স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

লকডাউনের সময়সীমা ৪ মে থেকে আরো ২ সপ্তাহ বাড়ল

Posted On: 01 MAY 2020 6:33PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১ মে, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সর্বাত্মক পর্যালোচনার পর জানিয়েছে, লকডাউন ব্যবস্থা কোভিড – ১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়ক  হয়েছে। আজ মন্ত্রক, ২০০৫ সালের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে ৪ মে থেকে আরো ২ সপ্তাহ এই লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। এই সময় দেশের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে রেড (হটস্পট), গ্রীণ, এবং অরেঞ্জ জোনে কি ধরণের কাজকর্ম হবে, সেবিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রীণ এবং অরেঞ্জ জোনে যে সমস্ত জেলাগুলি রয়েছে, সেখানে বেশকিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। 


রেড, গ্রীণ এবং অরেঞ্জ জোনকে চিহ্নিত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ৩০ এপ্রিলের চিঠিতে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। গত ২১ দিনে যে সমস্ত জেলায় কোনো সংক্রমণের খবর আসে নি, সেগুলিকে গ্রীণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সংক্রমণের সংখ্যা, সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হওয়া, নমুনা পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে রেড জোন হিসেবে কোন জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। যে সব জেলা রেড জোন বা গ্রীণ জোনের অন্তর্ভুক্ত হবে না, সেগুলিকে অরেঞ্জ জোন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যণ মন্ত্রক, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রতি সপ্তাহে অথবা তার আগে রেড, গ্রীণ এবং অরেঞ্জ জোনের শ্রেণী বিভাগ করবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি প্রয়োজন মতো জেলাগুলিকে রেড জোন, অরেঞ্জ জোনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তালিকা থেকে তারা, কোনো জেলাকে নীচে নিয়ে আসতে পারবে না অর্থাৎ রেড জোনে থাকা কোন জেলা অরেঞ্জ বা গ্রীণ জোনে অথবা অরেঞ্জ জোনে থাকা কোন জেলা গ্রীণ জোনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। 


দেশের বেশ কিছু জেলায় এক বা একাধিক পুরসভা (মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন) রয়েছে। দেখা গেছে, এই পুরসভাগুলিতে জনঘনত্ব বেশি হওয়ায় এবং মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বেশি থাকায় জেলার অন্য অংশের তুলনায় ঐ পুরসভা এলাকাগুলিতে কোভিড সংক্রমিতের হার অনেক বেশি হয়। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই ধরণের জেলাগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। একটি অংশে থাকবে, পুরসভাগুলি আর  অন্য অংশে পুরসভার এলাকাভুক্ত নয়, এরকম অঞ্চলগুলিকে বিবেচনা করা হবে। যদি দেখা যায়, পুরসভা বহির্ভূত অঞ্চলে গত ২১ দিনে সংক্রমণের কোনো ঘটনা ঘটে নি, তাহলে সেই অঞ্চলটিকে একধাপ নীচের শ্রেনী বিন্যাসের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। অর্থাৎ গোটা জেলা যদি রেড জোনে থাকে, তাহলে ঐ অংশটিকে অরেঞ্জ জোন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। এই শ্রেণী বিন্যাসের ফলে জেলার এই অংশে সতর্কতা বজায় রেখে, অর্থনৈতিক কাজকর্মের সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে, এই ছাড় শুধুমাত্র যে সব জেলায় পুরসভা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। 


কোভিড – ১৯ সংক্রমণের প্রেক্ষিতে দেশে সবথেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলি কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত। এই অঞ্চলগুলি রেড অথবা অরেঞ্জ জোনের আওতাভুক্ত। এই এলাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। এখানকার সংক্রমণের সংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে, জেলা প্রশাসন এই এলাকাগুলিকে নির্ধারণ করবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, কনটেনমেন্ট জোনে সব নাগরিকদের যেন আরোগ্য সেতু অ্যাপটি থাকে তা নিশ্চিত করবে। এখানে বাড়ি বাড়ি নজরদারী, ঝুঁকি বিবেচনা করে বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে কোয়ারান্টাইনে থাকার মতো বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হবে। এই অঞ্চলে সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। যাতে জরুরী চিকিৎসা পরিষেবা, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও পরিষেবা সরবরাহ ছাড়া এই এলাকায় কেউ ঢুকতে বা বের হতে  না পারে । কনটেনমেন্ট জোনে কোনো রকমের কাজকর্ম করতে দেওয়া হবে না। 


