সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক

সঙ্কটের এই মুহূর্তে দিব্যাঙ্গদের সময়মতো সাহায্য প্রদান সুনিশ্চিত করতে আরও ভার্চ্যুয়াল এডিআইপি শিবিরের আয়োজন করা হবে - শ্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট

Posted On: 15 JUN 2020 2:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ জুন, ২০২০

 



কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সমাজের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে দিব্যাঙ্গদের কল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই অঙ্গ হিসেবে  সরকারের অ্যাসিস্টেন্স টু ডিজেবলড পার্সনস ফর পারচেজিং (এডিআইপি) প্রকল্পের আওতায় আজ পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার তালওয়ান্দিভাই ব্লকে বিনামূল্যে ব্লক পর্যায়ে দিব্যাঙ্গদের সহায়ক সরঞ্জাম বিতরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। লকডাউন ওঠার পর ভারত সরকারের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (এসওপি) মেনে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের আওতাধীন আলিমকো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা  এই প্রথম এ ধরণের শিবিরের আয়োজন করেছিল।


তালওয়ান্দিভাই ব্লকের ৯৫ জন সুবিধাভোগীকে ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৬৬টি বিভিন্ন বিভাগে সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। ১১টি মোটরচালিত তিন চাকার সাইকেলও বিতরণ করা হয়। এছাড়াও, ফিরোজপুর জেলার অন্যান্য ব্লকের ৯৬২ জন সুবিধাভোগীকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১,১৬৭টি সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২০ জুনের মধ্যে এই জেলার ছয়টি ব্লকে এ ধরনের আরও কয়েকটি বিতরণ শিবিরের আয়োজন করা হবে।


কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী শ্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট অনলাইনের মাধ্যমে এই বিতরণ শিবিরের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী শকুন্তলা ডি গ্যামলিন, যুগ্ম সচিব শ্রী প্রবোধ শেঠ এবং ফিরোজপুরের (গ্রামীণ) বিধায়ক শ্রীমতী সতকর কউর সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।


অনুষ্ঠানে শ্রী গেহলট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশের দিব্যাঙ্গজনদের কল্যাণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি। কোভিড-১৯ মহামারীর কথা মাথায় রেখে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে দিব্যাঙ্গজনদের সহায়তা প্রদানের জন্য দেশব্যাপী এ ধরনের আরও বেশ কিছু ভার্চ্যুয়াল শিবিরের আয়োজন করবে। তিনি বলেন যে, দিব্যাঙ্গজনদের শিক্ষার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা, তাঁদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তি প্রদানের জন্য মন্ত্রক বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি দিব্যাঙ্গজন ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরকে ইউনিক আইডি কার্ডের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার আহ্বান জানান। শ্রী গেহলট বলেন, এখনও পর্যন্ত ৩১ লক্ষ ইউনিক আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।


অনুষ্ঠানে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য থার্মাল স্ক্রিনিং ও ফেস মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাধ্যতামূলকভাবে হ্যান্ড গ্লাভস এবং পিপিই কিটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দিব্যাঙ্গজনদের সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বসানো হয়েছিল। পাশাপাশি, অনুষ্ঠান স্থলের স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকি, দিব্যাঙ্গজনদের যে সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছিল সেগুলিকেও স্যানিটাইজ করা হয়।

 

 



CG/SS/DM



(Release ID: 1631785) Visitor Counter : 235