PIB Headquarters
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ
Posted On:
21 SEP 2020 6:28PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ভারতে পর পর তিন দিন আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি, মোট সুস্থতার সংখ্যা প্রায় ৪৩ লক্ষ, যা বিশ্বে সর্বাধিক, ভারতে সুস্থতার হার ৮০ শতাংশের মাইলফলক ছাড়িয়েছে
ভারতে জাতীয় স্তরে আরোগ্য লাভের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সুস্থতার সংখ্যার দিক থেকে ক্রমাগত অগ্রগতির ফলে ভারতে আজ নিয়ে পর পর তিন দিন ৯০ হাজারের বেশি রোগী আরোগ্যলাভ করেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৯৩ হাজার ৩৫৬। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৯ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দেশে আজ পর্যন্ত আরোগ্য লাভের সংখ্যা প্রায় ৪৪ লক্ষ (৪৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৯৯)। মোট সুস্থতার সংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। ভারতে মোট আরোগ্য লাভের সংখ্যা বিশ্বব্যাপি আরোগ্য লাভের মোট সংখ্যার তুলনায় ১৯ শতাংশের বেশি।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657163 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৮৬,৯৬১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেবল মহারাষ্ট্র থেকেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এই সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১,১৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় মোট মৃত্যুর ৮৬ শতাংশই ১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ৪৫৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকে। এরপর রয়েছে কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ। এই দুই রাজ্য থেকে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ১০১ ও ৯৪।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657187 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪,০০০ কোটি টাকা মূল্যের ৯টি মহাসড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারে ৯টি মহাসড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
একই সঙ্গে তিনি বিহারের প্রত্যেকটি গ্রামের জন্য “হার গাঁও অপটিক্যাল ফাইবার কেবল্” প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিহারের প্রতিটি গ্রামকে ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে। অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করার জন্য আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস সাক্ষী কেবলমাত্র সেই দেশই অগ্রগতি লাভ করতে পারে যেখানে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়ে থাকে। আগের চেয়ে এই মহাসড়কগুলিতে যান চলাচলের গতি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। সড়ক নির্মাণে বিনোয়গ পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সুফল মিলবে বিহারে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত বড় শহরগুলি সড়ক পথে সংযুক্ত হবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657251 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
বিহারে পরিকাঠামো প্রকল্পের সূচনায় প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত ভাষণ জানার জন্য ক্লিক করুন https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657261 এই লিঙ্কে।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এলপিজি সিলিন্ডার বিতরণ
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার অঙ্গ হিসেবে আগামী তিন মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতাধীন সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহমূলক প্রকল্প পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যেসব সুবিধাভোগী সিলিন্ডার কেনার জন্য অগ্রিম টাকা জমা দেয়েও ৩০শে জুন পর্যন্ত সিলিন্ডার কিনতে পারেন নি তাঁদের জন্যই এই সুবিধা মিলবে। ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের ১৩ কোটি ৫৭ লক্ষ সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে। রাজ্যসভায় আজ লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657206 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, কোনোরকম বন্দকী ছাড়াই বিনা মূল্যে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত মূলধনী ঋণের সুবিধা
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক গত পয়লা জুন “প্রধানমন্ত্রী রাস্তার হকারদের আত্মনির্ভর নিধি প্রকল্প” (পিএম স্বনিধি) প্রকল্পের সূচনা করেছিল। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হলো দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ রাস্তার হকারদের কোনোরকম বন্দকী ছাড়াই এক বছরের মেয়াদে বিনা মূল্যে ১০,০০০ টাকার মূলধনী ঋণ প্রদান করা। সময় মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারলে পরবর্তী ক্ষেত্রে পুনরায় মূলধনী ঋণ পাবেন। নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ হারে সুদের ছাড় মিলবে এবং ডিজিটাল লেনদেন চালালে প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাকের সুবিধাও পারেবন হকাররা। প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, অনুমোদিত হয়েছে। রাজ্যসভায় আজ লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657259 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
