স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলকের শততম প্রয়াণ বার্ষিকীতে ‘লোকমান্য তিলক – স্বরাজ থেকে স্বনির্ভর ভারত’ শীর্ষক দু’দিনের আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের উদ্বোধন করেছেন শ্রী অমিত শাহ

Posted On: 01 AUG 2020 6:16PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ অগাস্ট, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ নতুন দিল্লিতে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলকের শততম প্রয়াণ বার্ষিকীতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসন্স আয়োজিত ‘লোকমান্য তিলক – স্বরাজ থেকে স্বনির্ভর ভারত’ শীর্ষক দু’দিনের আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আজ উদ্বোধন করেন।


এই উপলক্ষে শ্রী শাহ বলেন, লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক সব দিক থেকেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এক পরিপূর্ণ রূপ দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাল গঙ্গাধর তিলক এক অতুলনীয় অবদান রেখেছিলেন বলে অভিমত প্রকাশ করে শ্রী শাহ বলেন, তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর আদর্শ সমকালীন প্রজন্মের কাছে বিপ্লবের প্রেরণা তৈরি করেছিলেন।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাল গঙ্গাধর তিলকের অবিস্মরণীয় উদ্ধৃতি ‘স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং এই অধিকার আমার প্রাপ্য’ – এই কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর এই প্রেরণাদায়ক শব্দবন্ধগুলি ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রাথমিকভাবে বাল গঙ্গাধর তিলকের এই উদ্ধৃতি নিতান্তই সরল মনে হলেও ঊনবিংশ শতাব্দীতে হাতেগোণা মাত্র কয়েকজন ব্যক্তিই ছিলেন, যাঁরা অদম্য সাহসের ওপর ভর করে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এ রকম জ্বালাময়ী কথা বলার সাহস রাখতেন। তাঁর এই উদ্ধৃতি পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে এক গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন। বাল গঙ্গাধর তিলকের জীবনের আরও একটি প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে শ্রী শাহ বলেন, সাধারণ মানুষ গীতার ভাবার্থ জানলেও তিলকজী যখন জেলবন্দী ছিলেন, তখন গীতা রহস্য লিখেছিলেন। তিলকজীর রচিত এই গীতা রহস্য আজও মানুষের কাচে আলোকদিশারী হয়ে রয়েছে।
বাল গঙ্গাধর তিলক একজন সুবক্তা, চিন্তাবিদ, দার্শনিক, জনপ্রিয় লেখক ও সমাজ সংস্কারক হওয়ার পাশাপাশি, তাঁর জীবনের ভিত্তি আমজনতার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল।


শ্রী শাহ আরও বলেন, একটি জাতি হিসাবে ভারত সম্পর্কে তিলকজীর ধারণা, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁর আদর্শ আজও আমাদের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। শ্রী শাহ বলেন, যদি কোনও ব্যক্তি ভারতের গৌরবময় ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখান, তা হলে বাল গঙ্গাধর তিলকের লেখনীকে আগে উপলব্ধি করতে হবে। লোকমান্য তিলক ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বিশ্বাস রাখতেন এবং এর প্রতিফলন ঘটেছে মোদী সরকারের সদ্য ঘোষিত জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। এক নতুন ভারত ও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের যে পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, তা তিলকজীর আদর্শগুলি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছে।


শ্রী শাহ আরও বলেন, লোকমান্য তিলক ছিলেন, অস্পৃশ্যতার ঘোরতর বিরোধী। এই লক্ষ্যে তিনি ধর্ম ও জাতিগত ভেদাভেদ নির্বিশেষে এক অখন্ড সমাজ গড়ে তোলার জন্য আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। অস্পৃশ্যতা সম্পর্কে তিলকজীর মতাদর্শ ছিল, যদি ঈশ্বর অস্পৃশ্যতাকে গ্রহণ করে থাকেন, তা হলে আমি এ ধরনের ঈশ্বরের সমর্থন করি না। তিলকজী স্বাধীনতা সংগ্রামে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সামিল করার জন্য শিবাজী জয়ন্তী ও গণেশ উৎসব উদযাপন করতেন। পরবর্তী সময়ে এই উৎসবগুলি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। লোকমান্য তিলক ছিলেন এমন এক বহুমুখী ক্ষমতার অধিকারী, যিনি মহাত্মা গান্ধী, বীর সাভারকর ও মদন মোহন মালব্যের মতো বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিলেন। শ্রী শাহ এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার অবতারণ করে বলেন, বাল গঙ্গাধর তিলকের অন্তিম যাত্রায় গান্ধীজী খালি পায়ে অংশ নিয়েছিলেন। এ থেকেই প্রমাণ হয়, তিলকজীর প্রতি বাপুর কতখানি আন্তরিক শ্রদ্ধা ছিল।


বাল গঙ্গাধর তিলকের শততম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই ওয়েবইনারে অংশগ্রহণ করে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক লোকশাহির আনান ভাউ সাথে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এই ওয়েবিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসন্স-এর সভাপতি ও সাংসদ ডঃ বিনয় সহস্রবুদ্ধে, তিলক মহারাষ্ট্র বিদ্যাপীঠের ভাইস চ্যান্সেলর শ্রী দীপক তিলক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 


CG/BD/SB


(Release ID: 1643014) Visitor Counter : 2705