প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
করোনা মহামারী থেকে আত্মবিশ্বাসী এবং স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা পাওয়া গেছে : প্রধানমন্ত্রী
কোভিড – ১৯ এর মোকাবিলায় গ্রাম ভারতের মন্ত্র হল ‘দু’গজ দূরী’ : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ই-গ্রাম স্বরাজ্য অ্যাপ এবং স্বামীত্ব প্রকল্পের সূচনা করেছেন
Posted On:
24 APR 2020 2:57PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৪ এপ্রিল, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতীয় পঞ্চায়েতীরাজ দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সিংএর মাধ্যমে দেশজুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি সুসংহত ই-গ্রাম স্বরাজ পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপ এবং স্বামীত্ব প্রকল্পের সূচনা করেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়নমূলক প্রকল্প তৈরিতে এবং সেগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য ই-গ্রাম স্বরাজ পোর্টালটি সাহায্য করবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে সঠিক নজরদারি এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যে এই পোর্টাল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্বামীত্ব প্রকল্পটি ৬টি রাজ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ড্রোনের সাহায্যে সম্পদের সমীক্ষা করাই এর কাজ। এই প্রকল্প পরিকল্পনা, রাজস্ব আদায় এবং গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন সম্পত্তির মালিকানার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে। মালিকরা যেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ পাওয়ার আবেদন করতে পারেন, এই প্রকল্প সেটিকেও নিশ্চিত করবে। এছাড়া স্বত্ত্বের দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্পত্তির বিবাদের নিষ্পত্তিও করা সম্ভব হবে।
দেশে পঞ্চায়েত প্রধানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারী জনসাধারণের কাজের ধারার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এর থেকে আমরা নানা শিক্ষা পেয়েছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সকলকে নিজের প্রতি সবসময় আস্থাশীল হতে হবে।
‘এই মহামারী আমাদের কাছে নতুন এক সঙ্কট ও সমস্যা এনে দিয়েছে, যা আমরা এর আগে কখনো ভাবি নি। কিন্তু একই সঙ্গে এটি কড়া বার্তার মধ্য দিয়ে আমাদের খুব ভালো শিক্ষাও দিয়েছে। আমরা যাতে আত্মবিশ্বাসী এবং স্বনির্ভর হই, যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য অন্য দেশের দিকে না তাকাই, সেই শিক্ষাই আমরা এর থেকে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামকে তার মূল চাহিদা মেটানোর জন্য স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। একইভাবে প্রতিটি জেলাকে তার নিজ স্তরে স্বনির্ভর হতে হবে। প্রতিটি রাজ্যকে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে হবে এবং গোটা দেশ এইভাবে নিজের প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠবে।’
শ্রী মোদী বলেন, সরকার, প্রতিটি গ্রামকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার পঞ্চায়েত ব্রডব্যান্ড পরিষেবার আওতায় এসেছে। এর আগে এই সংখ্যাটি ছিল মাত্র ১০০। একইভাবে কমন সার্ভিস সেন্টারের সংখ্যাও ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন এখন ভারতেই তৈরি হচ্ছে, তার ফলে স্মার্টফোনের দাম কমে যাচ্ছে। যে কারণে প্রতিটি গ্রামে স্মার্টফোন পৌঁছে গেছে। এর মাধ্যমে গ্রাম স্তরে ডিজিটাল পরিকাঠামো আরো শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতের প্রগতির উপর দেশ ও গণতন্ত্রের উন্নয়ন, নির্ভর করে’।
আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়।
‘দু’গজ দূরী’ অর্থাৎ দু গজ দূরে তথা সহজভাষায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি প্রচার করায় প্রধানমন্ত্রী, পঞ্চায়েত প্রধানদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘দু’গজ দেহ কি দূরী’ এই স্লোগানের মাধ্যমে গ্রাম ভারত, মানুষের প্রজ্ঞা দেখিয়েছে। এই স্লোগানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে জনসাধারণ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমিত সম্পদের মধ্যেই ভারত, নতুন শক্তি ও নতুন পথে এগোনোর লক্ষ্যে এই চ্যালেঞ্জকে সক্রিয়ভাবে গ্রহণ করেছে। ‘গ্রামের সমন্বিত ক্ষমতা গোটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে সাহায্য করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রচেষ্টাগুলির মাধ্যমে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একজনের অসাবধানতা গোটা গ্রামকে বিপদের মুখে ফেলে দিতে পারে। আর তাই শৈথিল্যের কোনো জায়গা নেই।
তিনি গ্রামে স্বচ্ছতা অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও কোয়ারান্টাইন, সামাজিক দূরত্ব এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করে, প্রবীণ নাগরিক, ভিন্নভাবে সক্ষম এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।
কোভিড – ১৯ এর বিভিন্ন বিষয়ে গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে সঠিক তথ্য দেবার জন্য তিনি পঞ্চায়েত প্রধানদের প্রতি আবেদন জানান।
গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করতে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, সকলে যেন এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেন, তা তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা যেন ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা পান, সেই উদ্দেশে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পটি গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র মানুষদের জন্য একটি বড় আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ কোটি দরিদ্র রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন।
গ্রামে উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাওয়ার জন্য তিনি ই-ন্যাম এবং জিইএম ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী, জম্মু-কাশ্মীর, কর্ণাটক, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং অসমের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেন।
তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্বরাজ ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। শাস্ত্রের বচন উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একতাই মূল শক্তি। পঞ্চায়েতী রাজ দিবস উপলক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের শ্রী মোদী শুভেচ্ছা জানান এবং করোনার মোকাবিলায় তাঁদের সংকল্প, সংহতি ও উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1617859)
Visitor Counter : 314
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam