ণে সরকার সচেষ্ট। মন্ত্রী শক্তি স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। যেমন ভারতীয় রেল ২০২৩ এর মধ্যে ভারতীয় রেলপথকে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়িত করবে। এমএনআরই কিষাণ উর্যা এবং উত্থান মহাভিযানের অধীনে ১৫ লক্ষের বেশি সৌরপাম্প বসানোর উদ্যোগ, বিকল্প জ্বালানী হিসেবে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের হাইড্রোজেন যুক্ত সিএনজি-তে উৎসাহ দান, কোল গ্যাসিফিকেশন প্রকল্প উন্নয়নের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তির বৃদ্ধি এবং জাহাজ মন্ত্রকের গ্রীন পোর্ট উদ্যোগ।


শ্রী প্রধান বলেন যে, দেশে তেল এবং গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি, জৈব জ্বালানী এবং পুনর্নবিকরণ জ্বালানীর প্রসার, শক্তি সংরক্ষণ ও শক্তির কার্যকারিতা, পরিশোধন প্রক্রিয়ার উন্নতি এবং চাহিদার বিকল্পের মাধ্যমে অশোধিত তেল আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে পঞ্চমুখী পরিকল্পনা প্রভাব ফেলছে।


শ্রী প্রধান বলেন, “অতীতে শক্তি নিরাপত্তার বিষয়টি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখা হত, মূলত লক্ষ্য দেওয়া হতো সরবরাহ ব্যবস্থাপনার দিকে, আমাদের সরকার শক্তি নিরাপত্তার উদ্দেশ্যটি আরো প্রসারিত করেছে, আরো অনেকগুলি দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে, যেমন ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশের উপর। ভারতের শক্তিকূটনীতি এবং গত ৬ বছরে বিদেশ নীতির সঙ্গে এর সাযুজ্য উল্লেখযোগ্য ফল দিয়েছে। বিশ্বের তৈল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছি, উৎপাদক দেশ, রাশিয়া, আমেরিকা, সৌদি আরব এবং আরব আমিরশাহীর সঙ্গে একদিকে, অন্যদিকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো তৈল্ ব্যবহারকারী দেশের সঙ্গে।”


কোভিড – ১৯ এর প্রভাব সম্পর্কে শ্রী প্রধান বলেন, সারা বিশ্বে এই মহামারী স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, বর্তমানের শক্তি কাঠামো ইতিমধ্যেই অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সাক্ষী থাকছে। তিনি বলেন, “এটা ধরে নেওয়া যায় যে, কোভিড – ১৯ পরবর্তী বিশ্বে আমাদের রণকৌশল স্থির করতে সক্ষম হওয়ার জন্য বর্তমানে সমস্যা আমরা সঠিকভাবে মোকাবিলা করছি। ভারত, বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তির গ্রাহক। তার ওপর শুধু প্রভাব পড়েছে, তাই নয়, ভারত সঠিকভাবে বুঝতে পারবে ভবিষ্যতে বিশ্বে শক্তির বিষয়টি কি হতে চলেছে। আমাদের শক্তিক্ষেত্র বিশেষ করে, তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্র ২০২০-র মে পর্যন্ত কোভিড – ১৯ এর প্রাথমিক স্তরে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই দেখতে পাচ্ছি, জুলাই থেকে কোভিড পূর্ববর্তী স্তরের পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যবহারের অনুরূপ হতে চলেছে।” মন্ত্রী বলেন, তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্রের রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলি শুধু চলতি অর্থ বছরে ৮৩৬৩টি প্রকল্পে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে। শক্তি ক্ষেত্রে অন্যান্য মন্ত্রকও আশাব্যঞ্জক মূলধনী ব্যয় করবে, এতে বাড়বে কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতির বৃদ্ধি। ভারতের শক্তিক্ষেত্র কোভিড – ১৯ মহামারীর মোকাবিলায় অনেক বেশি দৃঢ়তা দেখিয়েছে, বিশ্বে অর্থনীতি এবং পণ্যের বাজারে টালমাটাল সত্ত্বেও সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে।


শক্তির অভাব মেটানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে বলতে গিয়ে শ্রী প্রধান বলেন যে বিশ্বে জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ নিয়ে আমরা শুধুমাত্র বিশ্বের প্রাথমিক জ্বালানীর ৬ শতাংশ ব্যবহার করছি। তিনি দেশে বিশ্বস্ত এবং সহজে ব্যবহার যোগ্য জ্বালানী পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। মন্ত্রী বলেন, ভারতে মাথাপিছু জ্বালানীর ব্যবহার এখনও পর্যন্ত বিশ্ব গড়ের ১/৩ অংশ। ভারত এই জ্বালানী ঘাটতি মেটাতে সব ধরণের সম্ভাব্য উৎস খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। যাতে পুরোপুরি সব ব্যবহার করা যায়। তিনি আরো বলেন, “ভারতের জ্বালানী চিত্রটি অভূতপূর্বভাবে পরিবর্তনশীল, আমাদের সরকারও এই পরিবর্তনের দিকে নিয়মিত নজর রাখছে।”