সংসদে কৃষি বিল পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে কৃষি বিল পাশ হওয়ায় কৃষকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারতের কৃষিক্ষেত্রের ইতিহাসে তিনি একে যুগান্তকারী অধ্যায় বলে বর্ণনা করেছেন। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারতের কৃষিক্ষেত্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায় সূচিত হল ! সংসদে এই বিলগুলি পাশ হওয়ায় আমাদের কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের অভিনন্দন। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার নিশ্চিত হবে এবং কোটি কোটি কৃষকের ক্ষমতায়ন হবে। দশকের পর দশক ভারতীয় কৃষকরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং তারা মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছে প্রতারিত হয়েছেন। এই ধরণের প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে কৃষকরা সংসদে এই বিলগুলি পাশের মাধ্যমে মুক্ত হলেন। এই বিলগুলি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার উদ্যোগে সহায়ক হবে এবং তাদের আরো সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। আমাদের কৃষিক্ষেত্রেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে। যা শিল্পমনস্ক কৃষকদের সহায়তা করবে। এই বিলগুলি পাশের ফলে আমাদের কৃষকদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্য়বহার সহজ হবে, তার ফলে উৎপাদন বাড়বে। এটি স্বাগত জানানোর মতোই একটি পদক্ষেপ।
আমি এটি আগেও বলেছি, এখন আবারও বলছিঃ
নূন্যতম সহায়ক মূল্যের ব্যবস্থা বজায় থাকবে। সরকার, শস্য সংগ্রহ করবে। আমরা কৃষকদের স্বার্থে এখানে রয়েছি। তাঁদের সাহায্যের জন্য এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকে আরো সুন্দর জীবনদানের জন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা সেগুলিই করবো।“
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656953 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড-১৯ হাসপাতালগুলিতে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার সুবিধা
কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত সরকার সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। কোভিডের হালকা বা প্রাক লক্ষ্যণ দেখা দিলে সেক্ষেত্রে পৃথক আইসোলেশন বেড সহ কোভিড কেয়ার সেন্টার; মাঝারি ধরণের রোগের লক্ষণের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সমর্থিত বেড সহ ডেডিকেটেড কোভিড হেল্প সেন্টার এবং গুরুতর অসুস্থ্যদের জন্য আইসিইউ বেড সহ ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। নন কোভিড অর্থাৎ কোভিড আক্রান্ত নন এমন রোগীদের চিকিৎসায় বা অসুস্থ্যতার কারণে রোগীদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধ করার জন্য কোভিড-১৯ ব্যবহৃত বেড ব্যবহার করতে বারণ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ ডেডিকেটের হাসপাতালের সম্প্রসারণের জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় গতকাল লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657067 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় চিকিৎসায় ব্যবহৃত সামগ্রীগুলির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড স্বাস্থ্য পেশাদার এবং সাধারণ জনগণের পরিহিত পিপিই কিট সহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামগুলির বায়ো মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর জীবাণু যাতে কোনোভাবেই এই ব্যবহৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে ছড়িয়ে না পরে সেদিকেই লক্ষ্য রেখেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে। রাজ্যসভায় গতকাল লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1657061 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
মহামারীর প্রভাবে শিশুদের টীকাকরণ কর্মসূচী
কোভিড-১৯ মহামারীর জেরে চলতি বছরের এপ্রিলের শুরু থেকে টীকা দান কর্মসূচী হ্রাস পেয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে এই কর্মসূচীর কিছু অগ্রগতি হয়েছেষ। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই টীকা দান পরিষেবা চলছে। মূলত নবজাত শিশু, শিশু, গর্ববতী মহিলা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য উন্নতির লক্ষ্যে পুষ্টি প্রদানের ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ৩৭,৪৯,৯৩৯ জন শিশুকে পুরোপুরি টীকা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টীকা নিতে পারেন না এমন শিশুদের সন্ধান চালিয়ে তাদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে যাতে কোনো শিশুই টীকা কর্মসূচী থেকে বাদ না পরে সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। রাজ্যসভায় গতকাল লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1657055 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব
সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতিসাধণে প্রয়োজনী আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এক্ষেত্রে ৪২৫৬.৮১ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য এবং হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি রাজ্যের আওতাভুক্ত। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা এবং চিকিৎকদের ঘাটতি পূরণ করার প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যসরকারগুলিরই। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যে মান সম্মত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠানো উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় গতকাল লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1657054 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
মহামারীর মধ্যে মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত রোগ বৃদ্ধি
সরকার কোভিড-১৯ এর সময়ে সাধারণ মানুষের মানসিক সহায়তা প্রদানে উদ্যোগী হয়েছে। শিশু, প্রাপ্ত বয়স্ক, মহিলা, এবং স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ২৪ ঘন্টার হেল্প লাইন চালু করেছে। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর করতে বিভিন্ন মাধ্যমে অডিও/ভিজ্যুয়াল উপকরণ তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ্ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে।
রাজ্যসভায় গতকাল লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1657053 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ডঃ হর্ষ বর্ধন দ্বিতীয় পর্বে ‘সানডে সংবাদ’ – এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ দ্বিতীয়বার ‘সানডে সংবাদ’ বা রবিবাসরীয় মতবিনিময় প্ল্যাটফর্মে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন। এই প্রশ্নগুলির মধ্যে কেবল বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়েই ছিল না, সেই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রয়াস তথা বিজ্ঞান ক্ষেত্রে ভারতে অগ্রগতির মতো বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। মতবিনিময়ের শুরুতেই ডঃ হর্ষ বর্ধন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ফলোয়ার, যিনি স্বেচ্ছায় নিজেকে ও তাঁর কন্যাকে ভারত বায়োটেক টিকার প্রয়োগের জন্য চিকিৎসা স্বার্থে ব্যবহারের সম্মতি দিয়েছেন, তাঁকে অভিনন্দন জানান। এই উপলক্ষে ডঃ হর্ষ বর্ধন ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে সমস্ত সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে বলেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান সমগ্র জাতিকে অচিরেই এমনভাবে সক্ষম করে তুলবে, যখন আমরা আরও একটি মহামারী সহ যে কোনও অযাচিত বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পারদর্শী হয়ে উঠবো। তিনি আরও জানান, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্কারমূলক প্রয়াস গ্রহণে সরকার আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। ভারতকে ভবিষ্যৎ মহামারীর কবল থেকে মুক্ত করতে এবং যথাসম্ভব প্রস্তুত রাখতে এই উদ্যোগ। ভারত থেকে পোলিও দূরীকরণের ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের প্রশ্নে এক প্রশ্নের জবাবে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, কোভিড করোনা ভাইরাস এমন এক ধরণের জীবাণু, যা পোলিও থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এই প্রেক্ষিতে দেশে সংক্রামক রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হছে। এমনকি, জেলা হাসপাতালগুলিতে সুনির্দিষ্টভাবে সংক্রামক রোগ-ব্যাধি চিকিৎসার পৃথক বিভাগ গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে ভারত সার্স, ইবোলা ও প্লেগের মতো মহামারী দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। এবারও ভারত কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে উঠবে। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে লালারসের নমুনা-ভিত্তিক সাম্প্রতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রসঙ্গে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করে দেখেছে। কিন্তু, এ থেকে ভালো পরিণাম পাওয়া যায়নি। নিজে একজন চিকিৎসক হিসাবে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ মোকাবিলা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে ডঃ হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন এবং প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ প্রসঙ্গে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে, তা দূর করে বলেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ কবল থেকে সুস্থ রাখার সম্ভাব্য সেরা উপায় হ’ল – যাবতীয় সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এ ব্যাপারে তিনি বয়স্ক এবং অন্যান্য শারীরিক উপসর্গ-বিশিষ্ট রোগীদের আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। দেশে মেডিকেল অক্সিজেনের যোগান প্রসঙ্গে ডঃ হর্ষ বর্ধন সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন উৎপাদিত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিষয়টির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। অক্সফোর্ড আস্ট্রা জিনিকা টিকার ব্যাপারে যে ভীতি ছড়িয়েছে, তা দূর করে দিয়ে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, টিকা উদ্ভাবনের বিষয়টি প্রকৃত অর্থে অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া এবং মানবদেহে টিকার গুণমান যাচাই তখনই শুরু করা হয়, যখন এক নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, ভারতেও টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রয়োজন-ভিত্তিতে সেগুলির গুণমান যাচাই করা হবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656944 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ঘটনা
কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের কোভিড-১৯ চিকিৎসা, আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রভৃতি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার বাহিনীর কর্মীদের স্বার্থে পৃথক কোভিড-১৯ হাসপাতাল, কোভিড কেয়ার সেন্টার গড়ে তুলেছে। এছাড়াও, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কর্তব্য পালনের সময় বাহিনীর কোনও কর্মীর কোভিড-১৯ জনিত কারণে মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর পরিবারের নিকট একজনকে মৃত্যুজনিত প্রদেয় সুযোগ-সুবিধাগুলির পাশাপাশি ১৫ লক্ষ টাকা এককালীন অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লোকসভায় গতকাল এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656968 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রচারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ
বিশ্বব্যাপী ভারতীয় চিকিৎসা শিক্ষা ও আয়ুর্বেদ চর্চার প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক বিভিন্ন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আয়ুষ অ্যাকাডেমি স্থাপনের জন্য ১৩টি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় আয়ুষ বিশেষজ্ঞতা খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং শিক্ষাকতার কাজ পরিচালনা করবে। ভারতের ঐতিহ্যবাহী ঔষুধ ও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ২৩টি দেশের সঙ্গে সমঝোতাপত্রও স্বাক্ষরিত করা হয়েছে। এমনকি আয়ুষ মন্ত্রকের বৃত্তিমূলক প্রকল্পের অধীনে ভারতের কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আয়ুষ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পাঠক্রমে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ৯৯টি দেশর যোগ্য বিদেশী নাগরিকদের জন্য প্রতি বছর ১০৪টি বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। লোকসভায় গতকাল লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656379 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড-১৯ এর জন্য আয়ুর্বেদিক ঔষধি এবং নিয়ম
সার্স কোভ-২ সংক্রমণ ও কোভিড-১৯ রোগ মোকাবিলায় এক্সট্রা মিউরাল রিসার্চ প্রকল্পের আওতায় আয়ুর্বেদমূলক গবেষণা ক্ষেত্রে ২৪৭টি প্রস্তাব জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২১টি গবেষণার প্রস্তাব আয়ুর্বেদ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রক গবেষণা এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে একটি টাস্ক ফোর্স কমিটি গঠন করেছে। আয়ুষ সঞ্জীবনী মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে আয়ুষ মন্ত্রক। একাধিক গবেষণামূলক কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার লোকসভায় এক লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656377 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কৃষি ক্ষেত্রে মহামারীর প্রভাব
লকডাউনের সময় দেশে কৃষি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্-বর্ষা ও বর্ষার সময় সুষ্ঠুভাবে বীজ বপণ সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। লকডাউনের সময় কৃষি সংক্রান্ত কাজকর্মকে অধিকাংশ বিধিনিষেধ বা শর্তাবলী থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০’তে জাতীয় আয়ের প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ২০২০-২১ এর প্রথম ত্রৈমাসিকে কৃষিকাজ ও সহযোগী ক্ষেত্রে মূল্য সংযুক্তির অগ্রগতির হার ৩.৪ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। কৃষি কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের এমজিএনআরইজিএ এবং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি কর্মসূচির আওতায় গত ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ১৯ লক্ষ কৃষক পরিবার লাভবান হয়েছে। লকডাউনের সময় এই কর্মসূচির আওতায় সুফলভোগীদের গত ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ৮৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় লকডাউনের সময় ৫ হাজার ৩২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার দাবি-দাওয়া মেটানো হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৯০ শতাংশ হারে প্রিমিয়াম ভর্তুকি প্রদান করবে। লোকসভায় গতকাল এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1657224 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
অক্সিজেনের সহজলভ্যতা ও তার ব্যবহার সহ কোভিড-১৯ এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