নতুন নির্দেশিকা অনুসারে অঞ্চল ভেদে দেশজুড়ে কিছু কাজকর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে, বিমান, রেল, মেট্রো পরিষেবা, রাজ্যের অভ্যন্তরে সড়ক পরিবহণ, স্কুল, কলেজ, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো, হোটেল, রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন পরিষেবা, সিনেমা হল, মল, জিমনাশিয়াম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন জায়গায়, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্য যে কোনো ধরণের জমায়েত, ধর্মীয় স্থানে জমায়েত পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকছে। তবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতিক্রমে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বিমান, রেল এবং সড়ক পথে যাত্রী পরিবহণ করতে দেওয়া হবে।


নতুন এই নীতি – নির্দেশিকায় জনসাধরণের সুরক্ষা এবং কল্যাণের দিকগুলি বিবেচনা করা হয়েছে। তাই সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত যে কেউ বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে এই বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য প্রয়োজনে ১৪৪ ধারার মত অন্যান্য ধারা প্রয়োগ করতে পারবে। এই সমস্ত এলাকায় জরুরী প্রয়োজন না থাকলে অথবা চিকিৎসার প্রয়োজন না হলে ৬৫ বছরের উর্দ্ধে নাগরিকরা যারা জটিল অসুখে ভুগছেন, গর্ভবতী মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রীণ জোনে, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি বহির্বিভাগে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ অন্যান্য বিধিনিষেধগুলি মেনে কাজ করা যাবে। তবে, কনটেনমেন্ট জোনে এধরণের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যাবে না।   


রেড জোনে কনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে, বর্তমানে দেশ জুড়ে জারী থাকা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ছাড়া আরো কিছু কিছু কাজ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এসব এলাকায় সাইকেল রিক্স, অটো রিক্স, ট্যাক্সি চালানো যাবে না এবং জেলার মধ্যে  বা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাস চলাচল করবে না। এই অঞ্চলগুলিতে চুল কাটার দোকান, স্পা এবং সেলুন খোলা যাবে না। 


রেড জোনে নিষেধাজ্ঞা সহ কিছু কিছু কাজ কর্মের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুসারে ৪ চাকার গা়ড়িতে ড্রাইভার ছাড়া সর্বোচ্চ ২ জন এবং ২  চাকার গাড়িতে পেছোনে কাউকে না বসিয়ে যাতায়াত করা যাবে। শহরে, শিল্পাঞ্চলে যেমন বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (সেজ), রপ্তানী ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পতালুক, এবং শিল্প শহরগুলিতে নিয়ন্ত্রিত কাজকর্ম করা যাবে। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, তাদের কাঁচামাল উৎপাদনের মতো অত্যাবশক সামগ্রী তৈরি, সেগুলির সরবরাহ ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তির সরঞ্জাম তৈরী, চট শিল্প, প্যাকেজিং-এর সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শিফটে কাজ করা যাবে। শহরে নির্মাণ কাজে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেখানে কর্মীরা নির্মাণ ক্ষেত্রেই থাকেন এবং বাইরে থেকে কোনো কর্মীকে আসতে হয় না, সেই সব জায়গায় নির্মাণ কাজ করা যাবে। পাশাপাশি, পুর্ননবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলির নির্মাণ কাজও করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শহরাঞ্চলে যে সব দোকান, অত্যাবশক সামগ্রী বিক্রি করে না সেগুলি এবং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স ও বাজারগুলি বন্ধ থাকবে। তবে, শহরাঞ্চলের পাড়া বা কলোনীতে একটি মাত্র দোকান থাকলে, সেটি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এবং অত্যাবশক পণ্য – দুধরণের সামগ্রীই বিক্রি করা যাবে। রেড জোনে ই-কমার্স সংস্থাগুলি অত্যাবশক পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৩৩ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন। বাকিরা বাড়িতে থেকে কাজ করবেন। সরকারী দপ্তরগুলিতে ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদা পর্যন্ত সমস্ত পদস্থ আধিকারিকরা কাজ করবেন। বাকিদের চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ কর্মী কাজে যোগদান করতে পারবেন। তবে,  প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পুলিশ, কারাগার, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স, অগ্নিনির্বাপন ও জরুরী পরিষেবা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরিষেবা, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার, সীমাশুল্ক, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, রাষ্ট্রীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী (এনসিসি), নেহেরু যুব কেন্দ্র (এনওয়াইকে) এবং পুরসভাগুলি কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই কাজ করবে। নাগরিক  পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য এসব জায়গায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী থাকবেন। 


