স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

ভারতে করোনায় আরোগ্যের সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যার দ্বিগুণ

Posted On: 04 AUG 2020 7:55PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৪ আগস্ট, ২০২০

 


দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১২,৩০,৫০৯ জন ব্যক্তি। এর জেরে ভারতে আজ করোনায় মোট আরোগ্যের সংখ্যা এখন আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় দ্বিগুণ। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪৪,৩০৬ জন ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৬৬.৩১% । কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনগুলির কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কৌশলগত  সমন্বিত প্রয়াস বাস্তবায়ন এবং সমস্ত সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ স্বীকারের ফলে সুস্থতার হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫,৮৬,২৯৮জন।

 কার্যকরী কন্টেনমেন্ট ব্যবস্থাপনা, লাগাতার পরীক্ষা এবং মানসম্মত ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলগুলির উপর নির্ভর করে একটি সামগ্রিক গুণমান সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির ভিত্তিতে মৃত্যুর  হার ক্রমশই হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার মাত্র ২.১০%। প্রথম লকডাউন থেকে  যা সর্বনিম্ন নথিভুক্ত  হয়েছে।

 বর্তমান মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৫০% মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৩৭% মৃত্যুর বয়স ৪৫থেকে ৬০ বছর। যদিও ১১% মৃত্যু হয়েছে ২৬-৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে। এই তথ্য থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে ৪৫ বছরের বেশি বয়সের লোকেরা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তাই দেশে নিয়ন্ত্রণ কৌশলে এই গোষ্ঠীর মানুষের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। লিঙ্গ ভিত্তিক বিবরণে, মৃতদের মধ্যে ৬৮% পুরুষ এবং ৩২% মহিলা রয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকেই ভেন্টিলেটরের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মহামারীর তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে  "মেক ইন ইন্ডিয়া" কর্মসূচির আওতায় ভেন্টিলেটর সরবরাহে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


 দেশে ৬০,০০০ ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছ বলে ধারণা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে স্বাস্থ্য পরিষেবা মহানির্দেশক(ডিজিএইচএস) এর আওতাধীন কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটি কোভিড -১৯ এর জন্য ভেন্টিলেটরের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট কারণ ও আলাপ আলোচনার পরেই তা কেনা যাবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। 

 দুটি বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (পিএসই) - ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল) এবং অন্ধ্র মেড-টেক জোন (এএমটিজেড) এর উপর ভেন্টিলেটর তৈরির বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, গাড়ি নির্মাতা শিল্প সংস্থা প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এর সঙ্গে এ বিষয়ে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে এসেছে। আজ অবধি, ৭০০টিরও বেশি হাসপাতালে এই মেক ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় তৈরি  ভেন্টিলেটর প্রতিস্থাপন  করা হয়েছে। দুই মাসেরও কম সময়ে, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল / কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৮০০০ এরও বেশি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়েছে। 

কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতে https://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন। অথবা ট্যুইটার হ্যান্ডেল @MoHFW_INDIA.-এর সাহায্য নিতে পারেন।

  কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে technicalquery.covid19[at]gov[dot]in অথবা  ncov2019[at]gov[dot]in - এই দুটি  ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। ট্যুইটার হ্যান্ডেল @CovidIndiaSeva-এ ও প্রশ্ন করা যাবে।



এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭ -৮০৪৬ অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা পেতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -
https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf

 

 


CG/SS



(Release ID: 1643416) Visitor Counter : 191