শ্রী প্রধান বলেন যে, জ্বালানী রূপান্তরের ক্ষেত্রে ভারত, অর্থনৈতিক, আর্থিক, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অনেক বেশি দৃঢ়তা দেখিয়েছে। তিনি এই সূত্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের কথা উল্লেখ করেন, যারা ভারতকে কয়েকটি মাত্র দেশের তালিকায় স্থান দিয়েছে। যারা গত ৬ বছরে জ্বালানী রূপান্তরের ক্ষেত্রে নিয়মিত এবং উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, “এটা বলার কথা যে মধ্য প্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং গত বছরে কয়েকটি দেশে অশোধিত তেলের উপর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও ভারতে অশোধিত তেল এবং এলএনজি যথেষ্ট সরবরাহ ছিল। এটি গত ৬ বছরে হাইড্রোকার্বনের উৎসের বৈচিত্র্যকরণের নীতির ফল। আমাদের তৈল বিপণনকারী সংস্থাগুলি বর্তমানে অশোধিত তেল আমদানী করছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ৩০টিরও বেশি দেশ থেকে। আমাদের সংস্থাগুলি রাশিয়া, আমেরিক এবং অ্যাঙ্গোলার সংস্থাগুলির সঙ্গে দীর্ঘকালীন চুক্তি করেছে। আমাদের এলএনজি আমদানী করা হতো শুধুমাত্র কাতার থেকে এখন আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, রাশিয়া থেকে করা হচ্ছে।”


অশোধিত তেলের দামের প্রসঙ্গে শ্রী প্রধান দায়িত্বপূর্ণ এবং সুলভ মূল নির্ধারণ ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, “জি-২০ শক্তিমন্ত্রীদের জরুরী বৈঠকে এবং ওপেক ও ইন্টারন্যাশলান এনার্জি ফোরাম (আইইএফ) এ ভারত তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে এবং তাতে এই বিষয়ে অনেক বেশি সমর্থন মিলেছে।”


শ্রী প্রধান বলেন যে হাইড্রোকার্বনের জন্য আমদানী নির্ভরতা কমাতে গোটা ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন নীতির জন্য প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, “২০২০-র এপ্রিল, মে মাসে অশোধিত তেলের দাম কমের সুবিধা নিয়ে আমরা ১৬ মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল সঞ্চয় করেছি। যার ফলে ৫,০০০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হয়েছে সরকারের”।


হাইড্রোকার্বন ক্ষেত্রে আরো শক্তি নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে শ্রী প্রধান বলেন, আমরা ক্রমশ আমাদের অশোধিত তেল এবং পেট্রোপণ্য সঞ্চিত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। বর্তমানে যেটি আছে জাতীয় চাহিদার ৭৫ দিন, সেটি বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। তিনি সংস্থাগুলিকে চান্ডিখোল এবং পাদুরে ৬.৫ এমএমটি অশোধিত তেল সঞ্চিত করার ক্ষমতা উন্নয়নে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “আমরা বিদেশেও যেমন আমেরিকা এবং অন্যান্য জায়গায় কম খরচে অশোধিত তেল সঞ্চয় করার উপায় খুঁজছি।”


শ্রী প্রধান বলেন, দেশে তেল এবং গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে হাইড্রোকার্বন এক্সপ্লোরেশন এন্ড লাইসেন্সিং পলিসি (এইচএলপি), ডিসকভার্ড স্মল ফিল্ড (ডিএসএফ) পলিসি, ওপেন এ্যাকারেজ লাইসেন্সিং পলিসি (ওএএলপি)-র সংস্কার এবং অচিরাচরিৎ হাইড্রোকার্বন ব্যবহারের মাধ্যমে। তিনি নীতি সংস্কারের বিষয়ে বলেন, সেই সঙ্গে রাজস্ব থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম নির্ণয়ে স্বাধীনতা এবং গত মাস থেকে নতুন আবিষ্কারের ওপর। তিনি আরো বলেন, “বিদেশের প্রধান দেশগুলির তেল এবং গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধিতেও আমরা সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছি।”
কনফারেন্সের থিম আত্মনির্ভর ভারতের দিকে শক্তির নিরাপত্তা বিষয়ে শ্রী প্রধান বলেন, তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে শক্তি বৃদ্ধির জন্য আমরা বহুমুখী পরিকল্পনা করেছি আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। ইথানল, দ্বিতীয় প্রজন্মর ইথানল, কমপ্রেসড বায়োগ্যাস (সিবিজি) এবং বায়োডিজেলের মতো বিকল্প জ্বালানীর খোঁজ চালাচ্ছি, যাতে দেশের আমদানী নির্ভরতা কমে। তিনি বলেন, “তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি ১৪,০০০ কোটি টাকায় ১২টি ২জি জৈব পরিশোধনাগার তৈরি করছে। ২০৩০ এর মধ্যে পেট্রোলে ২০ শাতাংশ ইথানল এবং ডিজেলে ৫ শতাংশ বায়োডিজেল মিশ্রণ করার লক্ষ্যে আমরা ভালোই এগোচ্ছি।”


শ্রী প্রধান বলেন, সরকার গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতির উপর নজর দিতে চায়, এর জন্য মুক্ত গ্যাস বাজার করার পাশাপাশি মৌল জ্বালানীতে ২০৩০ এর মধ্যে ১৫ শতাংশ গ্যাস মিশ্রণের লক্ষ্যে গ্যাস পরিকাঠামো বাড়ানো উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ধারণা মতো এক দেশ, এক গ্যাস গ্রিড আমাদের পথ দেখাচ্ছে দেশে গ্যাস পরিকাঠামো সম্প্রসারণে। তিনি বলেন, “গ্যাস পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্ভব্য লগ্নি হবে। এর মধ্যে আছে পাইপ লাইন, শহরে গ্যাস বিতরণ এবং এলএমজি গ্যাস ভরার টার্মিলান। এছাড়াও ভারতে প্রথম স্বনিয়ন্ত্রিত জাতীয় স্তরে গ্যাস ট্রেনিং প্ল্যাটফর্মের সূচনা হয়েছে গ্যাস বাজার শক্তিশালী করতে এবং দেশে গ্যাস বাণিজ্য বাড়াতে।”


আত্মনির্ভর ভারত অভিযান এবং দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে গ্যাসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করেন মন্ত্রী, তার মধ্যে আছে সিটি গ্যাস ডিস্টিবিউশন নেটওয়ার্ক (সিজিডি)। দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ এর আওতায় চলে আসবেন শীঘ্রই। পিএনজি সংযোগ ৬০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি করা হবে। পিএনজি স্টেশনের সংখ্যা হবে, ২২ থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০। মহাসড়কে, শিল্পকরিডরে এবং খনি এলাকায় যানবাহন চলাচলে জ্বালানী হিসেবে এলএনজি-র ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হবে। দেশে বর্জ্য থেকে কমপ্রেসড বায়োগ্যাস তৈরি করার জন্য সাসটেনেবল অল্টারনেটিভ টুয়ার্ডস অ্যাফোর্ডেবল ট্রান্সপোর্টেশনের সূচনা হয়েছে। এর জন্য উদ্যোগপতিদের কাছ থেকে সম্মতিপত্র চাওয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে ২০৩০এর মধ্যে ৫০০০ সিবিজি ইউনিট গড়ার। এপর্যন্ত ৫৭৮টি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।


মন্ত্রী বলেন, ভারতের তেল এবং গ্যাস কোম্পানীগুলি সক্রিয়ভাবে স্বচ্ছ শক্তি রূপান্তরে অংশ নিচ্ছে, নিজেদের পরিণত করছে শক্তি কোম্পানিতে। কার্বণ উৎসর্জন কমাতে এই সংস্থাগুলি লগ্নি করবে পরিবেশ বান্ধব শক্তির উপর।


শ্রী প্রধান বলেন, জাতীয় স্তরে শক্তি নিরাপত্তা গড়তে ২০২২ এর মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পুনর্নবিকরণ যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, ২০৩০ এর মধ্যে সেটি হবে ৪৫০ গিগাওয়াট। ভারতের শক্তি নীতি সকলকে নিয়েই। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ২০১৮য় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব চ্যাম্পিয়ান অফ আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। এটাই নতুন জ্বালানীর উৎস খোঁজার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানে ভারতের স্বীকৃতি।” শ্রী প্রধান বলেন, তেল এবং গ্যাস শিল্প ভোকাল ফর লোকাল বাস্তবায়নে কাজ চলছে। আত্মনির্ভর ভারত প্রসারে স্থানীয়ভাবে উপকরণ ক্রয় বাড়ানো হয়েছে। উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে স্টার্টআপ এবং মেক ইন ইন্ডিয়াকে। ভারতে উৎপাদনের কেন্দ্র গড়ার জন্য ওইএম-গুলিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।


শ্রী প্রধান বলেন, শক্তি নিরাপত্তার জন্য আমাদের অনুসন্ধান চারটি এ এর উপর ভিত্তি করে, অ্যাভেলিবিলিটি, অ্যাক্সেসিবিলিটি, অ্যাফোর্ডেবিলিটি এবং অ্যাকসেসিবিলিটি। যাতে সকলের কাছে সুলভ দামে জ্বালানী প্রাপ্ত হয়।

 

 

 CG/AP/SFS 



(Release ID: 1660070) Visitor Counter : 346