স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় পাঞ্জাবের প্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থাপনা নিয়ে পর্যালোচনা করলেন ডঃ হর্ষ বর্ধন

Posted On: 13 MAY 2020 4:34PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ১৩ই মে,২০২০

 



কোভিড-১৯ নিয়ে প্রস্তুতি, গৃহীত ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, রেড জোনের কালেকটর এবং বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জেলাগুলির প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করছেন।  তিনি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী বলবীর সিং সিধুর সঙ্গে বৈঠক করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণপ্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবেও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 


ডঃ হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, ১৩ই মের হিসেব অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪,২৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫২৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৪,৩৮৬ জন।  এপর্যন্ত দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২৪১৫ জন মারা গেছেন। ভারতে মৃত্যুর হার ৩.২শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৩২.৮ শতাংশ। গত ১৪ দিনে সংক্রমিতের পরিমাণ দ্বিগুণ হচ্ছিল ১১ দিনে , কিন্তু শেষ তিন দিনের হিসেবে এই পরিমাণ ১২.৬ দিনে হচ্ছে।  মন্ত্রী জানান, যাঁদের এখন চিকিৎসা চলছে, তাঁদের মধ্যে আইসিইউ-তে ২.৭৫ শতাংশ, ভেন্টিলেটরে ০.৩৭. শতাংশ, এবং অক্সিজেনের সহায়তায় ১.৮৯ শতাংশ রোগী রয়েছে। প্রতিদিন ৩৫২টি সরকারী পরীক্ষাগারে এবং ১৪০টি বেসরকারী পরীক্ষাগারে ৯৫,০০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এপর্যন্ত মোট ১৮,৫৬,৪৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।     


তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় আন্দামান ও নিকোবর, অরুণাচল প্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলি, গোয়া, ছত্তিশগড়, লাদাখ, মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামে নতুন কোন সংক্রমণের খবর নেই। সিকিম, নাগাল্যান্ড, দমন ও দিউ এবং লাক্ষাদ্বীপে আজ পর্যন্ত কোন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় নি।     


মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে ১,৬০.৬১০টি আইসোলেশন বেড ও ১৯,২৭২টি আইসিইউ বেড সম্বলিত কোভিডের জন্য নির্দিষ্ট ৯০০টি হাসপাতাল রয়েছে। ২০৪০টি কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। আর ৮৭০৮টি কোয়ারান্টাইন সেন্টার আছে।  রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে ৪২ লক্ষ ১৮ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং ৭৮ লক্ষ ৪২ হাজার এন৯৫ মাস্ক বন্টন করা হয়েছে। 


এনসিডিস্যার নির্দেশক ডঃ এস কে সিং পাঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত জানান। রাজ্যের ২২টি জেলাতেই সংক্রমণ হয়েছে। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১৯১৩। নান্দেদ হুজুর সাহিব থেকে আসা ৪২১৬ জন তীর্থযাত্রী এবং ২০,৫২১ জন পরিযায়ী শ্রমিক এখন রাজ্যের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেক্সান (সারি) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতন অসুখের ক্ষেত্রে সকলকে সতর্ক থাকার  পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে সংক্রমিত না হন, সে বিষয়ে মন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি টীকাকরণ, যক্ষা রোগের চিকিৎসা নিয়েও আলোচনা করেন।


পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউনের সময়ও সে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বহির্বিভাগ খোলা রয়েছে। কোভিড আক্রান্ত ছাড়াও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিয়মিত হচ্ছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৬,৫৮,০০০ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করেছেন।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও পাঞ্জাব স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 


CG/CB



(Release ID: 1623598) Visitor Counter : 193