কোভিড-১৯ মহামারীর নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রের সমন্বিত কৌশল গ্রহনের অঙ্গ হিসেবে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে আজ ভার্চ্যুয়ালি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, শিল্প উৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য সচিব, স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও মহারাষ্ট্র,কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাডু, ওডিশা, চন্ডীগড়, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ౼এই রাজ্য গুলির মুখ্য সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দেশে মোট সংক্রমিতের ৮০%-ই এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে থাকেন। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। অক্সিজেনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা যাতে জেলাস্তরে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে আগে থাকতেই পরিকল্পনা নেন, তার জন্য তিনি তাঁদের অনুরোধ জানিয়েছেন। আলোচনায় যে রাজ্যের গৃহীত পদক্ষেপ সবথেকে ভালো হবে অন্য রাজ্যগুলিকে তা অনুসরণ করতে হবে। রাজ্যগুলি নমুনা পরীক্ষার মাত্রা বৃদ্ধি করায় ক্যাবিনেট সচিব তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার জাতীয় হারের থেকে বেশী হওয়ায় তিনি উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। এর জন্য এলাকাগতভাবে, হাসপাতালগুলিতে বিশেষ নজরদারী চালানোর তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে যে সব লক্ষনযুক্তের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, তাঁদের আরটি-পিসিআর–এর মাধ্যমে আবারো নমুনা পরীক্ষা করানোর উপর বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আরটি-পিসিআর পদ্ধতির সর্বোচ্চ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কতজনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, পরীক্ষায় কতজনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, প্রতিদিন কত জন সংক্রমিত সিস্থ্য হয়ে উঠছেন, কত জন প্রাণ হারাচ্ছেন, এই সব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656677 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং জম্মু-কাশ্মীরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়ে পর্যালোচনা করেছেন। ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি কেন্দ্রীয় দল জম্মু-কাশ্মীর সফর করছে।
জম্মু-কাশ্মীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে আরোগ্যের হার ৪৩ শতাংশ যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন এবং একটি কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন। এই কেন্দ্রীয় দলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ছাড়াও একাধিক প্রতিনিধি থাকবেন। তাঁরা প্রতিদিন দিল্লির এআইআইএমএস-এর চিকিৎসকের সঙ্গে এই সংক্রমণ মোকাবিলার বিষয় নিয়ে টেলি পর্যালোচনা চালাবেন। বর্তমানে এই কেন্দ্রীয় দলটি জম্মু-কাশ্মীর সফরে রয়েছে। কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য পরিচালন ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবে কেন্দ্রীয় দলটি। তিনি জানিয়েছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি, হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা কর্মীর অভাব মেটাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656746 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
উত্তর প্রদেশে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য এনসিএল ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে
উত্তর প্রদেশে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্য নর্দান কোলফিল্ডস্ লিমিটেড (এনসিএল) ৫ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে। এনসিএল-এর মুখ্য কার্যকরি অধিকর্তা শ্রী প্রভাত কুমার সিনহা এবং অধিকর্তা (কর্মীবর্গ) শ্রী বিমলেন্দু কুমার গত ১৮ই সেপ্টেম্বর লক্ষ্ণৌয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাতে এই আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656396 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
টাটা গ্রুপ এবং সিএসআইআর-আইজিআইবি নির্মিত ভারতের প্রথম সিআরআইএসপিআর কোভিড-১৯ পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে
টাটা গ্রুপ এবং সিএসআইআর-আইজিআইবি নির্মিত ভারতের প্রথম সিআরআইএসপিআর কোভিড-১৯ পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে। সার্স কোভ-২ জীবাণুর জিন ঘটিত পরিবর্তন এবং জীবাণুকে সনাক্তকরণের কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করবে এই পরীক্ষা।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656770 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
সাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে ‘খেলো ইন্ডিয়া ফিরসে’ নাম নিয়ে খেলাধূলা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আদর্শ কর্মপরিচালন বিধি জারি করা হয়েছে : শ্রী কিরেণ রিজিজু
কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার দরুণ স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) সমস্ত কেন্দ্রে যে সমস্ত প্রথাগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়, তা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, ভারতীয় অ্যাথলিটদের বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও কাটছাট করা হয়েছিল। অবশ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, সারা দেশে সাই কেন্দ্রগুলিতে প্রথাগত প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু হয়েছে। কোভিড মহামারীর প্রেক্ষিতে সাই কেন্দ্রগুলিতে অ্যাথলিটদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সাই – এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে ‘খেলো ইন্ডিয়া ফিরসে’ নাম নিয়ে যাবতীয় ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পুনরায় চালু