বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

কোভিড-১৯এর জন্য নতুন এমআরএনএ ভিত্তিক টিকা- এইচজিসিও ১৯ উদ্ভাবনের কাজে জেননোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের আর্থিক সহায়তা

Posted On: 24 JUL 2020 12:27PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২৪ জুলাই, ২০২০

 

 


এ বছরের শেষে এই টিকাটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হতে পারে।


কেন্দ্রের ইন্ড সিইপিআই-এর আওতায় বিআইআরএসি টিকা উদ্ভাবন কর্মসূচিতে সাহায্য করছে। 


জৈব প্রযুক্তি দপ্তর (ডিবিটি)-বিআইআরএসি প্রথমবারের মতো ভারতে এমআরএনএ ভিত্তিক টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগে সাহায্য করছে। কোভিড-১৯এর সংক্রমণ রোধের জন্যস্ব-বর্ধিত এমআরএনএ ভিত্তিক টিকা তৈরির কাজে ডিবিটি জেননোভাকে অর্থের যোগান দিচ্ছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল ভিত্তিক এইচডিটি বায়োটেক কর্পোরেশনের সঙ্গে জেননোভা যৌথভাবে এমআরএনএ ভিত্তিক টিকা ‘এইচজিসিও ১৯’ নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই মানুষ ছাড়া অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে এই টিকা প্রয়োগ করে দেখা গেছে এটি সুরক্ষিত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং অ্যান্টিবডিকে প্রতিরোধ করতে পারে। এ বছরের শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে জেননোভা এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগের চেষ্টা চালাবে।


ডিবিটি-র সচিব এবং বিআইআরএসি-র চেয়ারম্যান ডঃ রেনু স্বরূপ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন অজানা এবং নতুন প্যাথোজেন থেকে সৃষ্ট অসুখ সক্রিয়ভাবে নির্মূল করতে নতুন ভাবনার প্রয়োজন। ডিবিটি-র সহায়তায় জেননোভার এমআরএনএ ভিত্তিক টিকায় নিউক্লিক অ্যাসিড রয়েছে। এই টিকার মধ্যে যে ন্যানো প্রযুক্তি রয়েছে সেটি প্রাণীদের দেহে যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক প্রভাব ফেলেছে। ডঃ স্বরূপ মনে করেন এই টিকা মানুষের শরীরে সফলভাবে প্রয়োগ করা যাবে।


এই প্রসঙ্গে জেননোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ডঃ সঞ্জয় সিং বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকলে হলে গবেষণা ক্ষেত্রে দৃঢ় পদক্ষেপের প্রয়োজন। তাঁদের এমআরএনএ ভিত্তিক অত্যাধুনিক টিকা উদ্ভাবনের কাজে ডিবিটি౼বিআইআরএসি-র আর্থিক সাহায্যের জন্য তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ডঃ সিং আশা করেন কোভিড-১৯এর মতো মহামারীর মোকাবিলায় তাঁরা স্বল্প মূল্যের টিকা তৈরির কাজে সফল হবেন। 

 


এইচজিসিও ১৯ প্রসঙ্গেঃ-


মানবদেহে যে কোষগুলিতে ভাইরাস ঢুকে বসে রয়েছে অর্থাৎ ভাইরাসের ধারক কোষ, সেখানের যে অংশে ভাইরাস থাকে সেখানে প্রোটিন উৎপাদনকারী অ্যান্টিজেনকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা এমআরএনএ টিকা ‘এইচজিসিও ১৯’-এর রয়েছে। এ কাজে স্নেহ পদার্থের অজৈব ন্যানো কনা বা লিপিড ইনঅর্গ্যানিক ন্যানো পার্টিক্যাল (লিওন)সাহায্য করে।


ইঁদুর এবং মানুষ ছাড়া অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের শরীরে টিকার সাহায্যে অ্যান্টিবডিকে নিষ্ক্রিয় করার পর দেখা গেছে এটির সঙ্গে কোভিড-১৯এ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠাদের শরীরে থাকা সেরামের তুলনা করা যায়। মার্কিন এফডিএ নিষ্ক্রিয় অ্যান্টিবডির জন্য ১:১৬০ অনুপাতে টিকার দ্রবণ তৈরি করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।


এইচজিসিও ১৯-এর আর একটি সুবিধা হল এর এমআরএনএ-র গঠন। এই এমআরএনএ নিজে নিজেই বর্ধিত হতে পারে। এরফলে কম পরিমাণের ইঞ্জেকশন দিলেই সেখান থেকে বহুক্ষণ অ্যান্টিজেন নির্গত হয়। লিওনের এই ধর্মটি ব্যবহার করে ‘এইচজিসিও ১৯’ টিকার বিভিন্ন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা গড়ে ওঠে। এই টিকাকে সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। এটি খুব কম পরিমাণে প্রাণীদেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। 

 


ডিবিটি প্রসঙ্গে


জৈব প্রযুক্তি দপ্তর অর্থাৎ ডিবিটি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি দপ্তর। ভারতে জৈব প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং কৃষি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রাণী বিজ্ঞান, পরিবেশ ও শিল্পে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে এই দপ্তর কাজ করে।

 


বিআইআরএসি প্রসঙ্গেঃ-


জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বায়ো টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিসট্যান্স কাউন্সিল (বিআইআরএসি) একটি অলাভজনক সংস্থা। জৈব প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজকর্মে এই পরিষদ সাহায্য করে থাকে।

 


জেননোভা প্রসঙ্গেঃ-


পুনা ভিত্তিক জেননোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কাজ করে। এই সংস্থা বিভিন্ন জটিল অসুখের নিরাময়ের জন্য ওষুধ এবং টিকা তৈরি করে সেগুলিকে বাজারজাত করে। জেননোভা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ- https://gennova.bio

 



CG/CB/NS


(Release ID: 1641063) Visitor Counter : 339