রেড জোনে, শর্তসাপেক্ষে কিছু্ কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এমএনআরইজিএ-এর কাজ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, ইঁটভাটা সহ শিল্প ও নির্মাণ ক্ষেত্রে সমস্ত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে শপিং মল ছাড়া অন্যান্য সমস্ত রকমের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শস্য বপন, ফলস কাটা, কৃষি পণ্য সংগ্রহ এবং কৃষি ব্যবস্থার সরবরাহ বজায় রাখার জন্য সমস্ত কৃষি ভিত্তিক কাজকর্মে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশের মধ্যে জলাশয়ে এবং সমুদ্রে মাছ ধরা সহ সমস্ত পশুপালনের কাজেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাগিচা শিল্পের প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করার সমস্ত কাজকর্মে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ সহ সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু থাকবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবহণ এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, শেয়ারবাজার, ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ, অসহায় মানুষ, মহিলা ও বিধবাদের জন্য হোমগুলি ও অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, পয়প্রণালী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা, কুরিয়ার ও ডাক পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। 


রেড জোনে বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিন ও গণমাধ্যম, তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা প্রদানকারী কেন্দ্র, কলসেন্টার, কোল্ড স্টোরেজ, গুদাম ঘর, বেসরকারী নিরাপত্তা কর্মী এবং স্বনির্ভর ব্যক্তিদের পরিষেবা এর আওতাভুক্ত। তবে, চুল কাটার দোকান খোলা থাকবে না। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, তাদের কাঁচামাল উৎপাদনের মতো অত্যাবশক সামগ্রী তৈরি, সেগুলির সরবরাহ ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তির সরঞ্জাম তৈরী, চট শিল্প, প্যাকেজিং-এর সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শিফটে কাজ করা যাবে। 


রেড জোনে যে সমস্ত কাজের সুবিধে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলির পাশাপাশি অরেঞ্জ জোনেও ট্যাক্সিতে একজন ড্রাইভার ও ২ জন যাত্রী যেতে পারবেন। জেলার মধ্যে অনুমতি সাপেক্ষে গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে। তবে, ৪ চাকার গাড়িতে ড্রাইভার ছাড়া সর্বোচ্চ ২ জন জন যাত্রী ২ চাকার গাড়িতে পেছনে একজনকে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। 


গ্রীণ জোনে, দেশজুড়ে যেসমস্ত কাজকর্ম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেগুলি ছাড়া বাকি সবকাজ করা যাবে। তবে, বাসে মোট বসার জায়গার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ করা যাবে। বাস ডিপোগুলিতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাস রাখা যাবে। 


সমস্ত পণ্যবাহী গাড়িকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসারে কোনো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই ধরণের পণ্য পরিবহণকে বাধা দিতে পারবে না। লকডাউনের সময়, দেশজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহ বজায় রাখতে পণ্যবাহী গাড়িগুলির চলাচলে কোনো আলাদা পাস লাগবে না। 


এই নির্দেশিকা অনুসারে যে সব কাজকর্মে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেগুলি করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, কোভিড – ১৯ এর সংক্রমণ আটকাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্দিষ্ট কিছু কাজকর্ম করার অনুমতি দিতে পারে। 


৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি করার সময় নির্দেশিকা অনুসারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলির জন্য আলাদাভাবে নতুন করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভারতে থাকা বিদেশী নাগরিকদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া, কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া, বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আটকে থাকা শ্রমিকদের চলাচল, ভারতীয় নাবিক ও নৌকর্মীদের সমুদ্র যাত্রা করতে ও সমুদ্র থেকে ফিরে আসা, সড়ক ও রেল পথে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, ছাত্র-ছাত্রী সহ অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল বজায় থাকবে। 


রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে লকডাউনের নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ২০০৫ সালের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে নীতি – নির্দেশিকাগুলিকে কোনোভাবে অমান্য করা যাবে না।


লকডাউনের নিয়মকানুনগুলি সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করুন –
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/MHA%20Order%20Dt.%201.5.2020%20to%20extend%20Lockdown%20period%20for%202%20weeks%20w.e.f.%204.5.2020%20with%20new%20guidelines.pdf 

 



CG/CB/SFS



(Release ID: 1620236) Visitor Counter : 541