করার ব্যাপারে আদর্শ কর্মপরিচালন বিধি (এসওপি) জারি করা হয়েছে। এই বিধি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এর মধ্যে রয়েছেন – ক্রীড়াবিদ, টেকনিকাল ও নন-টেকনিকাল কর্মী, প্রশাসনিক কর্মী, হস্টেল ফেসিলিটি ম্যানেজমেন্ট কর্মী তথা সাই কেন্দ্রগুলিতে আগত ব্যক্তিরা। সাই – এর সমস্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আদর্শ কর্মপরিচালন বিধি যথাযথভাবে রূপায়িত হচ্ছে কিনা, তা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি কোভিড টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সাই – এর সমস্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনের জারি করা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধি নির্দেশিকাগুলির কার্যকর প্রয়োগ সুনিশ্চিত করেছে। অ্যাথলিটদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে সাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে লাল, নীল ও হলুদ – এই ৩টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছিল। এমনকি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে ফিজিওথেরাপিস্ট, সাইকোলজিস্ট এবং নিউট্রিশনিস্টরা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত চিকিৎসা পরিষেবার বিষয়ে সর্বদাই সাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। দেশ জুড়ে লকডাউনের সময় সাই কেন্দ্রগুলির রক্ষণা-বেক্ষণ ও অন্যান্য কাজকর্ম পরিচালনার জন্য ২৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। রাজ্যসভায় শনিবার এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেণ রিজিজু।
বিস্তারিত জানার জন্য https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656674 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভুত শ্লথ অবস্থার মোকাবিলায় আর্থিক নীতি
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকার এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একগুচ্ছ আর্থিক নীতি গ্রহণ করেছে। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ১২ই মে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১০ শতাংশের সমতুল -২০ লক্ষ কোটি টাকার এই বিশেষ আর্থিক এবং সর্বাঙ্গীন প্যাকেজ ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচীকে রূপায়ণ করাও এর উদ্দেশ্য। রাজ্য সভায় গতকাল এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656925 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
আইসিডিএস কর্মসূচীর আওতায় বর্তমান পুষ্টি বিষয়ে আয়ুষ ব্যবস্থাপনাকে সংযুক্ত করতে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক অপুষ্টিজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ যোগ, প্রাকৃতিক চিকিৎসা, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি (আয়ুষ) মন্ত্রকের সঙ্গে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। আইসিডিএস কর্মসূচীর আওতায় বর্তমান পুষ্টির বিষয়ে আয়ুষ ব্যবস্থাপনাকে সংযুক্ত করতে এই সমঝোতা করা হয়েছে। এই সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ এবং বস্ত্র মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানী এবং আয়ুষ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী শ্রীপাদ ইয়েসো নায়েক। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্মৃতি ইরানী জানান, প্রতিটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে পুষ্টি পরিপোষক গাছের উদ্যান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে চিকিৎসা শাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ভেষজ ঔষধি উদ্যান গড়ে তোলা হবে। অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে মহিলা ও শিশুদের যোগ প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদান করা হবে। বিজ্ঞান এবং আয়ুর্বেদ এক যোগে মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে পুষ্টির মানোন্নয়নে বিশেষ সাহায্য করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি। শ্রী ইয়েসো নায়েক জানান, আয়ুষ চর্চার মধ্যে ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীরতা রয়েছে। মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি জানান, এক্ষেত্রে মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূরীকরণে দুই মন্ত্রক এখন থেকে একযোগে কাজ করতে পারবে।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1656966 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
কোভিড-১৯ এর সময় নির্বাচন পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্র একত্রিত হয়েছে
অ্যাসোসিয়েশন অফ্ ওয়ার্ল্ড ইলেকশন বডিজের সভাপতির পদে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরে ভারতে নির্বাচন কমিশন আজ কোভিড-১৯ এর সময়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য “বিষয়, প্রতিবন্ধকতা এবং কোভিড-১৯ এর সময় নির্বাচন পরিচালন করার নিয়ম নীতি : দেশগুলির মধ্যে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া” শীর্ষক বিষয়ের উপর একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। এই ওয়েবিনারে বিশ্বের ৪৫টি দেশ এবং চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রায় ১২০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন।
বিস্তারিত জানার জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1657316 এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
পিআইবি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য
• পাঞ্জাব : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নির্দেশ মেনে আনলক ৪.০-র নির্দেশিকার আংশিক সংশোদন করে পাঞ্জাব সরকার কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
• হরিয়ানা : রাজ্যজুড়ে কোভিড-১৯ রোগীদের হোম আইসোলেশনের পরিষেবা জোরদার করে তোলার জন্য হরিয়ানার স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। জেলা ভিত্তিক নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরাজ্যের ৬০/৭০ শতাংশ করোনা সংক্রমিত রোগীকে হোম আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
• হিমাচল প্রদেশ : এরাজ্যেও কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও অভিভাবকরা স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
• অরুণাচল প্রদেশ : এরাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৫ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
• আসাম : গতকাল এরাজ্যে ১,৭৯৫ জন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই নিয়ে এই রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১,২৭,৩৩৫ জন।
• মণিপুর : গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এরাজ্যে করোনা থেকে আরোগ্যের হার ৭৬ শতাংশের বেশি।
• মেঘালয় : এরাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,১১১। এর পাশাপাশি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৫১৩ জন।
• মিজোরাম : গতকাল এরাজ্যে ৯ জনের দেহে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ১,৫৮৫।
• নাগাল্যান্ড : আজ থেকে এরাজ্যে স্বেচ্ছায় বিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। রবিবার ৫৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে। যার মধ্যে ৪৫ জন ডিমাপুর ও ১৪ জন কোহিমার বাসিন্দা।
• সিকিম : দীর্ঘ ৬ মাস পর সিকিমের সীমান্ত পুরনায় খোলা হয়েছে। ১০ই অক্টোবর থেকে এরাজ্যে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার এরাজ্যে নতুন করে ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৮৯৪ জন।
• কেরালা : রাজ্যের রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রতিদিন ৮০০ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানে। আজ সেরাজ্যে ২০ জন পুলিশ কর্মীর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে। এরাজ্যে মোট ৩৯,৪১৫ জন চিকিৎসাধীন হয়েছেন এবং বিভিন্ন জেলায় ২,২২,১৭৯ জন মানুষ নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।
• তামিলনাড়ু : রবিবার এরাজ্যে ৫,৫১৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই নিয়ে এই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪১,৯৯৩। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,২০৬ জন।
• কর্ণাটক : করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে রাজ্য সরকার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্রযুক্তিগত কমিটি গঠন করেছে।
• অন্ধ্রপ্রদেশ : এরাজ্যে গত ২ সপ্তাহে আরোগ্যের হার যথেষ্ট বেড়েছেএ। রবিবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,৪১,৩১৯ জন। এরাজ্যে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে।
• তেলেঙ্গানা : গত ২৪ ঘন্টায় ১০৩ জনের দেহে নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,২৩০ জন। ৯ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
• মহারাষ্ট্র : এরাজ্যে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩,৫০,০০০-এরও বেশি শিক্ষককে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে যুক্ত করা হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮,৮৪,০০০ মানুষ। এখন ২,৯১,০০০ মানুষ এরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত।
• গুজরাটস : এরাজ্যে তিন জন কংগ্রেস এবং এক জন বিজেপি বিধায়কের দেহে করোনা সংক্রমণের নমুনা মিলেছে। ৫৬ জন কংগ্রেস এবং ৮০ জন বিজেপি বিধায়কের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা রুখতে বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
• রাজস্থান : কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য সরকার ১১টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আগামী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত সে রাজ্যে সমস্তরকম সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এই হেল্পলাইন নম্বরটি হল – ১৮১
• ছত্তিশগড় : কোভিড-১৯ সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পরা রুখতে স্থানীয় প্রশাসন ৯টি জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করেছে। এই রাজ্যের দুর্গা জেলায় গতকাল থেকেই এই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী রায়পুর এবং সুরগুজা জেলায় আজ থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। রায়গড় জেলায় আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে।
• গোয়া : দক্ষিণ গোয়া জেলা হাসপাতালে ১৫০ বেড বিশিষ্ট করোনা চিকিৎসা সুবিধা চালু করা হয়েছে। এপর্যন্ত এই রাজ্যের একাধিক ইএসআই হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা রয়েছে।
CG/SS/SKD
(Release ID: 1657536)
Visitor Counter : 461